ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ বরাদ্দ দিলে তা নিয়ে নিজের কোনো আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। ইসিতে নিবন্ধনের সময় নাগরিক ঐক্য ‘শাপলা অথবা দোয়েল’ প্রতীক দাবি করেছিল। কিন্তু জাতীয় প্রতীক বিবেচনায় সেটি তখন বরাদ্দ দেয়নি ইসি। পরে ‘কেটলি’ প্রতীক বরাদ্দ পায় দলটি।
এখন নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় ‘শাপলা’ প্রতীক না থাকলেও এই প্রতীকের দাবিতে অনড় এনসিপি। তবে ইসি বলছে, নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য বরাদ্দযোগ্য ৫০টি প্রতীকের যে তালিকা দেয়া হয়েছে, এনসিপিকে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে তা থেকে একটি প্রতীক বেছে নিতে হবে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার, (০২ অক্টোবর ২০২৫) সিরাজগঞ্জে নাগরিক ঐক্যের এক অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমি তো চেয়েছি আমাকে দেয়নি। তারা (ইসি) বলেছে, এটা নাকি জাতীয় প্রতীক। আমাকে যদি জাতীয় প্রতীকের কারণে না দেন, তাহলে আর কাউকে তো দিতে পারেন না।’
মান্না বলেন, ‘ওরা (এনসিপি) এ বিষয়ে আমার কাছে এসেছিল। যারা জুলাই অভ্যুত্থান করেছে, তাদের বয়সের কারণে, অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাতের কথা বিবেচনা করে আমি তাদের প্রতি দরদী। আমি তাদের (এনসিপি) বলেছি, শাপলা প্রতীক যদি তোমাদের দিয়েই দেয়, আমি একটা অঙ্গীকার করতে পারি, কোনো মামলা করবো না। আমি এখনো মনে করি, শাপলা প্রতীক হিসাবে সুন্দর।’
এ নিয়ে ফেইসবুকেও পোস্ট করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। সেখানে তিনি লেখেন, ‘শাপলা প্রতীক যদি তাদের (এনসিপি) দিয়ে দেয়, কোনো মামলা করবো না।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়কের এ ফেইসবুক পোস্ট শেয়ার করে এনসিপি বলছে, অবশেষ এনসিপির শাপলা প্রতীক পেতে ‘আইনি এবং রাজনৈতিক কোনো বাধাই রইলো না’। এনসিপির অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ লেখা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দিতে প্রথমে যখন আইনি বাধা দেখালো, তখন এনসিপির লিগ্যাল উইং হাতে-কলমে ধরে ধরে বুঝিয়েছে যে এনসিপির শাপলা প্রতীক পেতে কোনো আইনি বাধা নেই। তখন নির্বাচন কমিশন হাজির করল রাজনৈতিক বাধা রয়েছে। এনসিপি বললো কী সেটা? তারা জবাবে বললো শাপলা প্রতীক আপনাদের আগে নাগরিক ঐক্য চেয়েছে। তাই শাপলা দিলে তাদেরকেই দিতে হবে। কিন্তু আজ যখন নাগরিক ঐক্যের সম্মানিত সভাপতি জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না জানিয়ে দিলেন যে, এনসিপিকে শাপলা দিলে তাদের দল থেকে কোনো মামলা করা হবে না। তখন নির্বাচন কমিশন যে রাজনৈতিক বাধার কথা বলেছিল সেটিও আর থাকছে না।’
শাপলা প্রতীক পেতে ‘আইনি ও রাজনৈতিক কোনো প্রতিবন্ধকতাই নেই’ মন্তব্য করে এনসিপির পোস্টে লেখা হয়, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন, স্বেচ্ছাচারিতা পরিহার করুন, দলীয় প্রভাব থেকে বের হয়ে জনগণ ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুন।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ বরাদ্দ দিলে তা নিয়ে নিজের কোনো আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। ইসিতে নিবন্ধনের সময় নাগরিক ঐক্য ‘শাপলা অথবা দোয়েল’ প্রতীক দাবি করেছিল। কিন্তু জাতীয় প্রতীক বিবেচনায় সেটি তখন বরাদ্দ দেয়নি ইসি। পরে ‘কেটলি’ প্রতীক বরাদ্দ পায় দলটি।
এখন নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় ‘শাপলা’ প্রতীক না থাকলেও এই প্রতীকের দাবিতে অনড় এনসিপি। তবে ইসি বলছে, নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য বরাদ্দযোগ্য ৫০টি প্রতীকের যে তালিকা দেয়া হয়েছে, এনসিপিকে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে তা থেকে একটি প্রতীক বেছে নিতে হবে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার, (০২ অক্টোবর ২০২৫) সিরাজগঞ্জে নাগরিক ঐক্যের এক অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমি তো চেয়েছি আমাকে দেয়নি। তারা (ইসি) বলেছে, এটা নাকি জাতীয় প্রতীক। আমাকে যদি জাতীয় প্রতীকের কারণে না দেন, তাহলে আর কাউকে তো দিতে পারেন না।’
মান্না বলেন, ‘ওরা (এনসিপি) এ বিষয়ে আমার কাছে এসেছিল। যারা জুলাই অভ্যুত্থান করেছে, তাদের বয়সের কারণে, অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাতের কথা বিবেচনা করে আমি তাদের প্রতি দরদী। আমি তাদের (এনসিপি) বলেছি, শাপলা প্রতীক যদি তোমাদের দিয়েই দেয়, আমি একটা অঙ্গীকার করতে পারি, কোনো মামলা করবো না। আমি এখনো মনে করি, শাপলা প্রতীক হিসাবে সুন্দর।’
এ নিয়ে ফেইসবুকেও পোস্ট করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। সেখানে তিনি লেখেন, ‘শাপলা প্রতীক যদি তাদের (এনসিপি) দিয়ে দেয়, কোনো মামলা করবো না।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়কের এ ফেইসবুক পোস্ট শেয়ার করে এনসিপি বলছে, অবশেষ এনসিপির শাপলা প্রতীক পেতে ‘আইনি এবং রাজনৈতিক কোনো বাধাই রইলো না’। এনসিপির অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ লেখা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দিতে প্রথমে যখন আইনি বাধা দেখালো, তখন এনসিপির লিগ্যাল উইং হাতে-কলমে ধরে ধরে বুঝিয়েছে যে এনসিপির শাপলা প্রতীক পেতে কোনো আইনি বাধা নেই। তখন নির্বাচন কমিশন হাজির করল রাজনৈতিক বাধা রয়েছে। এনসিপি বললো কী সেটা? তারা জবাবে বললো শাপলা প্রতীক আপনাদের আগে নাগরিক ঐক্য চেয়েছে। তাই শাপলা দিলে তাদেরকেই দিতে হবে। কিন্তু আজ যখন নাগরিক ঐক্যের সম্মানিত সভাপতি জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না জানিয়ে দিলেন যে, এনসিপিকে শাপলা দিলে তাদের দল থেকে কোনো মামলা করা হবে না। তখন নির্বাচন কমিশন যে রাজনৈতিক বাধার কথা বলেছিল সেটিও আর থাকছে না।’
শাপলা প্রতীক পেতে ‘আইনি ও রাজনৈতিক কোনো প্রতিবন্ধকতাই নেই’ মন্তব্য করে এনসিপির পোস্টে লেখা হয়, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন, স্বেচ্ছাচারিতা পরিহার করুন, দলীয় প্রভাব থেকে বের হয়ে জনগণ ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুন।’