ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিষয়টি প্রকাশ হয়েছিল আগেই। সম্প্রতি জামায়াতের আমিরের কার্যালয়ে বিদেশিদের সঙ্গে এক বৈঠকে দেখা যায় এ নতুন লোগো। আর তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। আর মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তা নিশ্চিত করলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তবে তিনি জানিয়েছেন, পরিবর্তিত লোগো এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের লোগোটা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এটা ঠিক। একটা নতুন লোগো আমরা তৈরি করছি। ৩-৪টি লোগো ডিজাইন নিয়ে আমাদের মধ্যে অলরেডি আলোচনা হয়েছে। কিছু কিছু লোগোকে আমরা এডিট করে একটা চূড়ান্ত জায়গায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আমাদের ডিসিশন মেকিং ফোরাম আছে, অ্যাপেক্স বডি আছে, সেখানেই এ লোগোটা চূড়ান্ত হবে। চূড়ান্ত হলে তা আমরা আপনাদেরকে জানাবো।’
গত রোববার রাজধানীর বসুন্ধরার কার্যালয়ে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতিনিধিদলের আলাদা দুটি বৈঠকের ছবিতে নতুন লোগো দেখা যায়। ওই লোগোতে দেখা যায়, সবুজ পতাকার মধ্যে বই ও উদীয়মান সূর্য; তার ওপর কলম। কলমটি ব্যবহৃত হয়েছে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লার দন্ড হিসেবে।
জামায়াতে ইসলামীর আগের লোগোতে থাকা আরবিতে লেখা ‘আল্লাহু’ এবং কোরআনের আয়াতের একটি অংশ ‘আকিমুদ্দিন’ নতুন লোগোতে দেখা যায়নি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার পর গতকাল সোমবার জামায়াতের আমিরের বসুন্ধরার কার্যালয়ে বসানো লোগোটি সরিয়ে ফেলা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমাদের যে লোগোটা আপনারা সেদিন একটা বিদেশি ডেলিগেশনের সামনে আলোচনায় আমাদের সম্মানিত আমিরে জামায়াতের যে কার্যালয় বসুন্ধরায়, সেখানে তার কক্ষে যেটা সন্নিবেশিত করা হয়েছিল, এটাকেই আমাদের লোগো বলে অনেকে বিবেচনা করেছেন। এ বিবেচনা করাটাকে আমি দোষনীয় মনে করছি না। আমরা ব্যাখ্যা দিয়েছি যে, আমাদের এই লোগোটাই চূড়ান্ত লোগো নয়। যেটা আপনারা দেখেছেন, ওই যেগুলোকে আমরা একটু প্রস্তুত করছিলাম এক্সপেরিমেন্টালভাবে, পরীক্ষামূলকভাবে ওই লোগোটা ওইদিন মেহমানরা এসেছিলেন, জাস্ট ডেকোরেশনের সময় ওটাকে একটু সেট করে দেয়া হয়েছে। দ্যাট ইজ নট ফাইনাল লোগো।’
কেন লোগো পরিবর্তন করা হচ্ছে- এই প্রশ্নে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘পরিবর্তন একটা সংগঠনের থাকতেই পারে। সেটা যখন চূড়ান্ত লোগো অফিশিয়ালি ঘোষণা করবো, তখন তার ব্যাখ্যা আমরা দেব।’
‘কোনো দলের দিকে তাকিয়ে পিআরের দাবি নয়’
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের আসন বাড়বে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা কোনো দলের দিকে তাকিয়ে পিআরের দাবি করিনি। পৃথিবীর ৯০/৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে। কালো টাকা, পেশি শক্তি, প্রত্যেকটি ভোটারের মূল্যায়ন, একটি কোয়ালিটি পার্লামেন্ট এবং সবার অংশীদারত্বের ভিত্তিতে একটা চমৎকার সংসদ তৈরি হবে এর যুক্তি-ব্যাখ্যা আমরা বিভিন্ন সময় দিয়েছি। কার লাভ আর কার ক্ষতি এটা আমাদের প্রস্তাবের সামনে বিবেচ্য বিষয় নয়। জনগণের প্রতিনিধিত্ব, প্রত্যেকটি ভোটের মূল্যায়ন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া এবং একটা রিচ পার্লামেন্ট গঠন- এই প্রয়োজনটা আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে তারা প্রয়োগ করে দেখেছে, আমরা সেটা (পিআর) এখানে দাবি করেছি।’
আওয়ামী লীগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। তাদের ব্যাপারে সরকারের যে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা বা তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করার পরে নির্বাচন কমিশন আবার ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, এ ঘোষণার কারণে তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তারপরে নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দকৃত প্রতীকের যে তালিকা ছিল, অফিশিয়ালি ইলেকশন কমিশন কিন্তু জানিয়েছে যে, সেই প্রতীকের তালিকা থেকে নৌকা প্রতীককেও বাদ দেয়া হয়েছে, রেজিস্ট্রেশন স্থগিত হয়ে আছে। এ ইলেকশনে তো আওয়ামী লীগের আসার কোনো সুযোগই নেই। ফলে এই প্রশ্নটাও খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক।’
