খাগড়াছড়িতে এক মারমা ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘নীরবতা’ এবং দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।
অলিক এর আগে বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
সোমবার দুপুরে তিনি জানান, খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে দলের নীরব ভূমিকা ও হান্নান মাসউদের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আমি দল থেকে পদত্যাগ করেছি। ইমেইলে পদত্যাগপত্র দলীয় নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দপ্তর সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে অলিক মৃ বলেন, হান্নান মাসউদ জুম্ম ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই ঘটনা ভুয়া ও নাটক। আমি এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় অলিক মৃ নিজের ফেইসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
রোববার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের সাইফুল মার্কেট এলাকায় আয়োজিত ঐক্য ও সংহতির সমাবেশে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ দাবি করেন, "শেষ ট্রাম্পকার্ড খেলছে ভারত, একটি ভুয়া ধর্ষণের ঘটনার মাধ্যমে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ভারত এই অঞ্চল কেড়ে নিতে চায়। তবে আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই—বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের মোকাবিলা করেছি, ২০২৫ সালে ভারতের মোকাবিলাও করব।"
এদিকে ধর্ষণের ওই ঘটনার জেরে পাহাড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার থেকে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’ ব্যানারে তিন পার্বত্য জেলায় চলছে অবরোধ।
পরিস্থিতি অবনতি হলে শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ির গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু এর মধ্যেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং একটি বাজারে আগুন দেওয়া হয়। পরে অবরোধকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে তিনজন নিহতের খবর আসে।
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
খাগড়াছড়িতে এক মারমা ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘নীরবতা’ এবং দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।
অলিক এর আগে বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
সোমবার দুপুরে তিনি জানান, খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে দলের নীরব ভূমিকা ও হান্নান মাসউদের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আমি দল থেকে পদত্যাগ করেছি। ইমেইলে পদত্যাগপত্র দলীয় নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দপ্তর সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে অলিক মৃ বলেন, হান্নান মাসউদ জুম্ম ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই ঘটনা ভুয়া ও নাটক। আমি এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় অলিক মৃ নিজের ফেইসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
রোববার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের সাইফুল মার্কেট এলাকায় আয়োজিত ঐক্য ও সংহতির সমাবেশে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ দাবি করেন, "শেষ ট্রাম্পকার্ড খেলছে ভারত, একটি ভুয়া ধর্ষণের ঘটনার মাধ্যমে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ভারত এই অঞ্চল কেড়ে নিতে চায়। তবে আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই—বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের মোকাবিলা করেছি, ২০২৫ সালে ভারতের মোকাবিলাও করব।"
এদিকে ধর্ষণের ওই ঘটনার জেরে পাহাড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার থেকে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’ ব্যানারে তিন পার্বত্য জেলায় চলছে অবরোধ।
পরিস্থিতি অবনতি হলে শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ির গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু এর মধ্যেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং একটি বাজারে আগুন দেওয়া হয়। পরে অবরোধকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে তিনজন নিহতের খবর আসে।