রংপুর-৬ আসন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর হয়ে মনোনয়নের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন তাকিয়া জাহান চৌধুরী। তার পোস্টারে এনসিপির প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ দাবি করেছে এনসিপি। তবে ‘শাপলা’ যেহেতু বাংলাদেশের জাতীয় ফুল, তাই এ বিষয়ে এখনও নির্বাচন কমিশনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এনসিপির নেতারা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এরই মধ্যে তাকিয়া জাহান চৌধুরী এনসিপির হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে পোস্টারে ‘শাপলা প্রতীক’ ব্যবহার করে প্রচার চালাচ্ছেন। যদিও তিনি দলের কোনো আনুষ্ঠানিক পদ-পদবি ধারণ করেন না।
সুশীল সমাজের এক প্রতিনিধি বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, “নির্বাচন কমিশন থেকে দল হিসেবে এখনও নিবন্ধন পায়নি এনসিপি। দলীয় প্রতীকও চূড়ান্ত হয়নি। তার আগেই এনসিপির এমন কর্মকাণ্ড বিতর্কিত।”
পীরগঞ্জ উপজেলার ভেণ্ডাবাড়ী ও আশপাশের এলাকায় এসব পোস্টার দেখা গেছে। পোস্টারে লেখা আছে—“আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪-রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপ্রত্যাশী সংসদ সদস্য প্রার্থী (শাপলা মার্কা) তাকিয়া জাহান চৌধুরী আপনাদের সবার সমর্থন ও দোয়া প্রার্থী।”
তাকিয়া জাহান চৌধুরী এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন (রংপুর-৬, পীরগঞ্জ) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তবে পরাজিত হন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি এনসিপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাকিয়া জাহান চৌধুরী বলেন, “এই আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহের কথা দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা জানেন। তারা কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।”
তবে প্রতীক বরাদ্দের আগে এমন পোস্টার ছাপানো যায় কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পোস্টারগুলো আগে ছাপানো হয়েছিল, যখন প্রতীক নিয়ে কোনো বিতর্ক ছিল না। এগুলো ভুলক্রমে লাগানো হয়েছে।”
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, “উনি আমাদের দলের একজন সমর্থক। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য হননি। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অনেক কর্মী-সমর্থক মনোনয়ন প্রত্যাশার জায়গা থেকে প্রচার চালাচ্ছেন।”
‘শাপলা’ প্রতীকে প্রচার চালাতে পারেন কি না জানতে চাইলে এনসিপি নেতা বলেন, “মানুষ এনসিপি বলতে এখন অনেকটা শাপলা প্রতীককেই মনে করে নিচ্ছে। এখন মানুষ যেখানে এটা মেনে নিচ্ছে, সেখানে আমরা চাইলেও নিষেধ করতে পারি না।”
এ বিষয়ে জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, “যেহেতু এখনও এ নিয়ে কোনো গেজেট প্রকাশিত হয়নি, ফলে কেউ এ নিয়ে প্রচার চালাতে পারেন না। আর যেহেতু নির্বাচনের তফসিল এখনও ঘোষণা হয়নি, তাই বিষয়টি এখন আমাদের করণীয় নয়।”
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
রংপুর-৬ আসন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর হয়ে মনোনয়নের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন তাকিয়া জাহান চৌধুরী। তার পোস্টারে এনসিপির প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ দাবি করেছে এনসিপি। তবে ‘শাপলা’ যেহেতু বাংলাদেশের জাতীয় ফুল, তাই এ বিষয়ে এখনও নির্বাচন কমিশনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এনসিপির নেতারা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এরই মধ্যে তাকিয়া জাহান চৌধুরী এনসিপির হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে পোস্টারে ‘শাপলা প্রতীক’ ব্যবহার করে প্রচার চালাচ্ছেন। যদিও তিনি দলের কোনো আনুষ্ঠানিক পদ-পদবি ধারণ করেন না।
সুশীল সমাজের এক প্রতিনিধি বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, “নির্বাচন কমিশন থেকে দল হিসেবে এখনও নিবন্ধন পায়নি এনসিপি। দলীয় প্রতীকও চূড়ান্ত হয়নি। তার আগেই এনসিপির এমন কর্মকাণ্ড বিতর্কিত।”
পীরগঞ্জ উপজেলার ভেণ্ডাবাড়ী ও আশপাশের এলাকায় এসব পোস্টার দেখা গেছে। পোস্টারে লেখা আছে—“আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪-রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপ্রত্যাশী সংসদ সদস্য প্রার্থী (শাপলা মার্কা) তাকিয়া জাহান চৌধুরী আপনাদের সবার সমর্থন ও দোয়া প্রার্থী।”
তাকিয়া জাহান চৌধুরী এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন (রংপুর-৬, পীরগঞ্জ) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তবে পরাজিত হন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি এনসিপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাকিয়া জাহান চৌধুরী বলেন, “এই আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহের কথা দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা জানেন। তারা কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।”
তবে প্রতীক বরাদ্দের আগে এমন পোস্টার ছাপানো যায় কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পোস্টারগুলো আগে ছাপানো হয়েছিল, যখন প্রতীক নিয়ে কোনো বিতর্ক ছিল না। এগুলো ভুলক্রমে লাগানো হয়েছে।”
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, “উনি আমাদের দলের একজন সমর্থক। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য হননি। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অনেক কর্মী-সমর্থক মনোনয়ন প্রত্যাশার জায়গা থেকে প্রচার চালাচ্ছেন।”
‘শাপলা’ প্রতীকে প্রচার চালাতে পারেন কি না জানতে চাইলে এনসিপি নেতা বলেন, “মানুষ এনসিপি বলতে এখন অনেকটা শাপলা প্রতীককেই মনে করে নিচ্ছে। এখন মানুষ যেখানে এটা মেনে নিচ্ছে, সেখানে আমরা চাইলেও নিষেধ করতে পারি না।”
এ বিষয়ে জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, “যেহেতু এখনও এ নিয়ে কোনো গেজেট প্রকাশিত হয়নি, ফলে কেউ এ নিয়ে প্রচার চালাতে পারেন না। আর যেহেতু নির্বাচনের তফসিল এখনও ঘোষণা হয়নি, তাই বিষয়টি এখন আমাদের করণীয় নয়।”