দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ যে ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছেন, সে বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা সামনে এলে হাসনাত আবদুল্লাহ বুঝতে পারবেন তিনি ভুল করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসনাত আবদুল্লাহর একটি পোস্ট কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যেখানে যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
দুদক জানায়, একটি প্রতারক চক্র কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা অন্য কর্মকর্তার পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এর সঙ্গে দুদকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত নয়। ইতোমধ্যে এ ধরনের প্রতারণার ঘটনায় কমিশন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা। আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও সেটার ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আক্তার আর তাঁর ডিডি পরিচয়ে।’’
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, মাহমুদা মিতুকে বলা হয়—‘‘আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকাপয়সার অভাব থাকার কথা না, আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।’’
হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, দুদকের সর্বনিম্ন রেট নাকি ১ লাখ টাকা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আবার ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, মাহমুদা মিতু ৫ আগস্টের পরে রেড ক্রিসেন্টে যোগ দিয়েছেন, তখনকার আওয়ামী আমলের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্তে না গিয়ে এখনকার লোকদের দায়ী করা হচ্ছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, দুদক অতীতে বিরোধী দলের নেতাদের হয়রানি করেছে, আওয়ামী লীগের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয়ে চুপ থেকেছে। ৫ আগস্টের পর পরিবর্তনের আশা থাকলেও এখনো চা খাওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। মাহমুদা মিতু সাহস করে ভিডিও করেছেন, ঘুষ দেননি, কিন্তু অনেক সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে দিয়েছে।
হাসনাত বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যদি আমার নামেও দুর্নীতির অভিযোগ আসে, প্রকাশ করুন, মামলা করুন। কিন্তু নিরীহ লোকদের ওপর চাঁদাবাজি কেন? চা খাওয়ার বিল কেন? আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, কিন্তু আমলাতন্ত্র আবার বিষদাঁত নিয়ে হাজির হয়েছে। এই বিষদাঁত ভাঙতে না পারলে নতুন বাংলাদেশ হেরে যাবে।’’
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ যে ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছেন, সে বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা সামনে এলে হাসনাত আবদুল্লাহ বুঝতে পারবেন তিনি ভুল করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসনাত আবদুল্লাহর একটি পোস্ট কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যেখানে যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
দুদক জানায়, একটি প্রতারক চক্র কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা অন্য কর্মকর্তার পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এর সঙ্গে দুদকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত নয়। ইতোমধ্যে এ ধরনের প্রতারণার ঘটনায় কমিশন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা। আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও সেটার ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আক্তার আর তাঁর ডিডি পরিচয়ে।’’
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, মাহমুদা মিতুকে বলা হয়—‘‘আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকাপয়সার অভাব থাকার কথা না, আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।’’
হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, দুদকের সর্বনিম্ন রেট নাকি ১ লাখ টাকা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আবার ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, মাহমুদা মিতু ৫ আগস্টের পরে রেড ক্রিসেন্টে যোগ দিয়েছেন, তখনকার আওয়ামী আমলের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্তে না গিয়ে এখনকার লোকদের দায়ী করা হচ্ছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, দুদক অতীতে বিরোধী দলের নেতাদের হয়রানি করেছে, আওয়ামী লীগের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয়ে চুপ থেকেছে। ৫ আগস্টের পর পরিবর্তনের আশা থাকলেও এখনো চা খাওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। মাহমুদা মিতু সাহস করে ভিডিও করেছেন, ঘুষ দেননি, কিন্তু অনেক সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে দিয়েছে।
হাসনাত বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যদি আমার নামেও দুর্নীতির অভিযোগ আসে, প্রকাশ করুন, মামলা করুন। কিন্তু নিরীহ লোকদের ওপর চাঁদাবাজি কেন? চা খাওয়ার বিল কেন? আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, কিন্তু আমলাতন্ত্র আবার বিষদাঁত নিয়ে হাজির হয়েছে। এই বিষদাঁত ভাঙতে না পারলে নতুন বাংলাদেশ হেরে যাবে।’’