ষাটের দশকের ছাত্ররাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসৈনিক, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক জানিয়েছেন, ৮২ বছর বয়সী তোফায়েল আহমেদ চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি বর্তমানে সিসিইউতে রয়েছেন এবং তার অবস্থা ভালো নয়। তবে মৃত্যুর গুঞ্জন সত্য নয় বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত সহকারী আবুল খায়ের জানান, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, কয়েক বছর ধরে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতেন তোফায়েল আহমেদ। স্ট্রোকের কারণে তার শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়।
১৯৪৩ সালে ভোলায় জন্ম নেওয়া তোফায়েল আহমেদ ১৯৬৮-৬৯ সালে ডাকসুর ভিপি হিসেবে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তার নেতৃত্বে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধানদের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন তিনি। পরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন কাটান।
তোফায়েল আহমেদ ৯ বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ষাটের দশকের ছাত্ররাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসৈনিক, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক জানিয়েছেন, ৮২ বছর বয়সী তোফায়েল আহমেদ চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি বর্তমানে সিসিইউতে রয়েছেন এবং তার অবস্থা ভালো নয়। তবে মৃত্যুর গুঞ্জন সত্য নয় বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত সহকারী আবুল খায়ের জানান, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, কয়েক বছর ধরে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতেন তোফায়েল আহমেদ। স্ট্রোকের কারণে তার শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়।
১৯৪৩ সালে ভোলায় জন্ম নেওয়া তোফায়েল আহমেদ ১৯৬৮-৬৯ সালে ডাকসুর ভিপি হিসেবে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তার নেতৃত্বে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধানদের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন তিনি। পরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন কাটান।
তোফায়েল আহমেদ ৯ বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।