alt

রাজনীতি

‘চা-নাস্তার জন্য এক লাখ টাকা’ দাবি: মাহমুদা মিতুর অভিযোগে দুদকের প্রতিবাদ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

স্বাধীন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে চা খাওয়ার বিলের নামে এক লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তার এই পোস্ট ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা। দুদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়েছে।

স্ট্যাটাসে হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, “আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও ক্লিয়ারেন্স নিতে এক লাখ টাকা দিতে হবে। মাহমুদা মিতুর কাছ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার ও ডিডি পরিচয়ে।”

তিনি আরও লেখেন, “মাহমুদা মিতুকে বলা হয়, আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা-পয়সার অভাব থাকার কথা না, এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।”

দুদক বলেছে, যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে একটি প্রতারকচক্র মামলায় অব্যাহতির কথা বলে প্রতারণা করছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।

মাহমুদা মিতু একজন চিকিৎসক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির ডেপুটি চিফ অর্গানাইজার। ৫ মার্চ তিনি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হন। দুমাস পর মে মাসে দুদকের একটি দল রেড ক্রিসেন্টে অভিযানে যায় এবং এক সংবাদে মিতুর নাম উঠে আসে।

রেড ক্রিসেন্ট এই সংবাদের প্রতিবাদ জানায়। মিতু পরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে আশ্বস্ত করা হয় যে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই এবং অভিযানটি ছিল আগের সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে।

মিতুর দাবি, “আমাকে সরানোর জন্য চেষ্টা হচ্ছিল। পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা খবর ছাপা হয়, যদিও আমি তখন মাত্র দুই মাস সেখানে আছি।”

ছয় জুন একটি সংবাদপত্রে আবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশিত হয়। পরে আবার দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন আসে বলে জানান তিনি। এরপর হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে পোস্ট দেন ও হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে ঘুষ নিয়ে দর কষাকষির কথা উঠে আসে।

তিনি দাবি করেন, প্রথমে ‘চা-নাস্তা’ বাবদ টাকা চাওয়া হয়, পরে তা এক লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। দরকষাকষির একপর্যায়ে ৩৫ হাজার টাকায় ‘দফা-রফা’ হয়।

মিতু মনে করেন, রেড ক্রিসেন্টে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মকর্তা তাকে সরানোর চেষ্টা করছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুদককে ব্যবহার করছেন।

মঙ্গলবার রাতেই দুদক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, হাসনাত আব্দুল্লাহ যাচাই ছাড়া মন্তব্য করেছেন। কমিশনের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করা একটি চক্র সক্রিয় আছে, যাদের সঙ্গে দুদকের কোনো সম্পর্ক নেই। অনেককে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, এই নম্বর থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ আগেও এসেছে। জিডিও হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিতও করা হয়েছে।

তবে মাহমুদা মিতু বলেন, “দুদক যদি জানে প্রতারক কারা, তাহলে তারা ধরে না কেন? এক ঘণ্টার মধ্যেই তারা জানিয়ে দেয় কেউ জড়িত না, সেটা কীভাবে নিশ্চিত হয়?”

তিনি আরও বলেন, “ওদের কাউকে না কাউকে দিয়ে এই কাজটা করানো হয়েছে। আমি নিশ্চিত এর ভেতর দুদকের কেউ না কেউ জড়িত আছে।”

প্রতারক ধরতে না পারলে বড় দুর্নীতিবাজদের ধরা কতটা সম্ভব–– এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন দুদকের মুখপাত্র।

ছবি

কে এম নূরুল হুদা হেনস্তা মামলায় জামিন পেলেন মোজাম্মেল, হানিফ ও কাইয়ুম

ছবি

“রাষ্ট্রপতি-প্রধান বিচারপতি বাদ, নিয়োগ কমিটিতে থাকছেন স্পিকার ও রাজনৈতিক নেতারা”

ছবি

ইশরাকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মারধর, হুমকি ও সাংবাদিক হয়রানির অভিযোগ

ছবি

দুদকের আবেদনে আদালতের আদেশ, হাছান মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দলের নিবন্ধন পেতে ইসিতে আবেদনের ‘হিড়িক’

১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: একমত জামায়াত-এনসিপি, বিএনপিসহ ৩ দলের ভিন্নমত

নিবন্ধন ও প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এনসিপির আবেদন

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ: ঐকমত্যে অধিকাংশ দল, ভিন্নমত বিএনপি-এনডিএম-বিএলডিপির

ছবি

‘নিবন্ধনের শর্ত কঠিন, তবু প্রত্যাশা করছি অনুমোদন’: আবেদন জমায় ব্যস্ত দলগুলো

ছবি

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে বিএনপির আলোচনায় শুল্ক, বাণিজ্য, নির্বাচন

ছবি

সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে নতুন দল ‘বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি’

ছবি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি বদলাবে— তবে কিভাবে, তাতে এখনো মতানৈক্য

ছবি

আচরণবিধি লঙ্ঘনে দেড় লাখ টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত

ছবি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নি‌য়ে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন

ছবি

মোহাম্মদপুর থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গ্রেপ্তার

ছবি

‘মৌলিক সংস্কার’ বিষয়ে মতানৈক্য হলে গণভোটে যেতে হবে: ইসলামী আন্দোলন

ছবি

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

মেয়াদ শেষ, ইশরাকের আর শপথ নেওয়ার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

