ইসি ‘স্বেচ্ছাচারী এবং বৈষম্যমূলক আচরণ করছে’: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধীদের গড়া রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি নির্বাচনী প্রতীক বেছে নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধনের জন্য বিবেচিত হওয়া দলটির উদ্দেশ্যে ইসি বলেছে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় ‘শাপলা’ না থাকায় দলটিকে তাদের কাক্সিক্ষত এ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গত মঙ্গলবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ নতুন দল নিবন্ধন নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানানোর পর ওই দিনই চিঠি পাঠানো হয় এনসিপিকে।
চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল, যা প্রাথমিক পর্যালোচনায় গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। দলটির আবেদনপত্রে পছন্দের প্রতীকের ক্রমানুযায়ী শাপলা, কলম ও মোবাইলের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯ (১) অনুযায়ী প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা’ অন্তর্ভুক্ত নেই।
এমন অবস্থায় ইসির দেয়া প্রতীকের তালিকা থেকে এখনও বরাদ্দ হয়নি- এমন একটি প্রতীক পছন্দ করে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
ইসির এ চিঠির প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘শাপলা প্রতীক পেতে আমাদের কোনো আইনি বাধা নেই- মর্মে আমরা নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলাম। সেই চিঠির নিষ্পত্তি না করে অসাংবিধানিক উপায়ে, স্বেচ্ছাচারী উপায়ে তারা আমাদের চিঠি দিয়েছে।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘একুশ শতকে এসে তারা আমাদের জন্য প্রতীক রেখেছে আলমিরা, উটপাখি, কাপ পিরিচ, থালাবাটি- এ ধরনের হাস্যকর প্রতীক; যেগুলো আমাদের সমাজ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, “প্রতীক প্রশ্নে আমাদের বক্তব্য হলো- ইসি স্বেচ্ছাচারী এবং বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। একটি দলীয় অফিসে পরিণত হচ্ছে। জাতীয় প্রতীকে ‘তারা’ রয়েছে; সেটা আবার জেএসডিরও প্রতীক। ইসি যদি ‘তারা’ দেখতে না পায়, তাহলে তাদের ব্লাইন্ড ঘোষণা করতে হবে। এ সময়ে এসে ইসি একটি দলের পক্ষে পক্ষপাতমূলক অবস্থান নিয়েছে।”
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নিবন্ধনের জন্য ১৪৩টি দল আবেদন করেছিল। এরমধ্যে ২২টি দলের তথ্য মাঠে পর্যালোচনা হয়েছে। প্রাথমিক বিবেচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি ছাড়াও নতুন দল বাংলাদেশ জাতীয় লীগ নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করেছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করে গত ২৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের ৫৬টি নিবন্ধিতদল রয়েছে। এরমধ্যে নিবন্ধন বাতিল ও স্থগিত রয়েছে ৪টির; এসব দলের বিপরীতে প্রতীকও সংরক্ষিত রয়েছে।
ইসির চিঠিতে নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য বরাদ্দযোগ্য ৫০টি প্রতীকের তালিকা দেয়া হয়েছে। প্রতীকগুলো হলো- আলমিরা, উটপাখি, কলম, কলস, কাপ-পিরিচ, কম্পিউটার, কলা, খাট, ঘুড়ি, চার্জার লাইট, চিংড়ি, চশমা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, তবলা, তরমুজ, থালা, দালান, দোলনা, প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলের টব, ফ্রিজ, বক, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বালতি, বেলুন, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, লাউ, লিচু, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার।
ইসি ‘স্বেচ্ছাচারী এবং বৈষম্যমূলক আচরণ করছে’: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫
বৈষম্যবিরোধীদের গড়া রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি নির্বাচনী প্রতীক বেছে নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধনের জন্য বিবেচিত হওয়া দলটির উদ্দেশ্যে ইসি বলেছে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় ‘শাপলা’ না থাকায় দলটিকে তাদের কাক্সিক্ষত এ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গত মঙ্গলবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ নতুন দল নিবন্ধন নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানানোর পর ওই দিনই চিঠি পাঠানো হয় এনসিপিকে।
চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল, যা প্রাথমিক পর্যালোচনায় গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। দলটির আবেদনপত্রে পছন্দের প্রতীকের ক্রমানুযায়ী শাপলা, কলম ও মোবাইলের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯ (১) অনুযায়ী প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা’ অন্তর্ভুক্ত নেই।
এমন অবস্থায় ইসির দেয়া প্রতীকের তালিকা থেকে এখনও বরাদ্দ হয়নি- এমন একটি প্রতীক পছন্দ করে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
ইসির এ চিঠির প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘শাপলা প্রতীক পেতে আমাদের কোনো আইনি বাধা নেই- মর্মে আমরা নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলাম। সেই চিঠির নিষ্পত্তি না করে অসাংবিধানিক উপায়ে, স্বেচ্ছাচারী উপায়ে তারা আমাদের চিঠি দিয়েছে।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘একুশ শতকে এসে তারা আমাদের জন্য প্রতীক রেখেছে আলমিরা, উটপাখি, কাপ পিরিচ, থালাবাটি- এ ধরনের হাস্যকর প্রতীক; যেগুলো আমাদের সমাজ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, “প্রতীক প্রশ্নে আমাদের বক্তব্য হলো- ইসি স্বেচ্ছাচারী এবং বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। একটি দলীয় অফিসে পরিণত হচ্ছে। জাতীয় প্রতীকে ‘তারা’ রয়েছে; সেটা আবার জেএসডিরও প্রতীক। ইসি যদি ‘তারা’ দেখতে না পায়, তাহলে তাদের ব্লাইন্ড ঘোষণা করতে হবে। এ সময়ে এসে ইসি একটি দলের পক্ষে পক্ষপাতমূলক অবস্থান নিয়েছে।”
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নিবন্ধনের জন্য ১৪৩টি দল আবেদন করেছিল। এরমধ্যে ২২টি দলের তথ্য মাঠে পর্যালোচনা হয়েছে। প্রাথমিক বিবেচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি ছাড়াও নতুন দল বাংলাদেশ জাতীয় লীগ নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করেছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করে গত ২৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের ৫৬টি নিবন্ধিতদল রয়েছে। এরমধ্যে নিবন্ধন বাতিল ও স্থগিত রয়েছে ৪টির; এসব দলের বিপরীতে প্রতীকও সংরক্ষিত রয়েছে।
ইসির চিঠিতে নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য বরাদ্দযোগ্য ৫০টি প্রতীকের তালিকা দেয়া হয়েছে। প্রতীকগুলো হলো- আলমিরা, উটপাখি, কলম, কলস, কাপ-পিরিচ, কম্পিউটার, কলা, খাট, ঘুড়ি, চার্জার লাইট, চিংড়ি, চশমা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, তবলা, তরমুজ, থালা, দালান, দোলনা, প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলের টব, ফ্রিজ, বক, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বালতি, বেলুন, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, লাউ, লিচু, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার।