‘মব’ সৃষ্টি করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তার মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন নেতাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহ শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া তিনজন হলেন—ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের মোজাম্মেল হক ঢালী, উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ এবং একই থানার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাইয়ুম।
গত রোববার ‘জনগণের ভোট ছাড়া’ নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি।
মামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কথিত জনতা উত্তরা থেকে সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে আটক করে হেনস্তা করে।
আটকের সময় তারা বাসায় ঢুকে নূরুল হুদাকে অপদস্থ করে। কেউ কেউ ফেসবুকে লাইভও করেন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি নূরুল হুদার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিচ্ছেন এবং গেঞ্জির কলার ধরে বক্তব্য দিচ্ছেন। পাশে একজন পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তিও দেখা যায়।
পরে নূরুল হুদাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। সোমবার বিএনপির মামলায় তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকেও ‘দায়ীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সজীব হাসান মঙ্গলবার ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এর আগে সোমবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল উত্তরা এলাকা থেকে হানিফকে আটক করে।
মামলার পর হানিফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়। তার পক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
মোজাম্মেল ও কাইয়ুম সেদিনই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এনামুল হক।
তিনি বলেন, “তারা নির্দোষ। ঘটনাস্থলে ছিলেন ভিকটিমের নিরাপত্তার জন্য। অন্যথায় বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হতে পারত। মামলায় দলীয় ভাবমূর্তি নষ্টের উদ্দেশ্যে তাদের জড়ানো হয়েছে।”
হানিফের পক্ষে আইনজীবী আবদুল ফারুক বলেন, “তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ভিকটিমকে রক্ষা করতে। হেনস্তায় তিনি জড়িত নন।”
শুনানি শেষে বিচারক ৫০০ টাকা মুচলেকায় ২৮ জুলাই পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার বাকি তিন আসামি হলেন—স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তর মহানগরের সভাপতি ফরিদ, উত্তরা পশ্চিম থানার আহ্বায়ক সেলিম এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের তুরাগ থানার সভাপতি দুলাল।
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
‘মব’ সৃষ্টি করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তার মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন নেতাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহ শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া তিনজন হলেন—ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের মোজাম্মেল হক ঢালী, উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ এবং একই থানার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাইয়ুম।
গত রোববার ‘জনগণের ভোট ছাড়া’ নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি।
মামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কথিত জনতা উত্তরা থেকে সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে আটক করে হেনস্তা করে।
আটকের সময় তারা বাসায় ঢুকে নূরুল হুদাকে অপদস্থ করে। কেউ কেউ ফেসবুকে লাইভও করেন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি নূরুল হুদার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিচ্ছেন এবং গেঞ্জির কলার ধরে বক্তব্য দিচ্ছেন। পাশে একজন পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তিও দেখা যায়।
পরে নূরুল হুদাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। সোমবার বিএনপির মামলায় তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকেও ‘দায়ীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সজীব হাসান মঙ্গলবার ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এর আগে সোমবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল উত্তরা এলাকা থেকে হানিফকে আটক করে।
মামলার পর হানিফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়। তার পক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
মোজাম্মেল ও কাইয়ুম সেদিনই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এনামুল হক।
তিনি বলেন, “তারা নির্দোষ। ঘটনাস্থলে ছিলেন ভিকটিমের নিরাপত্তার জন্য। অন্যথায় বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হতে পারত। মামলায় দলীয় ভাবমূর্তি নষ্টের উদ্দেশ্যে তাদের জড়ানো হয়েছে।”
হানিফের পক্ষে আইনজীবী আবদুল ফারুক বলেন, “তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ভিকটিমকে রক্ষা করতে। হেনস্তায় তিনি জড়িত নন।”
শুনানি শেষে বিচারক ৫০০ টাকা মুচলেকায় ২৮ জুলাই পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার বাকি তিন আসামি হলেন—স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তর মহানগরের সভাপতি ফরিদ, উত্তরা পশ্চিম থানার আহ্বায়ক সেলিম এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের তুরাগ থানার সভাপতি দুলাল।