ছবি

গুরুত্ব হারানোর ভয়ে একটি দল নির্বাচনের সময় নিয়ে নারাজ: মির্জা ফখরুল

ছবি

ক্ষমতার ভারসাম্যে এনসিসির পক্ষে এনসিপি, প্রক্রিয়ায় দ্বিমত

ছবি

মশকনিধন কার্যক্রম উদ্বোধন, সেবা সচল রাখার প্রত্যয় ইশরাকের

ছবি

আলোচনার মাঝে হট্টগোল, কমিশনের হস্তক্ষেপে ফিরে এলেন দলীয় প্রতিনিধিরা

ছবি

ইউনূসের ‘নিরপেক্ষতা’ হারানোর অভিযোগে ঐকমত্য কমিশনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললো জামায়াত

ছবি

একদিনের বিরতির পর সংলাপে জামায়াত, অন্য দলগুলোর সৌহার্দ্যপূর্ণ অভ্যর্থনা

ছবি

‘শপথ অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছি, এখনও কার্ড পাই। আমি কীভাবে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্ট হলাম?’: রিমান্ডের পর পিপলস পার্টির বাবুল চাখারী

ছবি

‘বিএনপির প্রস্তাবের’ প্রতি প্রধান উপদেষ্টার ঝুঁকে পড়া নিয়ে অভিযোগ এনসিপির

ছবি

‘জামায়াত আলোচনা করবে বলে মনে করছি’—শফিকুল আলম

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য সংলাপ থেকে প্রতীকীভাবে সরে দাঁড়াল জামায়াতে ইসলামী

ছবি

‘ইগনোর’ করার প্রতিবাদে ঐকমত্য বৈঠকে অনুপস্থিত জামায়াত

ছবি

গেজেট প্রকাশের পরও শপথ নয়, দায়িত্ব চাইছেন ইশরাক

ছবি

সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে এনসিপির নির্দেশ সারোয়ার তুষারকে

ছবি

ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ফ্যাসিস্ট শাসনের বিদায় সম্ভব হয়েছে: বিএনপি নেতা

ছবি

ডিএসসিসিতে সেবা চালু রাখার ঘোষণা ইশরাকের, শপথ না হওয়াকে বললেন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত

ছবি

“সরকারি নয়, সইও নেই”—তারেক-ইউনূস বৈঠকের যৌথ ঘোষণার বিষয়ে সিইসি

ছবি

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় অনুরাগ নয়, মিল আছে—সালাহউদ্দিন আহমদ

tab

রাজনীতি

‘চা-নাস্তার জন্য এক লাখ টাকা’ দাবি: মাহমুদা মিতুর অভিযোগে দুদকের প্রতিবাদ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

স্বাধীন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে চা খাওয়ার বিলের নামে এক লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তার এই পোস্ট ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা। দুদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়েছে।

স্ট্যাটাসে হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, “আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও ক্লিয়ারেন্স নিতে এক লাখ টাকা দিতে হবে। মাহমুদা মিতুর কাছ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার ও ডিডি পরিচয়ে।”

তিনি আরও লেখেন, “মাহমুদা মিতুকে বলা হয়, আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা-পয়সার অভাব থাকার কথা না, এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।”

দুদক বলেছে, যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে একটি প্রতারকচক্র মামলায় অব্যাহতির কথা বলে প্রতারণা করছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।

মাহমুদা মিতু একজন চিকিৎসক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির ডেপুটি চিফ অর্গানাইজার। ৫ মার্চ তিনি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হন। দুমাস পর মে মাসে দুদকের একটি দল রেড ক্রিসেন্টে অভিযানে যায় এবং এক সংবাদে মিতুর নাম উঠে আসে।

রেড ক্রিসেন্ট এই সংবাদের প্রতিবাদ জানায়। মিতু পরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে আশ্বস্ত করা হয় যে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই এবং অভিযানটি ছিল আগের সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে।

মিতুর দাবি, “আমাকে সরানোর জন্য চেষ্টা হচ্ছিল। পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা খবর ছাপা হয়, যদিও আমি তখন মাত্র দুই মাস সেখানে আছি।”

ছয় জুন একটি সংবাদপত্রে আবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশিত হয়। পরে আবার দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন আসে বলে জানান তিনি। এরপর হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে পোস্ট দেন ও হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে ঘুষ নিয়ে দর কষাকষির কথা উঠে আসে।

তিনি দাবি করেন, প্রথমে ‘চা-নাস্তা’ বাবদ টাকা চাওয়া হয়, পরে তা এক লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। দরকষাকষির একপর্যায়ে ৩৫ হাজার টাকায় ‘দফা-রফা’ হয়।

মিতু মনে করেন, রেড ক্রিসেন্টে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মকর্তা তাকে সরানোর চেষ্টা করছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুদককে ব্যবহার করছেন।

মঙ্গলবার রাতেই দুদক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, হাসনাত আব্দুল্লাহ যাচাই ছাড়া মন্তব্য করেছেন। কমিশনের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করা একটি চক্র সক্রিয় আছে, যাদের সঙ্গে দুদকের কোনো সম্পর্ক নেই। অনেককে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, এই নম্বর থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ আগেও এসেছে। জিডিও হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিতও করা হয়েছে।

তবে মাহমুদা মিতু বলেন, “দুদক যদি জানে প্রতারক কারা, তাহলে তারা ধরে না কেন? এক ঘণ্টার মধ্যেই তারা জানিয়ে দেয় কেউ জড়িত না, সেটা কীভাবে নিশ্চিত হয়?”

তিনি আরও বলেন, “ওদের কাউকে না কাউকে দিয়ে এই কাজটা করানো হয়েছে। আমি নিশ্চিত এর ভেতর দুদকের কেউ না কেউ জড়িত আছে।”

প্রতারক ধরতে না পারলে বড় দুর্নীতিবাজদের ধরা কতটা সম্ভব–– এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন দুদকের মুখপাত্র।

back to top