ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের শুরু হল বলে মনে করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার, (১৭ অক্টোবর ২০২৫) বিকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ সই শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘‘অন্তবর্তীকালীন সরকার যে কমিশনগুলো গঠন করেছিলেন সেগুলো প্রায় দীর্ঘ আট মাস পরিশ্রম করে আজকে এই সনদ (জুলাই সনদ) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
‘‘আমি সেজন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস, সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন, যারা কাজ করেছেন, যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন- যারা সংস্কার কমিশনে দীর্ঘদিন ধরে দিনের পর দিন কাজগুলো করে এটা করেছেন এবং আমাদের দলের সালাহউদ্দিন আহমদসহ সব দলের সদস্যদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
পরে বিএনপি মহাসচিব দলের জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন ও সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় দলের নেতৃত্ব দেওয়া স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিনকে কথা বলতে বলেন।
জুলাই সনদ সইকে বাংলাদেশের ইতিহাসের স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে তুলে ধরে এসময় সালাহউদ্দিন বলেন, এই যাত্রার মধ্য দিয়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নির্মিত হবে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মিত হবে, রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ, কোনো অঙ্গ আরেকটি অঙ্গের উপরে কর্তৃত্ব প্রদর্শন করতে পারবে না। ‘‘সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্য থেকে সমস্ত অঙ্গ সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষা করে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা হবে, ইনশাল্লাহ। সেই দিনের আশায় আমরা আছি। সামনের দিনে আমাদের অনেক কাজ। এই কেবল যাত্রা শুরু।”
বিএনপির এই নেতার আশা বাকি রাজনৈতিক দলগুলোও ভবিষ্যতে এ সনদে সই করবে। প্রধান উপদেষ্টাসহ ঐক্যমত্য কমিশনের সব সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সাংবিধানিকভাবে আর্টিকেল ৬৫ এর সাব সেকশন ২ এ বলা আছে, বাংলাদেশের প্রত্যেক আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকার মধ্যে সরাসরি প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ৩০০ জন জাতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য হবেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য থাকবেন।
‘‘এখন কেউ কেউ সেটা বর্ণনা করছেন যে, নির্বাচন কমিশন শুধু নির্বাচন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কিছু না, এটা সত্য। নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন পরিচালনা করবেই কিন্তু কীভাবে করবে সেটা বর্ণিত আছে। সুতরাং জাতিকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নাই। তারপরও প্রধান উপদেষ্টা যদি আলাপ আলোচনা করতে চান আমরা আলাপ-আলোচনা বিশ্বাস করি।”
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের শুরু হল বলে মনে করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার, (১৭ অক্টোবর ২০২৫) বিকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ সই শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘‘অন্তবর্তীকালীন সরকার যে কমিশনগুলো গঠন করেছিলেন সেগুলো প্রায় দীর্ঘ আট মাস পরিশ্রম করে আজকে এই সনদ (জুলাই সনদ) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
‘‘আমি সেজন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস, সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন, যারা কাজ করেছেন, যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন- যারা সংস্কার কমিশনে দীর্ঘদিন ধরে দিনের পর দিন কাজগুলো করে এটা করেছেন এবং আমাদের দলের সালাহউদ্দিন আহমদসহ সব দলের সদস্যদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
পরে বিএনপি মহাসচিব দলের জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন ও সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় দলের নেতৃত্ব দেওয়া স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিনকে কথা বলতে বলেন।
জুলাই সনদ সইকে বাংলাদেশের ইতিহাসের স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে তুলে ধরে এসময় সালাহউদ্দিন বলেন, এই যাত্রার মধ্য দিয়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নির্মিত হবে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মিত হবে, রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ, কোনো অঙ্গ আরেকটি অঙ্গের উপরে কর্তৃত্ব প্রদর্শন করতে পারবে না। ‘‘সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্য থেকে সমস্ত অঙ্গ সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষা করে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা হবে, ইনশাল্লাহ। সেই দিনের আশায় আমরা আছি। সামনের দিনে আমাদের অনেক কাজ। এই কেবল যাত্রা শুরু।”
বিএনপির এই নেতার আশা বাকি রাজনৈতিক দলগুলোও ভবিষ্যতে এ সনদে সই করবে। প্রধান উপদেষ্টাসহ ঐক্যমত্য কমিশনের সব সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সাংবিধানিকভাবে আর্টিকেল ৬৫ এর সাব সেকশন ২ এ বলা আছে, বাংলাদেশের প্রত্যেক আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকার মধ্যে সরাসরি প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ৩০০ জন জাতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য হবেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য থাকবেন।
‘‘এখন কেউ কেউ সেটা বর্ণনা করছেন যে, নির্বাচন কমিশন শুধু নির্বাচন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কিছু না, এটা সত্য। নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন পরিচালনা করবেই কিন্তু কীভাবে করবে সেটা বর্ণিত আছে। সুতরাং জাতিকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নাই। তারপরও প্রধান উপদেষ্টা যদি আলাপ আলোচনা করতে চান আমরা আলাপ-আলোচনা বিশ্বাস করি।”