আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনে “গোলাম আজমের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই” স্লোগানকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, “যেসব আপত্তিকর স্লোগান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষটিকেই বহন করতে হবে।”
বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম সরাসরি না নিলেও ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলা হয়, “বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায়—১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪-এর যথাযথ স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদান এ দেশে রাজনীতি করার পূর্বশর্ত। যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের উচিত জাতির সামনে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাতীয় ঐক্যকে সুসংহত করা।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এনসিপির ডাকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী ছাত্রশিবির ও অন্যান্য কয়েকটি দল অংশ নেয়। শুক্রবার বিকাল থেকে শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নেয়া
আন্দোলনকারীদের একাংশ “গোলাম আজমের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই” এবং “সাঈদীর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই”—এমন বিতর্কিত স্লোগান দেন, যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে এনসিপি বলেছে, “আমাদের কোনো সদস্য এই ধরনের বিতর্কিত বা ইতিহাসবিরোধী স্লোগান দেয়নি। বরং আমাদের বক্তৃতা ও স্লোগানে এই জনপদের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের প্রতিফলন ছিল। এনসিপিকে এ বিতর্কে জড়ানো সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।”
জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় প্রতিবাদ ও বাধা নিয়ে এনসিপি জানায়, “আমরা জাতীয় সংগীত গাইতে গেলে একটি পক্ষ আপত্তি জানায়, চিৎকার করে গান থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছি।”
এনসিপি নেতারা মনে করছেন, এই ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চব্বিশের অভ্যুত্থান-পরবর্তী জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছে। দলটি বলেছে, “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যেসব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে অবশ্যই বাংলাদেশপন্থি অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।”
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্যেরও পাশে দাঁড়িয়েছে এনসিপি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “৭১-এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। পাকিস্তানপন্থা পরিহার না করলে রাজনীতি করা উচিত নয়।” এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতের কয়েকজন নেতা তাঁর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেও এনসিপি ওই বক্তব্যের মৌলিক বক্তব্যকে সমর্থন করে।
বিবৃতির শেষাংশে এনসিপি বলেছে, “বাংলাদেশের জনগণের বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুজিববাদকে সামগ্রিকভাবে পরাস্ত করা সম্ভব। জাতীয় ঐক্যই হবে নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি।”
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনে “গোলাম আজমের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই” স্লোগানকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, “যেসব আপত্তিকর স্লোগান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষটিকেই বহন করতে হবে।”
বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম সরাসরি না নিলেও ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলা হয়, “বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায়—১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪-এর যথাযথ স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদান এ দেশে রাজনীতি করার পূর্বশর্ত। যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের উচিত জাতির সামনে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাতীয় ঐক্যকে সুসংহত করা।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এনসিপির ডাকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী ছাত্রশিবির ও অন্যান্য কয়েকটি দল অংশ নেয়। শুক্রবার বিকাল থেকে শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নেয়া
আন্দোলনকারীদের একাংশ “গোলাম আজমের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই” এবং “সাঈদীর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই”—এমন বিতর্কিত স্লোগান দেন, যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে এনসিপি বলেছে, “আমাদের কোনো সদস্য এই ধরনের বিতর্কিত বা ইতিহাসবিরোধী স্লোগান দেয়নি। বরং আমাদের বক্তৃতা ও স্লোগানে এই জনপদের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের প্রতিফলন ছিল। এনসিপিকে এ বিতর্কে জড়ানো সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।”
জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় প্রতিবাদ ও বাধা নিয়ে এনসিপি জানায়, “আমরা জাতীয় সংগীত গাইতে গেলে একটি পক্ষ আপত্তি জানায়, চিৎকার করে গান থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছি।”
এনসিপি নেতারা মনে করছেন, এই ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চব্বিশের অভ্যুত্থান-পরবর্তী জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছে। দলটি বলেছে, “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যেসব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে অবশ্যই বাংলাদেশপন্থি অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।”
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্যেরও পাশে দাঁড়িয়েছে এনসিপি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “৭১-এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। পাকিস্তানপন্থা পরিহার না করলে রাজনীতি করা উচিত নয়।” এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতের কয়েকজন নেতা তাঁর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেও এনসিপি ওই বক্তব্যের মৌলিক বক্তব্যকে সমর্থন করে।
বিবৃতির শেষাংশে এনসিপি বলেছে, “বাংলাদেশের জনগণের বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুজিববাদকে সামগ্রিকভাবে পরাস্ত করা সম্ভব। জাতীয় ঐক্যই হবে নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি।”