জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার সুযোগ পান। তাই আসন্ন নির্বাচনকে গণপরিষদ নির্বাচন হিসেবে আয়োজন করতে হবে, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে পারেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিবিদ, ছাত্র-শ্রমিক, পেশাজীবী, অ্যাকটিভিস্ট ও ওলামায়ে কেরামসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আখতার হোসেন বলেন, নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, আর তা করতে হলে গণপরিষদ নির্বাচন অপরিহার্য। সংসদ নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো যৌক্তিক নয়। তরুণদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের ভালোবাসা ও পরামর্শ নিয়ে এনসিপিকে সারা দেশে বিস্তৃত করা হবে।
গ্রাম থেকে শহর—প্রতিটি এলাকায় এনসিপির বার্তা পৌঁছে দিতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় থাকলে দেশের ভাগ্য বদলানো সম্ভব। স্বনির্ভর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও শিল্প খাত গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তি অর্জন সম্ভব হবে।
রংপুর অঞ্চলের দীর্ঘদিনের বৈষম্যের প্রসঙ্গ তুলে আখতার হোসেন বলেন, এখানকার মানুষকে এখনো দীর্ঘ পথ ঘুরে ঢাকায় পৌঁছাতে হয়। তিনি সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের দাবি জানান। শিল্পায়নের মাধ্যমে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে এ অঞ্চলের মানুষকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে গিয়ে শ্রম দিতে হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, গত বছর রংপুর সিটি করপোরেশনকে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং আট জেলার জন্য মাত্র ১ শতাংশ উন্নয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা চরম বৈষম্য। জাতীয় নাগরিক পার্টি এই বৈষম্য দূর করতে এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে বণ্টন নিশ্চিত করতে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা, আসাদুল্লাহ আল গালিব, সদস্য আবদুল মুনাঈম, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। তবে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম অনুপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার সুযোগ পান। তাই আসন্ন নির্বাচনকে গণপরিষদ নির্বাচন হিসেবে আয়োজন করতে হবে, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে পারেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিবিদ, ছাত্র-শ্রমিক, পেশাজীবী, অ্যাকটিভিস্ট ও ওলামায়ে কেরামসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আখতার হোসেন বলেন, নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, আর তা করতে হলে গণপরিষদ নির্বাচন অপরিহার্য। সংসদ নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো যৌক্তিক নয়। তরুণদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের ভালোবাসা ও পরামর্শ নিয়ে এনসিপিকে সারা দেশে বিস্তৃত করা হবে।
গ্রাম থেকে শহর—প্রতিটি এলাকায় এনসিপির বার্তা পৌঁছে দিতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় থাকলে দেশের ভাগ্য বদলানো সম্ভব। স্বনির্ভর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও শিল্প খাত গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তি অর্জন সম্ভব হবে।
রংপুর অঞ্চলের দীর্ঘদিনের বৈষম্যের প্রসঙ্গ তুলে আখতার হোসেন বলেন, এখানকার মানুষকে এখনো দীর্ঘ পথ ঘুরে ঢাকায় পৌঁছাতে হয়। তিনি সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের দাবি জানান। শিল্পায়নের মাধ্যমে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে এ অঞ্চলের মানুষকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে গিয়ে শ্রম দিতে হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, গত বছর রংপুর সিটি করপোরেশনকে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং আট জেলার জন্য মাত্র ১ শতাংশ উন্নয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা চরম বৈষম্য। জাতীয় নাগরিক পার্টি এই বৈষম্য দূর করতে এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে বণ্টন নিশ্চিত করতে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা, আসাদুল্লাহ আল গালিব, সদস্য আবদুল মুনাঈম, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। তবে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম অনুপস্থিত ছিলেন।