অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে ‘নির্দলীয় রূপে’ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন দিনব্যাপী সভা শেষে শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, একটি নবগঠিত রাজনৈতিক দলসহ ক্ষমতাসীন সরকারে থাকা যেকোনো রাজনৈতিক দলের পরামর্শক, পৃষ্ঠপোষক ও দলীয় পরিচয়ে পরিচিত ব্যক্তিদের পদত্যাগের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিপিবি ও তার নেতৃত্বাধীন জোটসহ বামপন্থী, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল দল, সংগঠন এবং ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার এবং রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘জনতার সনদ’ প্রণয়ন করে সেই অঙ্গীকারের ভিত্তিতে সিপিবি সমর্থিত প্রার্থীরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। বিদ্যমান সংবিধানের চার মূলনীতি ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেছে দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সর্বসম্মত হতে পারেনি, সে বিষয়ে গণভোট বা সাংবিধানিক আদেশ জারির কোনো এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।
সভায় বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং সাম্রাজ্যবাদী ও আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী শক্তির প্রয়োজনে বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে প্রক্সি যুদ্ধের ক্ষেত্র বানানোর যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সিপিবি সর্বাত্মক লড়াই চালাবে।
দলটি আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ৩১ অক্টোবর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কনভেনশন, ২৮ নভেম্বর শ্রমজীবী মানুষের কনভেনশন, ৫ ডিসেম্বর নারী সমাজের রাজনৈতিক কনভেনশন এবং ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আয়োজনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন। সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন সভায় রাজনৈতিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন, যা পরে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত হয়।
এ সময় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রফিকুজ্জামান লায়েক, এস এ রশীদ, রাগীব আহসান মুন্না, জলি তালুকদার ও মো. আমিনুল ফরিদ বক্তব্য রাখেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম, রুহিন হোসেন প্রিন্স, মিহির ঘোষ, শাহীন রহমান, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, পরেশ কর, অধ্যাপক এম এম আকাশ, মৃণাল চৌধুরী, দিবালোক সিংহ ও এমদাদুল হক মিল্লাত।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে ‘নির্দলীয় রূপে’ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন দিনব্যাপী সভা শেষে শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, একটি নবগঠিত রাজনৈতিক দলসহ ক্ষমতাসীন সরকারে থাকা যেকোনো রাজনৈতিক দলের পরামর্শক, পৃষ্ঠপোষক ও দলীয় পরিচয়ে পরিচিত ব্যক্তিদের পদত্যাগের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিপিবি ও তার নেতৃত্বাধীন জোটসহ বামপন্থী, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল দল, সংগঠন এবং ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার এবং রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘জনতার সনদ’ প্রণয়ন করে সেই অঙ্গীকারের ভিত্তিতে সিপিবি সমর্থিত প্রার্থীরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। বিদ্যমান সংবিধানের চার মূলনীতি ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেছে দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সর্বসম্মত হতে পারেনি, সে বিষয়ে গণভোট বা সাংবিধানিক আদেশ জারির কোনো এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।
সভায় বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং সাম্রাজ্যবাদী ও আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী শক্তির প্রয়োজনে বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে প্রক্সি যুদ্ধের ক্ষেত্র বানানোর যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সিপিবি সর্বাত্মক লড়াই চালাবে।
দলটি আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ৩১ অক্টোবর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কনভেনশন, ২৮ নভেম্বর শ্রমজীবী মানুষের কনভেনশন, ৫ ডিসেম্বর নারী সমাজের রাজনৈতিক কনভেনশন এবং ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আয়োজনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন। সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন সভায় রাজনৈতিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন, যা পরে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত হয়।
এ সময় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রফিকুজ্জামান লায়েক, এস এ রশীদ, রাগীব আহসান মুন্না, জলি তালুকদার ও মো. আমিনুল ফরিদ বক্তব্য রাখেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম, রুহিন হোসেন প্রিন্স, মিহির ঘোষ, শাহীন রহমান, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, পরেশ কর, অধ্যাপক এম এম আকাশ, মৃণাল চৌধুরী, দিবালোক সিংহ ও এমদাদুল হক মিল্লাত।