‘আন্দোলন হলেও আলোচনার সুযোগ আছে’
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দাবিতে জামায়াতের আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আন্দোলনটাকে নিয়মতান্ত্রিক কনস্ট্রাকটিভ ওয়েতে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। সরকারপ্রধান যিনি, তিনি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট, আবার তিনি হেড অব দ্য ন্যাশনাল কনসেন্সাস কমিশন- দুইটা দায়িত্বই তার ওপরে যায়। আমরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি কোনো ব্যাপারে যদি কনভিন্সড না হন, তিনি আন্দোলনকারী দল হিসেবে আমাদের
ডাকতে পারেন, আমরা উনাদের সামনে যুক্তি উপস্থাপন করবো, উনারা আমাকে বোঝাবেন।
তিনি বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে এটার নিষ্পত্তি হতে পারে। সেই সুযোগ রয়ে গেছে। সেই কারণে আমরা আমাদের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং দেশবাসীকে ম্যাচিউরড করছি এবং এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইনশাল্লাহ দাবি পূরণ হবে। এ আশায় আমরা আন্দোলন কন্টিনিউ করে যাচ্ছি।’
‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনিশ্চয়তায় পড়ার কারণ নেই’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘মুভমেন্টটা তো পার্ট অব পলিটিক্স, এটা তো থাকবেই। এ রকম আন্দোলন সব সময় হয়েছে। একটা দাবির জন্য হতেই পারে। যে আন্দোলনটা গঠনমূলক, সেই আন্দোলনটা আলোচনায় নিষ্পত্তি হতে পারে। এজন্য নির্বাচন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের দাবির মধ্যে খেয়াল রাখবেন, বলেছি যে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে- এ দাবি মেনে নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন চাই, ২০২৬ সালের।’
অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল ও দক্ষিণের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিষয়টি প্রকাশ হয়েছিল আগেই। সম্প্রতি জামায়াতের আমিরের কার্যালয়ে বিদেশিদের সঙ্গে এক বৈঠকে দেখা যায় এ নতুন লোগো। আর তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। আর মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তা নিশ্চিত করলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তবে তিনি জানিয়েছেন, পরিবর্তিত লোগো এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের লোগোটা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এটা ঠিক। একটা নতুন লোগো আমরা তৈরি করছি। ৩-৪টি লোগো ডিজাইন নিয়ে আমাদের মধ্যে অলরেডি আলোচনা হয়েছে। কিছু কিছু লোগোকে আমরা এডিট করে একটা চূড়ান্ত জায়গায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আমাদের ডিসিশন মেকিং ফোরাম আছে, অ্যাপেক্স বডি আছে, সেখানেই এ লোগোটা চূড়ান্ত হবে। চূড়ান্ত হলে তা আমরা আপনাদেরকে জানাবো।’
গত রোববার রাজধানীর বসুন্ধরার কার্যালয়ে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতিনিধিদলের আলাদা দুটি বৈঠকের ছবিতে নতুন লোগো দেখা যায়। ওই লোগোতে দেখা যায়, সবুজ পতাকার মধ্যে বই ও উদীয়মান সূর্য; তার ওপর কলম। কলমটি ব্যবহৃত হয়েছে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লার দন্ড হিসেবে।
জামায়াতে ইসলামীর আগের লোগোতে থাকা আরবিতে লেখা ‘আল্লাহু’ এবং কোরআনের আয়াতের একটি অংশ ‘আকিমুদ্দিন’ নতুন লোগোতে দেখা যায়নি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার পর গতকাল সোমবার জামায়াতের আমিরের বসুন্ধরার কার্যালয়ে বসানো লোগোটি সরিয়ে ফেলা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমাদের যে লোগোটা আপনারা সেদিন একটা বিদেশি ডেলিগেশনের সামনে আলোচনায় আমাদের সম্মানিত আমিরে জামায়াতের যে কার্যালয় বসুন্ধরায়, সেখানে তার কক্ষে যেটা সন্নিবেশিত করা হয়েছিল, এটাকেই আমাদের লোগো বলে অনেকে বিবেচনা করেছেন। এ বিবেচনা করাটাকে আমি দোষনীয় মনে করছি না। আমরা ব্যাখ্যা দিয়েছি যে, আমাদের এই লোগোটাই চূড়ান্ত লোগো নয়। যেটা আপনারা দেখেছেন, ওই যেগুলোকে আমরা একটু প্রস্তুত করছিলাম এক্সপেরিমেন্টালভাবে, পরীক্ষামূলকভাবে ওই লোগোটা ওইদিন মেহমানরা এসেছিলেন, জাস্ট ডেকোরেশনের সময় ওটাকে একটু সেট করে দেয়া হয়েছে। দ্যাট ইজ নট ফাইনাল লোগো।’
