অন্তর্বর্তী সরকারে ‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ উপদেষ্টাদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড থাকার দাবি করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এসব উপদেষ্টা সরকারের বিভিন্ন সভায় কী বক্তব্য দেন, এর খবরও তার কাছে আছে বলে দাবি করেন জামায়াতের এই নেতা।
মঙ্গলবার, (১৪ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তাহের অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি দলের লোকদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনে বসিয়ে নীলনকশার নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র চলছে।’ এতে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছেন না তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জামায়াতের নেতা তাহের বলেন, ‘আমি সরকারকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আজকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই না। প্রশাসনের যে অবস্থা এবং যে ষড়যন্ত্র চলছে, এটাকে বন্ধ করুন। নিরপেক্ষ সৎ লোকদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করুন। আর যদি না হয়, কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে নাম আছে। তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে। মিটিংয়ে তারা কী বক্তব্য দেন, এর খবর আছে।’ সময়মতো সাবধান না হলে জনসমক্ষে নাম প্রকাশ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে আপনাদের এখন প্রকাশ করছি না। সুযোগ করে দিতে চাই। আপনাদের সংশোধনের জন্য সময় দিতে চাই।’
পিআর পদ্ধতিতে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তভর্ভুক্ত করে গণভোটের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত সড়ক পথে এ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। জামায়াতের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দেয়া; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে আবার দলীয়করণ করার মহাষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু হওয়ার জন্য সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হয়। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হতে হয়। সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে হয়। কিন্তু আমরা দেখছি, সেই নিরপেক্ষ প্রশাসন, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে আবার দলীয়করণ করার জন্য এক মহাষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ তাহের অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা আজও দেখছি, সরকারের ৪-৫ জন উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের পক্ষে সব নিয়োগকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি দলের দলীয় সরকারে পরিণত করার চেষ্টা করছে।’
আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘গণভোট এখন সবার ঐক্যবদ্ধ একটি সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখানে একটু প্যাঁচ খেলার চেষ্টা করছে। সেটা হচ্ছে, বলছে যে গণভোট ও জাতীয় ভোট একসঙ্গে হতে হবে।’
মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলামের সভাপতিত্ব এবং ঢাকা মহানগরের উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম সভা সঞ্চালনা মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, এহসানুল মাহবুব জোবাবয়ের, আবদুল হালিম প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারে ‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ উপদেষ্টাদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড থাকার দাবি করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এসব উপদেষ্টা সরকারের বিভিন্ন সভায় কী বক্তব্য দেন, এর খবরও তার কাছে আছে বলে দাবি করেন জামায়াতের এই নেতা।
মঙ্গলবার, (১৪ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তাহের অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি দলের লোকদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনে বসিয়ে নীলনকশার নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র চলছে।’ এতে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছেন না তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জামায়াতের নেতা তাহের বলেন, ‘আমি সরকারকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আজকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই না। প্রশাসনের যে অবস্থা এবং যে ষড়যন্ত্র চলছে, এটাকে বন্ধ করুন। নিরপেক্ষ সৎ লোকদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করুন। আর যদি না হয়, কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে নাম আছে। তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে। মিটিংয়ে তারা কী বক্তব্য দেন, এর খবর আছে।’ সময়মতো সাবধান না হলে জনসমক্ষে নাম প্রকাশ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে আপনাদের এখন প্রকাশ করছি না। সুযোগ করে দিতে চাই। আপনাদের সংশোধনের জন্য সময় দিতে চাই।’
পিআর পদ্ধতিতে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তভর্ভুক্ত করে গণভোটের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত সড়ক পথে এ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। জামায়াতের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দেয়া; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে আবার দলীয়করণ করার মহাষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু হওয়ার জন্য সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হয়। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হতে হয়। সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে হয়। কিন্তু আমরা দেখছি, সেই নিরপেক্ষ প্রশাসন, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে আবার দলীয়করণ করার জন্য এক মহাষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ তাহের অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা আজও দেখছি, সরকারের ৪-৫ জন উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের পক্ষে সব নিয়োগকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি দলের দলীয় সরকারে পরিণত করার চেষ্টা করছে।’
আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘গণভোট এখন সবার ঐক্যবদ্ধ একটি সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখানে একটু প্যাঁচ খেলার চেষ্টা করছে। সেটা হচ্ছে, বলছে যে গণভোট ও জাতীয় ভোট একসঙ্গে হতে হবে।’
মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলামের সভাপতিত্ব এবং ঢাকা মহানগরের উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম সভা সঞ্চালনা মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, এহসানুল মাহবুব জোবাবয়ের, আবদুল হালিম প্রমুখ।