চলমান রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘নিয়ত’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শনিবার বিকেলে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নিয়ত কী? সবাইকে তাদের প্রস্তাব মেনে নিতে হবে? যদি এটাই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে সেটা কেমন ঐকমত্য হবে?”
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মারক প্রকাশনা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যানালাইসিস নেটওয়ার্ক (ব্রেইন)।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বাংলাদেশে আমরা এখন সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখন সংস্কার এমন পর্যায়ে এসেছে যে আমি মাননীয় সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে বলছিলাম— একটি কবিতা লিখে ফেলেন, ‘হে সংস্কার, তোমাকে পাওয়ার জন্য আর কতকাল আলাপ-আলোচনা করিবে, খানাপিনা খাইবে সংস্কার করার জন্য।’”
তিনি বলেন, “আমরা আলোচনা করছি, কাছাকাছি আসছি; জাতির জন্য যা কল্যাণকর, তা গ্রহণ করব। এভাবেই সংস্কারের পথ ধরে এগিয়ে যাব। সংস্কার আজকের মধ্যে শেষ হবে না; এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।”
ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তারা এমনভাবে সংস্কার করতে চাচ্ছেন যেন সংবিধানে এমন কিছু ঢুকানো হয়, যা কেউ পরিবর্তন করতে না পারে। কিন্তু এটা তো বাইবেল নয়, ধর্মগ্রন্থ নয়। সংস্কার এমন হওয়া উচিত, যা ভবিষ্যতে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তনযোগ্য হবে। নতুন প্রজন্মের চাহিদা অনুযায়ী পুনঃনির্মাণযোগ্য হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই সংস্কারের মূল প্রবক্তা তো বিএনপি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দেড় বছর আগেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। এই ৩১ দফা আজ রাজনৈতিক মহলে এক মহাকাব্য হয়ে উঠেছে।”
সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা এমন সংস্কার চাই, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরেকটি জীবন, আরেকটি রাষ্ট্র মডেল গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ৩১ দফায় এমন উইন্ডো রেখেছি, যার মাধ্যমে জাতি ও জনগণের জন্য কল্যাণকর যেকোনো প্রস্তাব আমরা অন্তর্ভুক্ত করতে পারি।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে তাঁর ওপর সংকলিত স্মারক গ্রন্থ, ইন্টারনেট আর্কাইভ ও প্রকাশনা উদ্বোধন করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্রেইনের সাঈদ আবদুল্লাহ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস, লেখক মুসা আল হাফিজ ও ভয়েস ফর রিফর্ম প্ল্যাটফর্মের সহ-আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুর।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
চলমান রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘নিয়ত’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শনিবার বিকেলে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নিয়ত কী? সবাইকে তাদের প্রস্তাব মেনে নিতে হবে? যদি এটাই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে সেটা কেমন ঐকমত্য হবে?”
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মারক প্রকাশনা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যানালাইসিস নেটওয়ার্ক (ব্রেইন)।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বাংলাদেশে আমরা এখন সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখন সংস্কার এমন পর্যায়ে এসেছে যে আমি মাননীয় সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে বলছিলাম— একটি কবিতা লিখে ফেলেন, ‘হে সংস্কার, তোমাকে পাওয়ার জন্য আর কতকাল আলাপ-আলোচনা করিবে, খানাপিনা খাইবে সংস্কার করার জন্য।’”
তিনি বলেন, “আমরা আলোচনা করছি, কাছাকাছি আসছি; জাতির জন্য যা কল্যাণকর, তা গ্রহণ করব। এভাবেই সংস্কারের পথ ধরে এগিয়ে যাব। সংস্কার আজকের মধ্যে শেষ হবে না; এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।”
ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তারা এমনভাবে সংস্কার করতে চাচ্ছেন যেন সংবিধানে এমন কিছু ঢুকানো হয়, যা কেউ পরিবর্তন করতে না পারে। কিন্তু এটা তো বাইবেল নয়, ধর্মগ্রন্থ নয়। সংস্কার এমন হওয়া উচিত, যা ভবিষ্যতে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তনযোগ্য হবে। নতুন প্রজন্মের চাহিদা অনুযায়ী পুনঃনির্মাণযোগ্য হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই সংস্কারের মূল প্রবক্তা তো বিএনপি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দেড় বছর আগেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। এই ৩১ দফা আজ রাজনৈতিক মহলে এক মহাকাব্য হয়ে উঠেছে।”
সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা এমন সংস্কার চাই, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরেকটি জীবন, আরেকটি রাষ্ট্র মডেল গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ৩১ দফায় এমন উইন্ডো রেখেছি, যার মাধ্যমে জাতি ও জনগণের জন্য কল্যাণকর যেকোনো প্রস্তাব আমরা অন্তর্ভুক্ত করতে পারি।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে তাঁর ওপর সংকলিত স্মারক গ্রন্থ, ইন্টারনেট আর্কাইভ ও প্রকাশনা উদ্বোধন করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্রেইনের সাঈদ আবদুল্লাহ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস, লেখক মুসা আল হাফিজ ও ভয়েস ফর রিফর্ম প্ল্যাটফর্মের সহ-আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুর।