স্বাধীন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে চা খাওয়ার বিলের নামে এক লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তার এই পোস্ট ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা। দুদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
স্ট্যাটাসে হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, “আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও ক্লিয়ারেন্স নিতে এক লাখ টাকা দিতে হবে। মাহমুদা মিতুর কাছ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার ও ডিডি পরিচয়ে।”
তিনি আরও লেখেন, “মাহমুদা মিতুকে বলা হয়, আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা-পয়সার অভাব থাকার কথা না, এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।”
দুদক বলেছে, যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে একটি প্রতারকচক্র মামলায় অব্যাহতির কথা বলে প্রতারণা করছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।
মাহমুদা মিতু একজন চিকিৎসক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির ডেপুটি চিফ অর্গানাইজার। ৫ মার্চ তিনি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হন। দুমাস পর মে মাসে দুদকের একটি দল রেড ক্রিসেন্টে অভিযানে যায় এবং এক সংবাদে মিতুর নাম উঠে আসে।
রেড ক্রিসেন্ট এই সংবাদের প্রতিবাদ জানায়। মিতু পরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে আশ্বস্ত করা হয় যে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই এবং অভিযানটি ছিল আগের সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
মিতুর দাবি, “আমাকে সরানোর জন্য চেষ্টা হচ্ছিল। পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা খবর ছাপা হয়, যদিও আমি তখন মাত্র দুই মাস সেখানে আছি।”
ছয় জুন একটি সংবাদপত্রে আবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশিত হয়। পরে আবার দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন আসে বলে জানান তিনি। এরপর হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে পোস্ট দেন ও হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে ঘুষ নিয়ে দর কষাকষির কথা উঠে আসে।
তিনি দাবি করেন, প্রথমে ‘চা-নাস্তা’ বাবদ টাকা চাওয়া হয়, পরে তা এক লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। দরকষাকষির একপর্যায়ে ৩৫ হাজার টাকায় ‘দফা-রফা’ হয়।
মিতু মনে করেন, রেড ক্রিসেন্টে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মকর্তা তাকে সরানোর চেষ্টা করছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুদককে ব্যবহার করছেন।
মঙ্গলবার রাতেই দুদক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, হাসনাত আব্দুল্লাহ যাচাই ছাড়া মন্তব্য করেছেন। কমিশনের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করা একটি চক্র সক্রিয় আছে, যাদের সঙ্গে দুদকের কোনো সম্পর্ক নেই। অনেককে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, এই নম্বর থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ আগেও এসেছে। জিডিও হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিতও করা হয়েছে।
তবে মাহমুদা মিতু বলেন, “দুদক যদি জানে প্রতারক কারা, তাহলে তারা ধরে না কেন? এক ঘণ্টার মধ্যেই তারা জানিয়ে দেয় কেউ জড়িত না, সেটা কীভাবে নিশ্চিত হয়?”
তিনি আরও বলেন, “ওদের কাউকে না কাউকে দিয়ে এই কাজটা করানো হয়েছে। আমি নিশ্চিত এর ভেতর দুদকের কেউ না কেউ জড়িত আছে।”
প্রতারক ধরতে না পারলে বড় দুর্নীতিবাজদের ধরা কতটা সম্ভব–– এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন দুদকের মুখপাত্র।
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
স্বাধীন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে চা খাওয়ার বিলের নামে এক লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তার এই পোস্ট ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা। দুদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
স্ট্যাটাসে হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, “আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও ক্লিয়ারেন্স নিতে এক লাখ টাকা দিতে হবে। মাহমুদা মিতুর কাছ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার ও ডিডি পরিচয়ে।”
তিনি আরও লেখেন, “মাহমুদা মিতুকে বলা হয়, আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা-পয়সার অভাব থাকার কথা না, এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।”
দুদক বলেছে, যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে একটি প্রতারকচক্র মামলায় অব্যাহতির কথা বলে প্রতারণা করছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।
মাহমুদা মিতু একজন চিকিৎসক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির ডেপুটি চিফ অর্গানাইজার। ৫ মার্চ তিনি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হন। দুমাস পর মে মাসে দুদকের একটি দল রেড ক্রিসেন্টে অভিযানে যায় এবং এক সংবাদে মিতুর নাম উঠে আসে।
রেড ক্রিসেন্ট এই সংবাদের প্রতিবাদ জানায়। মিতু পরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে আশ্বস্ত করা হয় যে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই এবং অভিযানটি ছিল আগের সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
মিতুর দাবি, “আমাকে সরানোর জন্য চেষ্টা হচ্ছিল। পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা খবর ছাপা হয়, যদিও আমি তখন মাত্র দুই মাস সেখানে আছি।”
ছয় জুন একটি সংবাদপত্রে আবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশিত হয়। পরে আবার দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন আসে বলে জানান তিনি। এরপর হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে পোস্ট দেন ও হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে ঘুষ নিয়ে দর কষাকষির কথা উঠে আসে।
তিনি দাবি করেন, প্রথমে ‘চা-নাস্তা’ বাবদ টাকা চাওয়া হয়, পরে তা এক লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। দরকষাকষির একপর্যায়ে ৩৫ হাজার টাকায় ‘দফা-রফা’ হয়।
মিতু মনে করেন, রেড ক্রিসেন্টে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মকর্তা তাকে সরানোর চেষ্টা করছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুদককে ব্যবহার করছেন।
মঙ্গলবার রাতেই দুদক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, হাসনাত আব্দুল্লাহ যাচাই ছাড়া মন্তব্য করেছেন। কমিশনের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করা একটি চক্র সক্রিয় আছে, যাদের সঙ্গে দুদকের কোনো সম্পর্ক নেই। অনেককে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, এই নম্বর থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ আগেও এসেছে। জিডিও হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিতও করা হয়েছে।
তবে মাহমুদা মিতু বলেন, “দুদক যদি জানে প্রতারক কারা, তাহলে তারা ধরে না কেন? এক ঘণ্টার মধ্যেই তারা জানিয়ে দেয় কেউ জড়িত না, সেটা কীভাবে নিশ্চিত হয়?”
তিনি আরও বলেন, “ওদের কাউকে না কাউকে দিয়ে এই কাজটা করানো হয়েছে। আমি নিশ্চিত এর ভেতর দুদকের কেউ না কেউ জড়িত আছে।”
প্রতারক ধরতে না পারলে বড় দুর্নীতিবাজদের ধরা কতটা সম্ভব–– এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন দুদকের মুখপাত্র।