ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
‘আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে এলাকায় না থাকতে পারে’- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের এমন নির্দেশনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পুলিশ কমিশনারের স্বাক্ষরযুক্ত একটি অফিস আদেশে দেখা যায়, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে না থাকতে পারে’ এ ব্যাপারে থানার ওসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরে মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, ‘এই নির্দেশনায় শব্দগত ভুল রয়েছে’।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। তাদের বিরুদ্ধে এটি তো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত: এসএমপি কমিশনার
প্রবাসী তান্নার স্ট্যাটাস, ‘আপনারা আদেশ দেন, মাঠে যারা আছে তারা কাজ করে, পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে মাঠে, আওয়ামী লীগ ও অতীতের আমলে পুলিশ
ভুল করেছে, পরবর্তী
সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে
সংশোধনের প্রয়োজন’
জানা যায়, সম্প্রতি সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার। ওই বৈঠকে নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পর গত রোববার পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী স্বাক্ষরিত নির্দেশনা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
নির্দেশনার একটি অংশে লেখা রয়েছে- ‘ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে এসএমপির আওতাধীন এলাকায় কোনো আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের লোকজন প্রকাশ্যে যাতে থাকতে না পারে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রদান করার জন্য সব অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এসি, এডিসি ও ডিসিরা এ বিষয়ে তদারকি করবেন।’
নির্দেশনার এ অংশটি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। পুলিশ কমিশনারের এমন নির্দেশনা দেয়া ঠিক হয়নি জানিয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি সিলেটের সভাপতি, আইনজীবী সৈয়দা শিরিন আক্তার বলেন, নিজের বাসাবাড়িতে থাকার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। কেউ যদি মামলার আসামি হয়, যদি তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকে তাহলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। অন্যতায় কাউকে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরায় বাধা দেয়া আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
যুক্তরাজ্য থেকে মাহফুজুর রহমান তান্না নামে একজন পুলিশ কমিশনার উদ্দেশ্যে ফেইসবুকে লিখেন, ‘অতি উৎসাহী হয়ে দলীয় পুলিশ হয়ে যাবেন না। অতীতে কিন্তু পুলিশ দলীয়ভাবে উৎসাহিত হয়ে দলের যেমন ক্ষতি হয়েছে, ও ঠিক তেমনি পুলিশবাহিনীর এতোগুলো প্রাণ হত্যা করা হয়েছে, আপনার মতো কিছু পুলিশের জন্য। আপনারা আদেশ দেন, মাঠে যারা আছে তারা কাজ করে, পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে মাঠে, অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের কপালে যেমনটা হয়েছে। ১৮তম বিসিএস পুলিশের ৬০ জনের মধ্যে ৫৮তম মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আপনার চাকরি।
আওয়ামী লীগ ও অতীতের আমলে পুলিশ ভুল করেছে, পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে সংশোধনের প্রয়োজন।’
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। তাদের বিরুদ্ধে এটি তো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। এরপর তিনি বলেন, এই নির্দেশনায় কিছু শব্দগত ভুল থাকতে পারে। এটি সংশোধন করে আবার আমরা পাঠাবো।
এদিকে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে জিটিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করি নি। এমনকি তাদের রেজিস্ট্রেশনও স্থগিতও করা হয়নি। শুধুমাত্র তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মকা- করতে পারবে না। তারা একটি দল হিসেবে বৈধ কিন্তু তাদের কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। যে কোনো সময় তাদের কার্যক্রম সচল করা হতে পারে।
গতকাল সোমবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে জিটিও।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সিলেটের পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগ দেন আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী। এরআগে গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপ-সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনারের দায়িত্ব দেয়া হয়। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন পুলিশ কমিশনারের কিছু উদ্যোগ নগরবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
‘আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে এলাকায় না থাকতে পারে’- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের এমন নির্দেশনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পুলিশ কমিশনারের স্বাক্ষরযুক্ত একটি অফিস আদেশে দেখা যায়, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে না থাকতে পারে’ এ ব্যাপারে থানার ওসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরে মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, ‘এই নির্দেশনায় শব্দগত ভুল রয়েছে’।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। তাদের বিরুদ্ধে এটি তো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত: এসএমপি কমিশনার
প্রবাসী তান্নার স্ট্যাটাস, ‘আপনারা আদেশ দেন, মাঠে যারা আছে তারা কাজ করে, পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে মাঠে, আওয়ামী লীগ ও অতীতের আমলে পুলিশ
ভুল করেছে, পরবর্তী
সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে
সংশোধনের প্রয়োজন’
জানা যায়, সম্প্রতি সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার। ওই বৈঠকে নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পর গত রোববার পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী স্বাক্ষরিত নির্দেশনা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
নির্দেশনার একটি অংশে লেখা রয়েছে- ‘ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে এসএমপির আওতাধীন এলাকায় কোনো আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের লোকজন প্রকাশ্যে যাতে থাকতে না পারে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রদান করার জন্য সব অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এসি, এডিসি ও ডিসিরা এ বিষয়ে তদারকি করবেন।’
নির্দেশনার এ অংশটি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। পুলিশ কমিশনারের এমন নির্দেশনা দেয়া ঠিক হয়নি জানিয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি সিলেটের সভাপতি, আইনজীবী সৈয়দা শিরিন আক্তার বলেন, নিজের বাসাবাড়িতে থাকার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। কেউ যদি মামলার আসামি হয়, যদি তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকে তাহলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। অন্যতায় কাউকে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরায় বাধা দেয়া আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
যুক্তরাজ্য থেকে মাহফুজুর রহমান তান্না নামে একজন পুলিশ কমিশনার উদ্দেশ্যে ফেইসবুকে লিখেন, ‘অতি উৎসাহী হয়ে দলীয় পুলিশ হয়ে যাবেন না। অতীতে কিন্তু পুলিশ দলীয়ভাবে উৎসাহিত হয়ে দলের যেমন ক্ষতি হয়েছে, ও ঠিক তেমনি পুলিশবাহিনীর এতোগুলো প্রাণ হত্যা করা হয়েছে, আপনার মতো কিছু পুলিশের জন্য। আপনারা আদেশ দেন, মাঠে যারা আছে তারা কাজ করে, পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে মাঠে, অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের কপালে যেমনটা হয়েছে। ১৮তম বিসিএস পুলিশের ৬০ জনের মধ্যে ৫৮তম মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আপনার চাকরি।
আওয়ামী লীগ ও অতীতের আমলে পুলিশ ভুল করেছে, পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে সংশোধনের প্রয়োজন।’
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। তাদের বিরুদ্ধে এটি তো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। এরপর তিনি বলেন, এই নির্দেশনায় কিছু শব্দগত ভুল থাকতে পারে। এটি সংশোধন করে আবার আমরা পাঠাবো।
এদিকে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে জিটিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করি নি। এমনকি তাদের রেজিস্ট্রেশনও স্থগিতও করা হয়নি। শুধুমাত্র তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মকা- করতে পারবে না। তারা একটি দল হিসেবে বৈধ কিন্তু তাদের কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। যে কোনো সময় তাদের কার্যক্রম সচল করা হতে পারে।
গতকাল সোমবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে জিটিও।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সিলেটের পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগ দেন আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী। এরআগে গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপ-সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনারের দায়িত্ব দেয়া হয়। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন পুলিশ কমিশনারের কিছু উদ্যোগ নগরবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে।