অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যেন আর রক্ত ঝরাতে না হয়—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন জুলাই শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা নওশের আলী। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এই আশাবাদ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নওশের আলী বলেন, “এই দেশে ১৯৭১ সালে যেভাবে রক্তক্ষরণ হয়েছিল, আমরা সেই রক্তক্ষরণ চাই না। নব্বইয়ের গণআন্দোলনেও রক্ত ঝরেছে, চাই না সেটিও পুনরাবৃত্তি হোক। আর এই ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবে যেভাবে রক্ত ঝরেছে, তাও আমরা চাই না।”
তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আমার অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে, যেন এই দল নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে পারে। আমি চাই, আমার দেশ এই দলের কাছে নিরাপদ থাকুক। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে আমি এই দলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানাই।”
জুলাই আন্দোলনের সংগঠকদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ হয়েছে। ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গঠিত এই দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদদের স্বজন ও আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা নওশের আলী বক্তব্য দেন। তিনি বিডিআর হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে জুলাই-অগাস্ট গণআন্দোলনের রক্তাক্ত ঘটনাগুলোর উদাহরণ টেনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘সিরিয়াল কিলার’ আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট শহীদ, আমার ছয় বছরের সন্তান জাবির ইব্রাহিম। আমার জাবির এই দেশে নিরাপদ ছিল না। গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে গেছে, তা শুরুর পর থেকেই আমরা দেখেছি। ১৫ বছর আগে সে ৫৭ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করে, আর ৫ অগাস্ট আমার ছেলেকে দিয়ে তার হত্যাযজ্ঞের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটায়। সুতরাং আমি বলব, শেখ হাসিনা একজন সিরিয়াল কিলার।”
নওশের আলীর বক্তব্য চলাকালে গোপালগঞ্জ থেকে একটি বিশাল মিছিল অনুষ্ঠানে এসে পৌঁছায়। মিছিলের আগমন ঘোষণা করে অনুষ্ঠান সঞ্চালক বলেন, “প্রিয় উপস্থিতি, আমাদের গোপালগঞ্জের সহযোদ্ধারা বিশাল মিছিল নিয়ে এসেছেন। করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বলতে চাই, এই গোপালগঞ্জ শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ নয়, এই গোপালগঞ্জ শেখ মুজিবের গোপালগঞ্জ নয়, এই গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের গোপালগঞ্জ নয়। এই গোপালগঞ্জ শহীদ আবু সাঈদদের গোপালগঞ্জ। জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট নিয়ে গোপালগঞ্জ এগিয়ে যাবে মুজিববাদের কবর রচনা করার মাধ্যমে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ হলো। দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে তারা বদ্ধপরিকর।
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যেন আর রক্ত ঝরাতে না হয়—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন জুলাই শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা নওশের আলী। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এই আশাবাদ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নওশের আলী বলেন, “এই দেশে ১৯৭১ সালে যেভাবে রক্তক্ষরণ হয়েছিল, আমরা সেই রক্তক্ষরণ চাই না। নব্বইয়ের গণআন্দোলনেও রক্ত ঝরেছে, চাই না সেটিও পুনরাবৃত্তি হোক। আর এই ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবে যেভাবে রক্ত ঝরেছে, তাও আমরা চাই না।”
তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আমার অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে, যেন এই দল নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে পারে। আমি চাই, আমার দেশ এই দলের কাছে নিরাপদ থাকুক। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে আমি এই দলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানাই।”
জুলাই আন্দোলনের সংগঠকদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ হয়েছে। ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গঠিত এই দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদদের স্বজন ও আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা নওশের আলী বক্তব্য দেন। তিনি বিডিআর হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে জুলাই-অগাস্ট গণআন্দোলনের রক্তাক্ত ঘটনাগুলোর উদাহরণ টেনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘সিরিয়াল কিলার’ আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট শহীদ, আমার ছয় বছরের সন্তান জাবির ইব্রাহিম। আমার জাবির এই দেশে নিরাপদ ছিল না। গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে গেছে, তা শুরুর পর থেকেই আমরা দেখেছি। ১৫ বছর আগে সে ৫৭ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করে, আর ৫ অগাস্ট আমার ছেলেকে দিয়ে তার হত্যাযজ্ঞের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটায়। সুতরাং আমি বলব, শেখ হাসিনা একজন সিরিয়াল কিলার।”
নওশের আলীর বক্তব্য চলাকালে গোপালগঞ্জ থেকে একটি বিশাল মিছিল অনুষ্ঠানে এসে পৌঁছায়। মিছিলের আগমন ঘোষণা করে অনুষ্ঠান সঞ্চালক বলেন, “প্রিয় উপস্থিতি, আমাদের গোপালগঞ্জের সহযোদ্ধারা বিশাল মিছিল নিয়ে এসেছেন। করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বলতে চাই, এই গোপালগঞ্জ শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ নয়, এই গোপালগঞ্জ শেখ মুজিবের গোপালগঞ্জ নয়, এই গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের গোপালগঞ্জ নয়। এই গোপালগঞ্জ শহীদ আবু সাঈদদের গোপালগঞ্জ। জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট নিয়ে গোপালগঞ্জ এগিয়ে যাবে মুজিববাদের কবর রচনা করার মাধ্যমে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ হলো। দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে তারা বদ্ধপরিকর।