রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী বৃহস্পতিবার প্রথম দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিকেল ৩টায় এলডিপির সঙ্গে আলোচনা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে মতামত চেয়ে ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠানো হয়েছিল। দলগুলোকে ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়।
আজ পর্যন্ত ১৫টি দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ আরও ১৪টি দল জানিয়েছে, তারা শিগগিরই তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত দেবে।
কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রাথমিক মতামত পাওয়া দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলোচনা হবে। যারা পরে মতামত দেবে, তাদেরও পর্যায়ক্রমে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। সংস্কারের অংশ হিসেবে অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে এসব কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর, কমিশনগুলোর সুপারিশগুলোর ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। কমিশন জানিয়েছে, যেসব সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হবে, তা ভিত্তি করেই প্রণয়ন করা হবে ‘জুলাই চার্টার’ বা ‘জুলাই সনদ’।
সূত্র জানিয়েছে, প্রথম দফার আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা কম। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সদস্যরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। সব দলের সঙ্গে পৃথক আলোচনা শেষে সম্মিলিত বৈঠক হবে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন।
মতামত সংগ্রহের প্রক্রিয়া-
কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সংগ্রহের জন্য পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ছক আকারে পাঠিয়েছে। এতে প্রতিটি সুপারিশের জন্য দলগুলোকে তিনটি বিকল্পের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়েছে:
একমত
একমত নই
আংশিক একমত
এছাড়া, সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ছয়টি বিকল্পের মধ্যে মতামত চাওয়া হয়েছে:
১. নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে
২. নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে
৩. নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে
৪. গণপরিষদের মাধ্যমে
৫. নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে
৬. গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে
প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর মন্তব্য দেওয়ারও সুযোগ রাখা হয়েছে।
এখন দেখার বিষয়, দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার উদ্যোগ কতটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং কতটা জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী বৃহস্পতিবার প্রথম দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিকেল ৩টায় এলডিপির সঙ্গে আলোচনা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে মতামত চেয়ে ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠানো হয়েছিল। দলগুলোকে ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়।
আজ পর্যন্ত ১৫টি দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ আরও ১৪টি দল জানিয়েছে, তারা শিগগিরই তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত দেবে।
কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রাথমিক মতামত পাওয়া দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলোচনা হবে। যারা পরে মতামত দেবে, তাদেরও পর্যায়ক্রমে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। সংস্কারের অংশ হিসেবে অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে এসব কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর, কমিশনগুলোর সুপারিশগুলোর ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। কমিশন জানিয়েছে, যেসব সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হবে, তা ভিত্তি করেই প্রণয়ন করা হবে ‘জুলাই চার্টার’ বা ‘জুলাই সনদ’।
সূত্র জানিয়েছে, প্রথম দফার আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা কম। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সদস্যরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। সব দলের সঙ্গে পৃথক আলোচনা শেষে সম্মিলিত বৈঠক হবে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন।
মতামত সংগ্রহের প্রক্রিয়া-
কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সংগ্রহের জন্য পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ছক আকারে পাঠিয়েছে। এতে প্রতিটি সুপারিশের জন্য দলগুলোকে তিনটি বিকল্পের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়েছে:
একমত
একমত নই
আংশিক একমত
এছাড়া, সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ছয়টি বিকল্পের মধ্যে মতামত চাওয়া হয়েছে:
১. নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে
২. নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে
৩. নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে
৪. গণপরিষদের মাধ্যমে
৫. নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে
৬. গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে
প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর মন্তব্য দেওয়ারও সুযোগ রাখা হয়েছে।
এখন দেখার বিষয়, দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার উদ্যোগ কতটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং কতটা জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।