শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন চলছেই
#অচল দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
#রবিবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ত্রিমুখী আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম। বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের সব একাডেমিক ক্লাস ও পরীক্ষা। এমনকি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে বন্ধ রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার।
গ্রন্থাগার বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ও প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাসও বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় ঘোষিত ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে দেশব্যাপী ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকরা তাদের ৩ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার অঙ্গীকার করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের দাবি তিনটি-প্রত্যয় কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে (প্রশাসনে জ্যেষ্ঠ সচিবেরা যে ধাপে বেতন-ভাতা পান) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদকে বলেন, "আজকের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। বৈঠকের পরবর্তী সম্ভাব্য তারিখ শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।"
নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, "আমাদের যৌক্তিক দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা রবিবার থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করব। শুক্র ও শনিবার কোনো বিক্ষোভ হবে না।"
একইসাথে নিজেদের যৌক্তিক দাবী না মানা পর্যন্ত সার্বজনীন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা। তিনি বলেন, "এই আন্দোলন এখানে বসে থাকা শিক্ষকদের নয়। ভবিষ্যতের শিক্ষকদের জন্য। এভাবে দিনের পর দিন হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ আটকে রাখা যাবে না। আমরা এই সমস্যার সমাধান করব।"
জিনাত হুদা আরও বলেন, "আমরা একটি ইতিবাচক সমাধানের জন্য আশাবাদী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছি। রাষ্ট্রীয় কিছু কাজ থাকায় তিনি মিটিং ঠিক করতে পারেননি। তিনি আমাদের সাথে বসবেন বলে জানিয়েছেন।"
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
ঢাকা- শাহবাগ মহাসড়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা-তাতিবাজার সড়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা- বরিশাল সড়ক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা- ময়মনসিংহ রেলপথ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা- রাজশাহী মহাসড়ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং ঢাকা- রাঙ্গামাটি মহাসড়ক অবরোধ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের বাধা
বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে এসে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
এদিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে যাতে শিক্ষার্থীরা যুক্ত হতে না পারে, সে জন্য সকাল দশটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ফটকে তালা দেয় ছাত্রলীগ। ফলে আন্দোলনে আসতে চাইলেও শিক্ষার্থীদের অনেকে আটকা পড়েন। পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ফটক খুলে দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে হল থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া কবি জসীমউদ্দিন হল, বিজয় একাত্তর হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা যাতে আন্দোলনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ছাত্রলীগ নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
রবিবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
৬ ঘন্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন-অফলাইনে গণসংযোগ, পরের দিন শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ৩টায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ এবং আগামী রবিবার (৭ জুলাই) ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন।
আন্দোলনকারীদের একজন নাহিদ হোসেন বলেন, কোটা পুনর্বহাল শিক্ষার্থীদের সাথে একটি প্রহসন। নির্বাহী বিভাগ একটি আদেশ দিচ্ছে বিচার বিভাগ সেটি বাতিল করে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এই প্রহসন মেনে নিবে না। নির্বাহী বিভাগের এখনও ক্ষমতা আছে কোটা প্রথা বাতিল করার।
তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগকে আমরা প্রশ্ন করতে চাই তারা কী পরিপত্র জারি করলো যেটা পাঁচ বছরের মধ্যে হাইকোর্ট বাতিল করে দিলো? তার মানে এই পরিপত্রের মধ্যে কোনো ঝামেলা আছে। আমরা এই প্রহসন মানি না। আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে। সরকার থেকে আমাদের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়নি। আমরা এর নিন্দা জানাই।
শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন চলছেই
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪
#অচল দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
#রবিবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ত্রিমুখী আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম। বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের সব একাডেমিক ক্লাস ও পরীক্ষা। এমনকি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে বন্ধ রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার।
গ্রন্থাগার বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ও প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাসও বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় ঘোষিত ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে দেশব্যাপী ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকরা তাদের ৩ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার অঙ্গীকার করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের দাবি তিনটি-প্রত্যয় কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে (প্রশাসনে জ্যেষ্ঠ সচিবেরা যে ধাপে বেতন-ভাতা পান) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদকে বলেন, "আজকের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। বৈঠকের পরবর্তী সম্ভাব্য তারিখ শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।"
নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, "আমাদের যৌক্তিক দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা রবিবার থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করব। শুক্র ও শনিবার কোনো বিক্ষোভ হবে না।"
একইসাথে নিজেদের যৌক্তিক দাবী না মানা পর্যন্ত সার্বজনীন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা। তিনি বলেন, "এই আন্দোলন এখানে বসে থাকা শিক্ষকদের নয়। ভবিষ্যতের শিক্ষকদের জন্য। এভাবে দিনের পর দিন হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ আটকে রাখা যাবে না। আমরা এই সমস্যার সমাধান করব।"
জিনাত হুদা আরও বলেন, "আমরা একটি ইতিবাচক সমাধানের জন্য আশাবাদী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছি। রাষ্ট্রীয় কিছু কাজ থাকায় তিনি মিটিং ঠিক করতে পারেননি। তিনি আমাদের সাথে বসবেন বলে জানিয়েছেন।"
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
ঢাকা- শাহবাগ মহাসড়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা-তাতিবাজার সড়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা- বরিশাল সড়ক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা- ময়মনসিংহ রেলপথ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা- রাজশাহী মহাসড়ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং ঢাকা- রাঙ্গামাটি মহাসড়ক অবরোধ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের বাধা
বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে এসে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
এদিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে যাতে শিক্ষার্থীরা যুক্ত হতে না পারে, সে জন্য সকাল দশটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ফটকে তালা দেয় ছাত্রলীগ। ফলে আন্দোলনে আসতে চাইলেও শিক্ষার্থীদের অনেকে আটকা পড়েন। পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ফটক খুলে দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে হল থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া কবি জসীমউদ্দিন হল, বিজয় একাত্তর হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা যাতে আন্দোলনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ছাত্রলীগ নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
রবিবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
৬ ঘন্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন-অফলাইনে গণসংযোগ, পরের দিন শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ৩টায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ এবং আগামী রবিবার (৭ জুলাই) ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন।
আন্দোলনকারীদের একজন নাহিদ হোসেন বলেন, কোটা পুনর্বহাল শিক্ষার্থীদের সাথে একটি প্রহসন। নির্বাহী বিভাগ একটি আদেশ দিচ্ছে বিচার বিভাগ সেটি বাতিল করে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এই প্রহসন মেনে নিবে না। নির্বাহী বিভাগের এখনও ক্ষমতা আছে কোটা প্রথা বাতিল করার।
তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগকে আমরা প্রশ্ন করতে চাই তারা কী পরিপত্র জারি করলো যেটা পাঁচ বছরের মধ্যে হাইকোর্ট বাতিল করে দিলো? তার মানে এই পরিপত্রের মধ্যে কোনো ঝামেলা আছে। আমরা এই প্রহসন মানি না। আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে। সরকার থেকে আমাদের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়নি। আমরা এর নিন্দা জানাই।