বিএনপির মনোনয়ন চায় খ্রিষ্টান ফোরাম
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন জনগণের কাছে নতুন ও অপরিচিত একটি ব্যবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন , হঠাৎ করে নতুন পদ্ধতি চালু করলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে। পিআরের বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। সোমবার,(১৩ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান ফোরামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ব্রিফিংয়ে ফখরুল এ কথা বলেন।
আগামী বছর রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। জামায়াতে ইসলামীসহ ৬টি দল ওই নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করার দাবিতে আন্দোলন করছে। গতকাল রোববার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় ছয় দলের আন্দোলনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনের লক্ষ্যই হচ্ছে ‘নির্বাচন বিলম্বিত করা’; তবে জনগণ এটা গ্রহণ করবে না।
সোমবার গুলশানে বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব সময়ই একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করি। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সে চেষ্টা করছে; কিন্তু কিছু বিষয় আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। পিআর পদ্ধতির মূল সমস্যা হলো, এতে ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থী নির্বাচনের স্বাধীনতা খর্ব হয়। ভোটারকে ব্যক্তির বদলে দলকে বেছে নিতে হয়। এতে জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্বের ধারণা দুর্বল হয়ে পড়ে।’
জনগণ বিভ্রান্ত
এখন দেশে হঠাৎ করে নতুন পদ্ধতি চালু করলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দ্রুত নির্বাচন চাওয়া মানুষের জন্য এটি উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত পিআর-পদ্ধতি এখন বাস্তবায়ন করা উচিত নয়। এটি জনগণের কাছে নতুন ও অপরিচিত একটি ব্যবস্থা। তাই বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত।’
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ
সম্প্রতি বাংলাদেশকে একটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার বিভিন্ন রকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ একটা অসাম্প্রদায়িক দেশ। জাতি হিসেবে এটাকে আমরা গড়ে তুলতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা খুব আশা করে আছি যে আগামী নির্বাচনে জনগণ আরেকবার রায় দেবেন যে বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থেই তারা অসাম্প্রদায়িক এবং তারা বাংলাদেশি জাতীয়তা বিশ্বাস করেন।’
*একাত্তর প্রতিমুহূর্তে*
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে তারা যে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলেন একটি আলাদা পরিচয়ের জন্য, সে পরিচয় ভুলিয়ে দিয়ে নতুন করে কতগুলো চিন্তাভাবনা সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এ কথা খুব পরিষ্কার করে ও অত্যন্ত উচ্চ কণ্ঠে বলতে চাই, উচ্চ কণ্ঠে উচ্চারণ করতে চাই যে আমরা বাংলাদেশি এবং ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করে আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে এসেছি। এটা আমাদের বলতে হবে, প্রতিমুহূর্তে মনে রাখতে হবে।’
মতবিনিময়ে খ্রিষ্টান ফোরামের নেতারা তাদের একজনকে আগামী নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান মির্জা ফখরুল। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আবেদন দলীয় প্রধানের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
বিএনপির মনোনয়ন চায় খ্রিষ্টান ফোরাম
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন জনগণের কাছে নতুন ও অপরিচিত একটি ব্যবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন , হঠাৎ করে নতুন পদ্ধতি চালু করলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে। পিআরের বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। সোমবার,(১৩ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান ফোরামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ব্রিফিংয়ে ফখরুল এ কথা বলেন।
আগামী বছর রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। জামায়াতে ইসলামীসহ ৬টি দল ওই নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করার দাবিতে আন্দোলন করছে। গতকাল রোববার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় ছয় দলের আন্দোলনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনের লক্ষ্যই হচ্ছে ‘নির্বাচন বিলম্বিত করা’; তবে জনগণ এটা গ্রহণ করবে না।
সোমবার গুলশানে বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব সময়ই একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করি। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সে চেষ্টা করছে; কিন্তু কিছু বিষয় আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। পিআর পদ্ধতির মূল সমস্যা হলো, এতে ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থী নির্বাচনের স্বাধীনতা খর্ব হয়। ভোটারকে ব্যক্তির বদলে দলকে বেছে নিতে হয়। এতে জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্বের ধারণা দুর্বল হয়ে পড়ে।’
জনগণ বিভ্রান্ত
এখন দেশে হঠাৎ করে নতুন পদ্ধতি চালু করলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দ্রুত নির্বাচন চাওয়া মানুষের জন্য এটি উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত পিআর-পদ্ধতি এখন বাস্তবায়ন করা উচিত নয়। এটি জনগণের কাছে নতুন ও অপরিচিত একটি ব্যবস্থা। তাই বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত।’
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ
সম্প্রতি বাংলাদেশকে একটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার বিভিন্ন রকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ একটা অসাম্প্রদায়িক দেশ। জাতি হিসেবে এটাকে আমরা গড়ে তুলতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা খুব আশা করে আছি যে আগামী নির্বাচনে জনগণ আরেকবার রায় দেবেন যে বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থেই তারা অসাম্প্রদায়িক এবং তারা বাংলাদেশি জাতীয়তা বিশ্বাস করেন।’
*একাত্তর প্রতিমুহূর্তে*
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে তারা যে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলেন একটি আলাদা পরিচয়ের জন্য, সে পরিচয় ভুলিয়ে দিয়ে নতুন করে কতগুলো চিন্তাভাবনা সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এ কথা খুব পরিষ্কার করে ও অত্যন্ত উচ্চ কণ্ঠে বলতে চাই, উচ্চ কণ্ঠে উচ্চারণ করতে চাই যে আমরা বাংলাদেশি এবং ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করে আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে এসেছি। এটা আমাদের বলতে হবে, প্রতিমুহূর্তে মনে রাখতে হবে।’
মতবিনিময়ে খ্রিষ্টান ফোরামের নেতারা তাদের একজনকে আগামী নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান মির্জা ফখরুল। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আবেদন দলীয় প্রধানের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।