ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সর্ম্পকে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যে ‘প্রশ্নবোধক চিহ্ন’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলছেন, ‘মেহেদি হাসানকে (জিটিওর সাংবাদিক) প্রধান উপদেষ্টা যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, সেটি আপনাদের মতো আমারও পত্র-পত্রিকায় বা মিডিয়ার কল্যাণে কিছুটা পড়া এবং দেখার সুযোগ হয়েছে। উনি বেশ কতগুলো কথা বলেছেন, অমর্ত্য সেন ওনাকে কী বলেছেন, বা মেহেদি হাসান যে প্রশ্ন করেছেন এবং মেহেদি হাসানের প্রশ্নের উত্তরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন, যেটা মানুষের মধ্যে একটু, এমনকি আমার মধ্যেও এক ধরনের প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে।’
বুধবার,(০১ অক্টোবর ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের এক অনুষ্ঠানে এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা বলেন। ‘আজহার-শফিক ফাউন্ডেশন’ তাদের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে গিয়ে সম্প্রতি ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম জিটিওতে সাক্ষাৎকার দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং আগামী নির্বাচনে দলটির অংশগ্রহণের সম্ভাবনা থাকা না থাকার বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক মেহেদি হাসানের এক প্রশ্নে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়নি, শুধু তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পারবে না। তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ।’
আওয়ামী লীগের স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার সম্ভাবনা জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া; এটা একটা সম্ভাবনা।’
প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন বলেন,
‘তাদের বিচার ছাড়া বা তাদের অনুশোচনা ছাড়া, আজ যদি আমরা একাত্তর নিয়ে এত কথা বলি। তাহলে এই চব্বিশে গত ১৫ বছরে দেশের ভোটাধিকার চুরি, দিনের ভোট রাতে করেছে, তার জন্য তাদের অনুশোচনা হবে না, এটা তো হতে পারে না।’
আওয়ামী লীগকে অবশ্যই জনগণের কাছে শর্তহীন ক্ষমা চাইতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমা করবে কি করবে না। এটি ব্যক্তিগতভাবে কারও করার বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে, কোনো অবস্থাতেই গণহত্যাকারী এবং গণদুশমন যারা ছিল, যারা গুম করেছে, যারা মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে, যারা মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করে বিদেশে নিয়ে পাহাড় গড়েছে তাদের বিচার এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি, আয়না ঘর বলেন, গুম বলেন, এনকাউন্টার বলেন এবং অট্টহাসি অর্থাৎ প্রতিহিংসা পরায়ণতার যে চরমপরাকাষ্ঠা উনারা দেখিয়েছেন এর বিরুদ্ধে বিএনপি সবসময় সোচ্চার এবং আমরা মনে করি, তারা গণদুশমন।’
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, যে কেনো সময়ে তাদের নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে সেক্ষেত্রে বিএনপি ভীত কিনা জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং গণতন্ত্রকাগামী শক্তির যে ঐক্য হয়েছে, এই ঐক্য কোনো অবস্থাতেই ভীত হলে ৫ আগস্ট উনি (শেখ হাসিনা) পালাতেন না। উনি যদি সত্যিকার অর্থে রাজনীতিক হতেন, তাহলে মাঠে থেকে রাজনীতি মোকাবিলা করতেন। কী হতো? যা হওয়ার সেটা হতো, জেলখানায় যেতেন।’
‘আজহার-শফিক ফাউন্ডেশনের’ সভাপতি একেএম শামসুল ইসলাম রঞ্জুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বক্তব্য দেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫
আওয়ামী লীগ সর্ম্পকে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যে ‘প্রশ্নবোধক চিহ্ন’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলছেন, ‘মেহেদি হাসানকে (জিটিওর সাংবাদিক) প্রধান উপদেষ্টা যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, সেটি আপনাদের মতো আমারও পত্র-পত্রিকায় বা মিডিয়ার কল্যাণে কিছুটা পড়া এবং দেখার সুযোগ হয়েছে। উনি বেশ কতগুলো কথা বলেছেন, অমর্ত্য সেন ওনাকে কী বলেছেন, বা মেহেদি হাসান যে প্রশ্ন করেছেন এবং মেহেদি হাসানের প্রশ্নের উত্তরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন, যেটা মানুষের মধ্যে একটু, এমনকি আমার মধ্যেও এক ধরনের প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে।’
বুধবার,(০১ অক্টোবর ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের এক অনুষ্ঠানে এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা বলেন। ‘আজহার-শফিক ফাউন্ডেশন’ তাদের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে গিয়ে সম্প্রতি ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম জিটিওতে সাক্ষাৎকার দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং আগামী নির্বাচনে দলটির অংশগ্রহণের সম্ভাবনা থাকা না থাকার বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক মেহেদি হাসানের এক প্রশ্নে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়নি, শুধু তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পারবে না। তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ।’
আওয়ামী লীগের স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার সম্ভাবনা জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া; এটা একটা সম্ভাবনা।’
প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন বলেন,
‘তাদের বিচার ছাড়া বা তাদের অনুশোচনা ছাড়া, আজ যদি আমরা একাত্তর নিয়ে এত কথা বলি। তাহলে এই চব্বিশে গত ১৫ বছরে দেশের ভোটাধিকার চুরি, দিনের ভোট রাতে করেছে, তার জন্য তাদের অনুশোচনা হবে না, এটা তো হতে পারে না।’
আওয়ামী লীগকে অবশ্যই জনগণের কাছে শর্তহীন ক্ষমা চাইতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমা করবে কি করবে না। এটি ব্যক্তিগতভাবে কারও করার বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে, কোনো অবস্থাতেই গণহত্যাকারী এবং গণদুশমন যারা ছিল, যারা গুম করেছে, যারা মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে, যারা মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করে বিদেশে নিয়ে পাহাড় গড়েছে তাদের বিচার এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি, আয়না ঘর বলেন, গুম বলেন, এনকাউন্টার বলেন এবং অট্টহাসি অর্থাৎ প্রতিহিংসা পরায়ণতার যে চরমপরাকাষ্ঠা উনারা দেখিয়েছেন এর বিরুদ্ধে বিএনপি সবসময় সোচ্চার এবং আমরা মনে করি, তারা গণদুশমন।’
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, যে কেনো সময়ে তাদের নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে সেক্ষেত্রে বিএনপি ভীত কিনা জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং গণতন্ত্রকাগামী শক্তির যে ঐক্য হয়েছে, এই ঐক্য কোনো অবস্থাতেই ভীত হলে ৫ আগস্ট উনি (শেখ হাসিনা) পালাতেন না। উনি যদি সত্যিকার অর্থে রাজনীতিক হতেন, তাহলে মাঠে থেকে রাজনীতি মোকাবিলা করতেন। কী হতো? যা হওয়ার সেটা হতো, জেলখানায় যেতেন।’
‘আজহার-শফিক ফাউন্ডেশনের’ সভাপতি একেএম শামসুল ইসলাম রঞ্জুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বক্তব্য দেন।