দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো ধরনের বিপদে না ফেলতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সতর্ক করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ যেন সংখ্যালঘু নাগরিকদের হয়রানি বা বিপদের মুখে না ফেলেন।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বী মতুয়া সম্প্রদায়ের ৫০ জন সদস্য বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের কাছে নানা ধরনের খবর আসে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—এই সম্প্রদায়ের মানুষদের কখনো হয়রানি করা যাবে না। তাঁরা এখন আমাদের সদস্য, আমাদের ভাই। আমরা তাঁদের পাশে আছি এবং সমস্ত শক্তি নিয়ে থাকব।”
বিএনপিতে যোগদানকারী মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে মহাসচিব বলেন, “আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, এখন থেকে আপনারা আমাদের বন্ধু। বিএনপি আপনাদের পাশে থাকবে।”
জুলাইয়ের অভ্যুত্থানোত্তর সময়ে দেশের সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বাইরের কিছু ব্যক্তি, রাষ্ট্র ও গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিষয়ে ভুল ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমরা সেই মিথ্যা প্রচারণা দূর করতে চাই।”
অতীতের ঘটনাবলির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অনেক রক্ত ঝরেছে, বিভাজন হয়েছে, ভুলও হয়েছে। এখন সময় এসেছে এসব থেকে বেরিয়ে নতুন পথে এগিয়ে যাওয়ার।”
বিএনপি জাতীয়তাবাদী আদর্শে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ২০৩০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে তার একটি প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশকে ‘রেইনবো স্টেট’ হিসেবে দেখার কথা বলেছিলেন—একটি রংধনুর মতো দেশ, যেখানে বিভিন্ন রং একত্রে মিলেমিশে থাকে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি (সঞ্চালক), বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সোমনাথ দে, কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, সোমেন সাহা এবং গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি রমেন সরকার প্রমুখ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো ধরনের বিপদে না ফেলতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সতর্ক করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ যেন সংখ্যালঘু নাগরিকদের হয়রানি বা বিপদের মুখে না ফেলেন।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বী মতুয়া সম্প্রদায়ের ৫০ জন সদস্য বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের কাছে নানা ধরনের খবর আসে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—এই সম্প্রদায়ের মানুষদের কখনো হয়রানি করা যাবে না। তাঁরা এখন আমাদের সদস্য, আমাদের ভাই। আমরা তাঁদের পাশে আছি এবং সমস্ত শক্তি নিয়ে থাকব।”
বিএনপিতে যোগদানকারী মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে মহাসচিব বলেন, “আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, এখন থেকে আপনারা আমাদের বন্ধু। বিএনপি আপনাদের পাশে থাকবে।”
জুলাইয়ের অভ্যুত্থানোত্তর সময়ে দেশের সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বাইরের কিছু ব্যক্তি, রাষ্ট্র ও গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিষয়ে ভুল ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমরা সেই মিথ্যা প্রচারণা দূর করতে চাই।”
অতীতের ঘটনাবলির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অনেক রক্ত ঝরেছে, বিভাজন হয়েছে, ভুলও হয়েছে। এখন সময় এসেছে এসব থেকে বেরিয়ে নতুন পথে এগিয়ে যাওয়ার।”
বিএনপি জাতীয়তাবাদী আদর্শে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ২০৩০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে তার একটি প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশকে ‘রেইনবো স্টেট’ হিসেবে দেখার কথা বলেছিলেন—একটি রংধনুর মতো দেশ, যেখানে বিভিন্ন রং একত্রে মিলেমিশে থাকে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি (সঞ্চালক), বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সোমনাথ দে, কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, সোমেন সাহা এবং গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি রমেন সরকার প্রমুখ।