ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সংরক্ষিত তালিকা থেকে প্রতীক পছন্দ করতে আবারও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী রোববারের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধির তফসিলের নির্ধারিত তালিকা থেকে এনসিপি প্রতীক না নিলে ইসি ‘নিজস্ব পদ্ধতিতে’ দলটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ করে দেবে।
আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে না জানালে ইসি ‘স্বীয় পদ্ধতিতে’ দলটিকে প্রতীক বরাদ্দ দেবে: সিনিয়র সচিব
ইসির ‘মন-মর্জি’ কিনা, প্রশ্ন এনসিপি নেতাদের
মঙ্গলবার,(১৪ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ কথা বলেন।
ইসি সচিবের ব্রিফিংয়ের পর এনসিপি নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হন। ফেইসবুকে শাপলার দাবিতে একের পর এক পোস্ট দিতে থাকেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে বরাদ্দ না দেয়া ইসির ‘মন-মর্জি’র বিষয় কিনা, সেই প্রশ্নও তোলেন অনেকে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রখে এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। দল দুটির প্রতীকসহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এনসিপিকে তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতীক থেকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে মার্কা বেছে নিতে চিঠি দেয় ইসি। নির্ধারিত সময়ে এনসিপি পছন্দের প্রতীক বাছাই না করে বিধি সংশোধন করে ফের শাপলা বরাদ্দের দাবি জানায়। কিন্তু ইসি কাউকে শাপলা প্রতীক না দেয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘এনসিপি শাপলা দাবি করলেও প্রতীক তালিকায় না থাকায় তা বরাদ্দ দেয়া যায়নি। ইসির সিদ্ধান্ত একই।’ তিনি বলেন, ‘কমিশন মনে করে, তালিকায় শাপলা অন্তর্ভুক্ত করার দরকার নেই। আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দলটিকে তালিকা থেকে প্রতীক বাছাই করে জানাতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে না জানালে ইসি স্বীয় পদ্ধতিতে দলটিকে প্রতীক বরাদ্দ দেবে।’
এনসিপি তালিকা থেকে প্রতীক না নিলে ইসি ‘নিজস্ব’ কী পদ্ধতিতে মার্কা বরাদ্দ দেবে, তা ব্যাখ্যা করেননি সচিব।
এনসিপি শাপলা প্রতীক ছাড়া নিবন্ধন নেবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় ইসি নিজস্ব উদ্যোগে অন্য প্রতীক বরাদ্দ দিলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে কিনা- এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা তাদের ব্যাপার। এটা সময়ের ব্যাপার, সময়ে দেখা যাবে।’
ফেইসবুকে সোচ্চার এনসিপি
ইসির নির্ধারিত তালিকা থেকে পছন্দের প্রতীক নিতে এনসিপিকে সময় বেঁধে দেয়ার পর শাপলার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন দলটির নেতারা। মঙ্গলবার, ইসি সচিবের ব্রিফিংয়ের পর এনসিপি নেতারা ফেইসবুকে শাপলার দাবিতে একের পর এক পোস্ট দিতে থাকেন।এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা মঙ্গলবার, বিকেলে এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, ‘এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।’
এরপর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজের ফেইসবুক পেইজে ওই পোস্ট শেয়ার করেন।
একই সময়ে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেইসবুকে লেখেন, ‘এনসিপি শাপলাই পাবে।’
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা লেখেন, ‘বিষয়টা শুধু শাপলা প্রতীক ইস্যু না। ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সক্ষমতা প্রমাণের। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এনসিপিকে কেন শাপলা দেয়া হবে না, সেটা তিনি জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করবেন না।’
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে বরাদ্দ না দেয়া ইসির ‘মন-মর্জি’র বিষয় কিনা, সেই প্রশ্ন তোলেন এই এনসিপি নেতা। তিনি লেখেন, ‘আজকেও সচিব যা বললেন, তার সারমর্ম- আইনগত প্রতিবন্ধকতার ব্যাপার না, শাপলা না দেয়া কমিশনের মন-মর্জির ওপর নির্ভরশীল। আমরা এটাই বলে আসছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতা এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে পারবে না।’
জহিরুল ইসলাম মুসা আরও লেখেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান বেআইনি, বৈষম্যমূলক ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে তারা কি জনগণের কাছে মুখাপেক্ষী, নাকি আপাত ক্ষমতার জন্য অপেক্ষমান কোনো রাজনৈতিক দল বা বন্দুকওয়ালা কারও মুখাপেক্ষী? জনতার মার্কা শাপলা। এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।’
*প্রতীক বরাদ্দে নীতিমালা*
১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে দলের প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে বিচারপতি আব্দুর রউফের নেতৃত্বাধীন কমিশন পাঁচটি নীতি অনুসরণ করে।
নীতিগুলো হলো- ১৯৭৯ সালে এবং তার পরে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের অনুকূলে বরাদ্দ প্রতীক যথাসম্ভব বহাল থাকবে। রাজনৈতিক দলের অতীত ও বর্তমান সদস্য সংখ্যা, ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ফলাফল বিবেচনায় থাকবে। যেসব রাজনৈতিক দল শুধু বিশেষ একটি প্রতীকের জন্য আবেদন করবে তা সে দলের অনুকূলে সংরক্ষণ করা হবে। একই প্রতীকের জন্য একাধিক রাজনৈতিক দল দাবিদার হলে তাদের সমঝোতার অনুরোধ করা হবে। ব্যর্থ হলে কমিশন প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে স্বীয় পদ্ধতি অবলম্বন করবে। প্রয়োজনে লটারি হবে। যেসব রাজনৈতিক দল প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে একাধিক পছন্দ থাকবে, তাদের পছন্দ যথাসম্ভব বিবেচনায় রাখবে ইসি।
* ১২ দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে*
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা অনুযায়ী আসছে ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে ইসি। ওই নির্বাচন সামনে রেখে ১৪৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, এর মধ্যে ১২১টি দল বাদ পড়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন কাজ চূড়ান্ত হওয়ার কথা থাকলেও কর্মপরিকল্পনা থেকে অন্তত দুই সপ্তাহ পিছিয়ে পড়েছে ইসি।
দুটি দলের বাইরে আরও ১২টি দলের নিবন্ধনের তথ্য পুনরায় যাচাইয়ের কাজ চলছে জানিয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ ‘কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুসন্ধান চলছে। আগামী সপ্তাহে এসব দলের মধ্যে কে নিবন্ধন পাচ্ছে তা চূড়ান্ত করা হবে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সংরক্ষিত তালিকা থেকে প্রতীক পছন্দ করতে আবারও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী রোববারের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধির তফসিলের নির্ধারিত তালিকা থেকে এনসিপি প্রতীক না নিলে ইসি ‘নিজস্ব পদ্ধতিতে’ দলটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ করে দেবে।
আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে না জানালে ইসি ‘স্বীয় পদ্ধতিতে’ দলটিকে প্রতীক বরাদ্দ দেবে: সিনিয়র সচিব
ইসির ‘মন-মর্জি’ কিনা, প্রশ্ন এনসিপি নেতাদের
মঙ্গলবার,(১৪ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ কথা বলেন।
ইসি সচিবের ব্রিফিংয়ের পর এনসিপি নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হন। ফেইসবুকে শাপলার দাবিতে একের পর এক পোস্ট দিতে থাকেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে বরাদ্দ না দেয়া ইসির ‘মন-মর্জি’র বিষয় কিনা, সেই প্রশ্নও তোলেন অনেকে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রখে এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। দল দুটির প্রতীকসহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এনসিপিকে তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতীক থেকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে মার্কা বেছে নিতে চিঠি দেয় ইসি। নির্ধারিত সময়ে এনসিপি পছন্দের প্রতীক বাছাই না করে বিধি সংশোধন করে ফের শাপলা বরাদ্দের দাবি জানায়। কিন্তু ইসি কাউকে শাপলা প্রতীক না দেয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘এনসিপি শাপলা দাবি করলেও প্রতীক তালিকায় না থাকায় তা বরাদ্দ দেয়া যায়নি। ইসির সিদ্ধান্ত একই।’ তিনি বলেন, ‘কমিশন মনে করে, তালিকায় শাপলা অন্তর্ভুক্ত করার দরকার নেই। আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দলটিকে তালিকা থেকে প্রতীক বাছাই করে জানাতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে না জানালে ইসি স্বীয় পদ্ধতিতে দলটিকে প্রতীক বরাদ্দ দেবে।’
এনসিপি তালিকা থেকে প্রতীক না নিলে ইসি ‘নিজস্ব’ কী পদ্ধতিতে মার্কা বরাদ্দ দেবে, তা ব্যাখ্যা করেননি সচিব।
