নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফি আহমেদ মারা গেছেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহহিল কাইয়ূম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, আজ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন শফি আহমেদ। পরে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাবেক এই ছাত্রনেতার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, সম্ভবত ঘুমের মধ্যেই শফি আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শফি আহমেদ ১৯৮৯-৯১ মেয়াদে জাসদ ছাত্রলীগের যে কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সেই কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন জাসদের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম।
কাইয়ুম বলেন, “ দুপুরে উত্তরার বাসায় খাওয়ার পর নিজের ঘরে ঘুমাতে যান উনি। বিকালে ভাবি ডাকতে গিয়ে সাড়াশব্দ না পেয়ে দেখেন নিথর হয়ে আছেন। ধারণা করা হচ্ছে উনি ঘুমের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।”
যাদের সাহসী নেতৃত্বে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেয়েছিল, তাদের মধ্যে শফি আহমেদ উজ্জ্বল এক নাম। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এরশাদবিরোধী আন্দোলনকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে পুরো আশির দশক জুড়েই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শফি আহমেদ।
শফি আহমেদ জাসদ থেকে পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দলের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ–কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু সেবার আর নির্বাচন হয়নি।
এরপর গত চারটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি শফি আহমেদ। সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শফি আহমেদের শ্যালক খন্দকার আদিল ইফতেখার দীপ্ত জানিয়েছেন, নেত্রকোণায় দাফন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ।
সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফি আহমেদ মারা গেছেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহহিল কাইয়ূম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, আজ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন শফি আহমেদ। পরে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাবেক এই ছাত্রনেতার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, সম্ভবত ঘুমের মধ্যেই শফি আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শফি আহমেদ ১৯৮৯-৯১ মেয়াদে জাসদ ছাত্রলীগের যে কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সেই কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন জাসদের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম।
কাইয়ুম বলেন, “ দুপুরে উত্তরার বাসায় খাওয়ার পর নিজের ঘরে ঘুমাতে যান উনি। বিকালে ভাবি ডাকতে গিয়ে সাড়াশব্দ না পেয়ে দেখেন নিথর হয়ে আছেন। ধারণা করা হচ্ছে উনি ঘুমের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।”
যাদের সাহসী নেতৃত্বে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেয়েছিল, তাদের মধ্যে শফি আহমেদ উজ্জ্বল এক নাম। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এরশাদবিরোধী আন্দোলনকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে পুরো আশির দশক জুড়েই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শফি আহমেদ।
শফি আহমেদ জাসদ থেকে পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দলের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ–কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু সেবার আর নির্বাচন হয়নি।
এরপর গত চারটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি শফি আহমেদ। সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শফি আহমেদের শ্যালক খন্দকার আদিল ইফতেখার দীপ্ত জানিয়েছেন, নেত্রকোণায় দাফন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ।