alt

তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

ষাটের দশকের ছাত্ররাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসৈনিক, আওয়ামী লীগের এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

স্কয়ার হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক জানান, তোফায়েল আহমেদ এখনো লাইফ সাপোর্টে আছেন, তবে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সাড়া দিচ্ছে। তিনি বলেন, “উনার অবস্থা এখনো খুবই ক্রিটিক্যাল। তবে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস ৩০ শতাংশের মতো কাজ করছে। অন্যান্য অঙ্গও কাজ করছে। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

এদিন বিকেলে হাসপাতালে তাকে দেখে এসে তার ভাইয়ের মেয়ে শামীমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, “ওনার অবস্থা এখন ভালো, উনি চোখ খুলেছেন, কথা বলার চেষ্টাও করেছেন।”

বার্ধ্যক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে প্রায় ১১ দিন ধরে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তোফায়েল আহমেদ। শনিবার রাতে কিছু সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হলেও, তা সত্য নয় বলে হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক নিশ্চিত করেন।

তোফায়েল আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল খায়ের বলেন, “কয়েক দিনের তুলনায় ওনার অবস্থা উন্নতির দিকে। আজকে তুলনামূলকভাবে বেশ উন্নতি হয়েছে।”

পরিবারের এক সদস্য জানান, কয়েক বছর ধরেই হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন তোফায়েল আহমেদ। স্ট্রোকের কারণে তার শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বাঁ হাত ও পা অবশ হয়ে পড়ায় তিনি চলাফেরা অক্ষম হয়ে পড়েন।

১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলা জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোফায়েল আহমেদ। বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকাবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৬৮-৬৯ সালের উত্তাল সময়ে তিনি ছিলেন ডাকসুর ভিপি এবং সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। ওই গণআন্দোলনের চাপে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সকল আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

সেই বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত লাখো জনতার সমাবেশে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়, যা ঘোষণা করেন তোফায়েল আহমেদ নিজেই।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর অঞ্চলভিত্তিক চার প্রধানের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি নয়বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ তিনি ভোলা-১ আসনের এমপি ছিলেন।

দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর তিনি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন এবং বর্তমানে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান তাকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় নিজের রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি আবারও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

ছবি

‘আমাদের কি মরিয়া প্রমাণ করতে হবে আমরা অসুস্থ,’ আদালতে দীপু মনির প্রশ্ন

ছবি

কালকিনিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫

ছবি

১৭ বছর পর সাক্ষাৎকার, কী বললেন তারেক রহমান

ছবি

ফখরুল-একিনচি বৈঠক: ‘তুরস্কও নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী’

ছবি

বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজি বাড়বে, দেশের টাকা পাচার হবে: চরমোনাই পীর

ছবি

মামুনুল হক জানালেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এখনো কোনো জোটে যায়নি

ছবি

সিলেটে পানিবন্দি দুই উপজেলায় ভোট

ছবি

তোফায়েল আহমেদের অবস্থা সংকটাপন্ন

ছবি

মতবিনিময়: জাপা ও ১৪ দলের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চায় এনসিপি ও খেলাফত

ছবি

জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট: বিএনপি-এনসিপি চায় নির্বাচনের দিন, জামায়াত চায় আগে

ছবি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ছয় ফ্ল্যাট ও আট কোম্পানির সম্পদ জব্দের আদেশ

ছবি

পল্টনে পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ২২ জন অব্যাহতি

ছবি

ঐকমত্য না হলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে একাধিক প্রক্রিয়ার প্রস্তাব দেবে কমিশন

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

ছবি

কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে ঐক্যের ডাক মাসুদুজ্জামানের

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে: জিএম কাদের

ছবি

মার্কা দেখে নয়, যোগ্যতা দেখে নির্বাচিত করবেন : হাসনাত আব্দুল্লাহ

ছবি

“আলেমরা শুধু মসজিদ নয়, জাতিরও নেতৃত্ব দেবেন”:জামায়াত আমির

ছবি

“প্রতিদিন ‘হত্যার শিকার’ মানুষ, ‘নদীতে ভাসছে’ লাশ”: আনিসুল ইসলাম

ছবি

নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলাই’ কেন চায়, ব্যাখ্যা দিল এনসিপি

ছবি

নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি: সালাহউদ্দিন

ছবি

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিলে ‘আপত্তি নেই’ মান্নার

ছবি

‘সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানই বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন’

ছবি

আওয়ামী লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর রয়েছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

প্রতীক পছন্দে এনসিপিকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিলো ইসি

ছবি

বিএনপি ‘সংখ্যালঘু’ ও ‘সংখ্যাগুরু’ কথায় বিশ্বাস করে না : মঈন খান

ছবি

আ’লীগ ইস্যু: প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে ‘প্রশ্নবোধক চিহ্ন’ রয়েছে: জাহিদ

ছবি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মন্দির পরিদর্শনে জামায়াত নেতাকে পাশে বসিয়ে ক্ষমা না চাইলে জামায়াত ক্ষমতায় যেতে পারবে না : কাদের সিদ্দিকী

ছবি

আ’লীগের প্রকাশ্যে থাকা নিয়ে এসএমপির নির্দেশনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া, পরে বললেন, ‘শব্দগত ভুল’

ছবি

লোগো পরিবর্তন করছে জামায়াতে ইসলামী

ছবি

পিআর দাবীতে ইসলামী আন্দোলনেরও এবার ১১ দিনের কর্মসূচি

ছবি

নির্বাচনমুখী জনগণকে বাধা দেয়ার চেষ্টা রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

জামায়াতে ইসলামীর ১১ দিনের নতুন কর্মসূচি, দাবি পিআর এবং আরও চার

ছবি

এবি পার্টি ঘুরে ফের জামায়াতে সোলায়মান চৌধুরী

ছবি

পাহাড়ে ধর্ষণ: হান্নান মাসউদের বিতর্কিত মন্তব্য, পরে দুঃখ প্রকাশ, এনসিপি নেতার পদত্যাগ

ছবি

খাগড়াছড়ি ধর্ষণ প্রসঙ্গে এনসিপির নীরবতা ও নেতার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করলেন অলিক মৃ

tab

তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

ষাটের দশকের ছাত্ররাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসৈনিক, আওয়ামী লীগের এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

স্কয়ার হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক জানান, তোফায়েল আহমেদ এখনো লাইফ সাপোর্টে আছেন, তবে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সাড়া দিচ্ছে। তিনি বলেন, “উনার অবস্থা এখনো খুবই ক্রিটিক্যাল। তবে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস ৩০ শতাংশের মতো কাজ করছে। অন্যান্য অঙ্গও কাজ করছে। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

এদিন বিকেলে হাসপাতালে তাকে দেখে এসে তার ভাইয়ের মেয়ে শামীমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, “ওনার অবস্থা এখন ভালো, উনি চোখ খুলেছেন, কথা বলার চেষ্টাও করেছেন।”

বার্ধ্যক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে প্রায় ১১ দিন ধরে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তোফায়েল আহমেদ। শনিবার রাতে কিছু সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হলেও, তা সত্য নয় বলে হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক নিশ্চিত করেন।

তোফায়েল আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল খায়ের বলেন, “কয়েক দিনের তুলনায় ওনার অবস্থা উন্নতির দিকে। আজকে তুলনামূলকভাবে বেশ উন্নতি হয়েছে।”

পরিবারের এক সদস্য জানান, কয়েক বছর ধরেই হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন তোফায়েল আহমেদ। স্ট্রোকের কারণে তার শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বাঁ হাত ও পা অবশ হয়ে পড়ায় তিনি চলাফেরা অক্ষম হয়ে পড়েন।

১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলা জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোফায়েল আহমেদ। বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকাবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৬৮-৬৯ সালের উত্তাল সময়ে তিনি ছিলেন ডাকসুর ভিপি এবং সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। ওই গণআন্দোলনের চাপে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সকল আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

সেই বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত লাখো জনতার সমাবেশে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়, যা ঘোষণা করেন তোফায়েল আহমেদ নিজেই।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর অঞ্চলভিত্তিক চার প্রধানের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি নয়বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ তিনি ভোলা-১ আসনের এমপি ছিলেন।

দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর তিনি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন এবং বর্তমানে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান তাকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় নিজের রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি আবারও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

back to top