জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ১২২টির বিষয়ে একমত হয়েছে। ২১টি সুপারিশে আংশিক সমর্থন এবং ২৩টির বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ঐকমত্য কমিশনে নিজেদের মতামত জমা দেয় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের কাছে তাদের মতামত হস্তান্তর করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি জানায়, তারা সংবিধানের মূল নীতিমালা অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে। স্বাধীনতার ঘোষণায় থাকা ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ মূলনীতিতে যুক্ত করার প্রস্তাব রেখেছে দলটি। তবে বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবে তারা দ্বিমত জানিয়েছে।

১২ দলীয় জোটের অবস্থান

এদিন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দেয় ১২ দলীয় জোটও। জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, তারা ১১০টি প্রস্তাবের সঙ্গে একমত, ৪৮টির বিষয়ে দ্বিমত এবং ৮টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা অবকাশ রয়েছে বলে কমিশনকে জানিয়েছে।

সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে আয়োজনের দাবি জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মাওলানা মহিউদ্দিন একরাম, শামসুদ্দিন পারভেজ ও আমিনুল ইসলাম।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৮টি রাজনৈতিক দলের মতামত আহ্বান করেছিল, যার মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪টি দল ও জোট মতামত জমা দিয়েছে। ২০ মার্চ থেকে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে কমিশন। ইতোমধ্যে এলডিপি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ঈদের পরে বাকি দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে।

গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের পাঁচ কমিশনের মধ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার’ ও ‘গণমাধ্যম সংস্কার’ কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এখনো স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আসা বাকি।