জাতীয় নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী’ রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্র হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। আশা করছি, এর মধ্যে সংস্কারের বিষয়গুলোও চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হবে।”
আগামী ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সামনে রেখে ২৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট গত ১৭ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে ‘জুলাই জাতীয় সনদে’ স্বাক্ষর করেছে।
তবে বাম ধারার চারটি দল এবং জুলাই অভ্যুত্থান-সংশ্লিষ্ট নেতাদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি; তারা এখনো সনদে যোগ দেয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “সংস্কার সনদে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে সবাইকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “গণতন্ত্রকামী শক্তির ওপর ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-পীড়নের কথা জাতি ভুলে যায়নি। ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা, ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, নয়া দিগন্তের মালিক মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরসহ অনেক আলেম-ওলামাকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে— যা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।”
বিএনপি মহাসচিবের মতে, বিগত ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের সময় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়— এমন একটি দেশ, যা বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয়, বরং জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।”
১৯৭৫ সালের একদলীয় বাকশাল শাসনের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, “তখন চারটি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন, অনেকে হকারি পর্যন্ত করেছেন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী’ রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্র হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। আশা করছি, এর মধ্যে সংস্কারের বিষয়গুলোও চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হবে।”
আগামী ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সামনে রেখে ২৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট গত ১৭ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে ‘জুলাই জাতীয় সনদে’ স্বাক্ষর করেছে।
তবে বাম ধারার চারটি দল এবং জুলাই অভ্যুত্থান-সংশ্লিষ্ট নেতাদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি; তারা এখনো সনদে যোগ দেয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “সংস্কার সনদে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে সবাইকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “গণতন্ত্রকামী শক্তির ওপর ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-পীড়নের কথা জাতি ভুলে যায়নি। ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা, ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, নয়া দিগন্তের মালিক মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরসহ অনেক আলেম-ওলামাকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে— যা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।”
বিএনপি মহাসচিবের মতে, বিগত ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের সময় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়— এমন একটি দেশ, যা বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয়, বরং জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।”
১৯৭৫ সালের একদলীয় বাকশাল শাসনের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, “তখন চারটি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন, অনেকে হকারি পর্যন্ত করেছেন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।”