এনসিপি শাপলা প্রতীক ছাড়া নিবন্ধন নেবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় ইসি নিজস্ব উদ্যোগে অন্য প্রতীক বরাদ্দ দিলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে কিনা- এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা তাদের ব্যাপার। এটা সময়ের ব্যাপার, সময়ে দেখা যাবে।’
ফেইসবুকে সোচ্চার এনসিপি
ইসির নির্ধারিত তালিকা থেকে পছন্দের প্রতীক নিতে এনসিপিকে সময় বেঁধে দেয়ার পর শাপলার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন দলটির নেতারা। মঙ্গলবার, ইসি সচিবের ব্রিফিংয়ের পর এনসিপি নেতারা ফেইসবুকে শাপলার দাবিতে একের পর এক পোস্ট দিতে থাকেন।এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা মঙ্গলবার, বিকেলে এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, ‘এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।’
এরপর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজের ফেইসবুক পেইজে ওই পোস্ট শেয়ার করেন।
একই সময়ে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেইসবুকে লেখেন, ‘এনসিপি শাপলাই পাবে।’
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা লেখেন, ‘বিষয়টা শুধু শাপলা প্রতীক ইস্যু না। ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সক্ষমতা প্রমাণের। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এনসিপিকে কেন শাপলা দেয়া হবে না, সেটা তিনি জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করবেন না।’
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে বরাদ্দ না দেয়া ইসির ‘মন-মর্জি’র বিষয় কিনা, সেই প্রশ্ন তোলেন এই এনসিপি নেতা। তিনি লেখেন, ‘আজকেও সচিব যা বললেন, তার সারমর্ম- আইনগত প্রতিবন্ধকতার ব্যাপার না, শাপলা না দেয়া কমিশনের মন-মর্জির ওপর নির্ভরশীল। আমরা এটাই বলে আসছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতা এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে পারবে না।’
জহিরুল ইসলাম মুসা আরও লেখেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান বেআইনি, বৈষম্যমূলক ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে তারা কি জনগণের কাছে মুখাপেক্ষী, নাকি আপাত ক্ষমতার জন্য অপেক্ষমান কোনো রাজনৈতিক দল বা বন্দুকওয়ালা কারও মুখাপেক্ষী? জনতার মার্কা শাপলা। এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।’
*প্রতীক বরাদ্দে নীতিমালা*
১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে দলের প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে বিচারপতি আব্দুর রউফের নেতৃত্বাধীন কমিশন পাঁচটি নীতি অনুসরণ করে।
নীতিগুলো হলো- ১৯৭৯ সালে এবং তার পরে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের অনুকূলে বরাদ্দ প্রতীক যথাসম্ভব বহাল থাকবে। রাজনৈতিক দলের অতীত ও বর্তমান সদস্য সংখ্যা, ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ফলাফল বিবেচনায় থাকবে। যেসব রাজনৈতিক দল শুধু বিশেষ একটি প্রতীকের জন্য আবেদন করবে তা সে দলের অনুকূলে সংরক্ষণ করা হবে। একই প্রতীকের জন্য একাধিক রাজনৈতিক দল দাবিদার হলে তাদের সমঝোতার অনুরোধ করা হবে। ব্যর্থ হলে কমিশন প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে স্বীয় পদ্ধতি অবলম্বন করবে। প্রয়োজনে লটারি হবে। যেসব রাজনৈতিক দল প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে একাধিক পছন্দ থাকবে, তাদের পছন্দ যথাসম্ভব বিবেচনায় রাখবে ইসি।
* ১২ দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে*
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা অনুযায়ী আসছে ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে ইসি। ওই নির্বাচন সামনে রেখে ১৪৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, এর মধ্যে ১২১টি দল বাদ পড়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন কাজ চূড়ান্ত হওয়ার কথা থাকলেও কর্মপরিকল্পনা থেকে অন্তত দুই সপ্তাহ পিছিয়ে পড়েছে ইসি।
দুটি দলের বাইরে আরও ১২টি দলের নিবন্ধনের তথ্য পুনরায় যাচাইয়ের কাজ চলছে জানিয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ ‘কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুসন্ধান চলছে। আগামী সপ্তাহে এসব দলের মধ্যে কে নিবন্ধন পাচ্ছে তা চূড়ান্ত করা হবে।’