নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিশির মনির। সর্বোচ্চ আদালতের সর্বশেষ রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় সম্পূর্ণ অকার্যকর ঘোষিত হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আবার কার্যকর হওয়ার পথ খুলেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ত্রয়োদশ সংশোধনী বিষয়ক মামলার রায়ের পর সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালত পূর্বে দেওয়া ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত রায় সম্পূর্ণ বাতিল করে নতুন রায় দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার–সম্পর্কিত সব বিধান এই রায়ের মাধ্যমে ‘পুনরুজ্জীবিত ও সক্রিয়’ হলো। রায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব বিধান ভবিষ্যতে প্রয়োগযোগ্যতার ভিত্তিতে কার্যকর হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো প্রসঙ্গে শিশির মনির বলেন, ব্যবস্থাটির রূপরেখায় রয়েছে—সর্বশেষ সাবেক প্রধান বিচারপতিই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন। যেহেতু এটি পরবর্তী সংসদ থেকে কার্যকর হবে, তাই জুলাই সনদ গণভোটে পাস হলে এবং পরবর্তী সংসদের সংবিধান সংস্কার সভায় অনুমোদিত হলে সরকারের কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি জানান, জুলাই সনদে চারটি বিকল্প প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা গণভোটে পাস হওয়ার পরই চূড়ান্ত রূপ পাবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কখন থেকে কার্যকর হবে—এ প্রশ্নে শিশির মনির বলেন, রায়ে উল্লেখ আছে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। এখন সংসদ ভেঙে নেই, তাই এই বিধান আপাতত কার্যকর নয়। ফলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এটি কার্যকর হবে না; ভবিষ্যৎ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকের রায়ে বলা হয়েছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে অতীতে দেওয়া রায় ‘কলঙ্কিত’ ছিল।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে শিশির মনির বলেন, ৪১ বছর আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেই প্রথম নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এর পর বহু সময় পেরিয়েছে, অনেক বিতর্ক, সহিংসতা, গুম–খুন হয়েছে; নির্বাচনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “৪১ বছর পরে আবার সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। সেই সময়ই জামায়াত বলেছিল—গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা একে অপরের থেকে আলাদা করা যায় না।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিশির মনির। সর্বোচ্চ আদালতের সর্বশেষ রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় সম্পূর্ণ অকার্যকর ঘোষিত হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আবার কার্যকর হওয়ার পথ খুলেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ত্রয়োদশ সংশোধনী বিষয়ক মামলার রায়ের পর সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালত পূর্বে দেওয়া ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত রায় সম্পূর্ণ বাতিল করে নতুন রায় দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার–সম্পর্কিত সব বিধান এই রায়ের মাধ্যমে ‘পুনরুজ্জীবিত ও সক্রিয়’ হলো। রায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব বিধান ভবিষ্যতে প্রয়োগযোগ্যতার ভিত্তিতে কার্যকর হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো প্রসঙ্গে শিশির মনির বলেন, ব্যবস্থাটির রূপরেখায় রয়েছে—সর্বশেষ সাবেক প্রধান বিচারপতিই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন। যেহেতু এটি পরবর্তী সংসদ থেকে কার্যকর হবে, তাই জুলাই সনদ গণভোটে পাস হলে এবং পরবর্তী সংসদের সংবিধান সংস্কার সভায় অনুমোদিত হলে সরকারের কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি জানান, জুলাই সনদে চারটি বিকল্প প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা গণভোটে পাস হওয়ার পরই চূড়ান্ত রূপ পাবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কখন থেকে কার্যকর হবে—এ প্রশ্নে শিশির মনির বলেন, রায়ে উল্লেখ আছে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। এখন সংসদ ভেঙে নেই, তাই এই বিধান আপাতত কার্যকর নয়। ফলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এটি কার্যকর হবে না; ভবিষ্যৎ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকের রায়ে বলা হয়েছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে অতীতে দেওয়া রায় ‘কলঙ্কিত’ ছিল।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে শিশির মনির বলেন, ৪১ বছর আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেই প্রথম নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এর পর বহু সময় পেরিয়েছে, অনেক বিতর্ক, সহিংসতা, গুম–খুন হয়েছে; নির্বাচনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “৪১ বছর পরে আবার সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। সেই সময়ই জামায়াত বলেছিল—গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা একে অপরের থেকে আলাদা করা যায় না।”