কেন লোগো পরিবর্তন করা হচ্ছে- এই প্রশ্নে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘পরিবর্তন একটা সংগঠনের থাকতেই পারে। সেটা যখন চূড়ান্ত লোগো অফিশিয়ালি ঘোষণা করবো, তখন তার ব্যাখ্যা আমরা দেব।’
‘কোনো দলের দিকে তাকিয়ে পিআরের দাবি নয়’
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের আসন বাড়বে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা কোনো দলের দিকে তাকিয়ে পিআরের দাবি করিনি। পৃথিবীর ৯০/৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে। কালো টাকা, পেশি শক্তি, প্রত্যেকটি ভোটারের মূল্যায়ন, একটি কোয়ালিটি পার্লামেন্ট এবং সবার অংশীদারত্বের ভিত্তিতে একটা চমৎকার সংসদ তৈরি হবে এর যুক্তি-ব্যাখ্যা আমরা বিভিন্ন সময় দিয়েছি। কার লাভ আর কার ক্ষতি এটা আমাদের প্রস্তাবের সামনে বিবেচ্য বিষয় নয়। জনগণের প্রতিনিধিত্ব, প্রত্যেকটি ভোটের মূল্যায়ন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া এবং একটা রিচ পার্লামেন্ট গঠন- এই প্রয়োজনটা আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে তারা প্রয়োগ করে দেখেছে, আমরা সেটা (পিআর) এখানে দাবি করেছি।’
আওয়ামী লীগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। তাদের ব্যাপারে সরকারের যে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা বা তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করার পরে নির্বাচন কমিশন আবার ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, এ ঘোষণার কারণে তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তারপরে নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দকৃত প্রতীকের যে তালিকা ছিল, অফিশিয়ালি ইলেকশন কমিশন কিন্তু জানিয়েছে যে, সেই প্রতীকের তালিকা থেকে নৌকা প্রতীককেও বাদ দেয়া হয়েছে, রেজিস্ট্রেশন স্থগিত হয়ে আছে। এ ইলেকশনে তো আওয়ামী লীগের আসার কোনো সুযোগই নেই। ফলে এই প্রশ্নটাও খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক।’
‘আন্দোলন হলেও আলোচনার সুযোগ আছে’
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দাবিতে জামায়াতের আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আন্দোলনটাকে নিয়মতান্ত্রিক কনস্ট্রাকটিভ ওয়েতে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। সরকারপ্রধান যিনি, তিনি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট, আবার তিনি হেড অব দ্য ন্যাশনাল কনসেন্সাস কমিশন- দুইটা দায়িত্বই তার ওপরে যায়। আমরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি কোনো ব্যাপারে যদি কনভিন্সড না হন, তিনি আন্দোলনকারী দল হিসেবে আমাদের
ডাকতে পারেন, আমরা উনাদের সামনে যুক্তি উপস্থাপন করবো, উনারা আমাকে বোঝাবেন।
তিনি বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে এটার নিষ্পত্তি হতে পারে। সেই সুযোগ রয়ে গেছে। সেই কারণে আমরা আমাদের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং দেশবাসীকে ম্যাচিউরড করছি এবং এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইনশাল্লাহ দাবি পূরণ হবে। এ আশায় আমরা আন্দোলন কন্টিনিউ করে যাচ্ছি।’
‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনিশ্চয়তায় পড়ার কারণ নেই’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘মুভমেন্টটা তো পার্ট অব পলিটিক্স, এটা তো থাকবেই। এ রকম আন্দোলন সব সময় হয়েছে। একটা দাবির জন্য হতেই পারে। যে আন্দোলনটা গঠনমূলক, সেই আন্দোলনটা আলোচনায় নিষ্পত্তি হতে পারে। এজন্য নির্বাচন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের দাবির মধ্যে খেয়াল রাখবেন, বলেছি যে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে- এ দাবি মেনে নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন চাই, ২০২৬ সালের।’
অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল ও দক্ষিণের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।