মঙ্গলবার বিকেলে রংপুরে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায়
মামলা করেছে পুলিশ। আজ বুধবার রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানায় জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আনিসুর রহমান লাকুর নাম উল্লেখ এবং আরো ৩শ অজ্ঞাতনামা নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান, পুলিশের উপর হামলা করে তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হোসেন আলী মামলা দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন মামলাটি দায়ের করেছেন এসআই রফিকুল ইসলাম।
এদিকে মামলার প্রধান আসামী জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম দাবি করেছেন মঙ্গলবার তিনি রংপুরেই ছিলেননা। তার ভাগ্নিজামাই শহিদুল ইসলাম সেবু অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তার ওপের হার্ট সার্জারীর কারনে মঙ্গলবার দুপুর ১ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। এরপর সন্ধা ৭ টায় বাংলাদেশ স্পেন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর ঢাকায় হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত সভায় রাত ১১ টা পর্যন্ত অবস্থান করেছেন। ফলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের নামে তাকে মামলার প্রধান আসামী করে পুলিশের দায়ের করা মামলাটি সাজানো।
তিনি চ্যালেজ্ঞ ছুড়ে দিয়ে বলেন ঢাকায় যে দুটি কারনে অবস্থান করেছেন তার ভিডিও ফুটেজ ছবি সহ অন্যান্য দালিলিক প্রমান তার কাছে আছে যা আদালতে উপস্থাপন করবেন বলেও জানান। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমানিত হয় যে পুলিশ নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করছেনা। তিনি আরো চ্যালেজ্ঞ দিয়ে বলেন সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে তারা প্রমান করুক আমি সংঘর্ষের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম।
উল্লেখ্য যে বিএনপি নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জেলা বিএনপির উদ্যেগে নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিলো। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে নগরীর শাপলা চত্বর থেকে দলীয় নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আসার পথে পুলিশ বিনা উস্কানীতে গ্রান্ড হোটেলের অদুরে মিছিলে হামলা চালিয়ে বেপরোয়া লাঠি চার্জ শুরু করে। এ সময় নেতা কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নেবার চেষ্টা করলে পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে লাঠি চার্জ করে। এতে কমপক্ষে ২০ জন নেতা কর্মী আহত হয়। পুলিশ দলীয় কার্যালয়ের আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা নেতা কর্মীদের বেদম মারধর করে। আহতদের মধ্যে রংপুর জেলা বিএনপি সদস্য আনিস মন্ডল ও কাউনিয়া উপজেলা বিএনপি নেতা রাশেদুল ইসলামের মাথা ফেটে যায়। এ ছাড়াও পুলিশের লাঠি চার্জে রংপুর জেলা মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক রতনা বেগম , রংপুর জেলা তাঁতি দলের সদস্য সচিব নাজিউর রহমান , পীরগজ্ঞ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্বপাদক রায়হান প্রধানও আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হোসেন আলী দাবি করেছিলেন বিএনপি নেতা কর্মীরা শান্তিপুর্ন মিছিলের নামে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে তিন পুলিশ গুরতর আহত হয়েছে। এরা হলেন এএসআই মমিন উদ্দিন, নায়েক মানিক ও কনষ্টবল মিঠুন চন্দ্র এদেরকে পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হোসেন আলীর সাথে বুধবার বিকেলে তার সরকারী মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন এসআই রফিকুল ইসলাম এবং মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসআই সোহেল রানাকে। তিনি জানান ঘটনার তথ্য প্রমান তাদের কাছে আসে। মামলার আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চলছে।
বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
মঙ্গলবার বিকেলে রংপুরে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায়
মামলা করেছে পুলিশ। আজ বুধবার রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানায় জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আনিসুর রহমান লাকুর নাম উল্লেখ এবং আরো ৩শ অজ্ঞাতনামা নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান, পুলিশের উপর হামলা করে তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হোসেন আলী মামলা দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন মামলাটি দায়ের করেছেন এসআই রফিকুল ইসলাম।
এদিকে মামলার প্রধান আসামী জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম দাবি করেছেন মঙ্গলবার তিনি রংপুরেই ছিলেননা। তার ভাগ্নিজামাই শহিদুল ইসলাম সেবু অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তার ওপের হার্ট সার্জারীর কারনে মঙ্গলবার দুপুর ১ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। এরপর সন্ধা ৭ টায় বাংলাদেশ স্পেন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর ঢাকায় হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত সভায় রাত ১১ টা পর্যন্ত অবস্থান করেছেন। ফলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের নামে তাকে মামলার প্রধান আসামী করে পুলিশের দায়ের করা মামলাটি সাজানো।
তিনি চ্যালেজ্ঞ ছুড়ে দিয়ে বলেন ঢাকায় যে দুটি কারনে অবস্থান করেছেন তার ভিডিও ফুটেজ ছবি সহ অন্যান্য দালিলিক প্রমান তার কাছে আছে যা আদালতে উপস্থাপন করবেন বলেও জানান। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমানিত হয় যে পুলিশ নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করছেনা। তিনি আরো চ্যালেজ্ঞ দিয়ে বলেন সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে তারা প্রমান করুক আমি সংঘর্ষের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম।
উল্লেখ্য যে বিএনপি নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জেলা বিএনপির উদ্যেগে নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিলো। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে নগরীর শাপলা চত্বর থেকে দলীয় নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আসার পথে পুলিশ বিনা উস্কানীতে গ্রান্ড হোটেলের অদুরে মিছিলে হামলা চালিয়ে বেপরোয়া লাঠি চার্জ শুরু করে। এ সময় নেতা কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নেবার চেষ্টা করলে পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে লাঠি চার্জ করে। এতে কমপক্ষে ২০ জন নেতা কর্মী আহত হয়। পুলিশ দলীয় কার্যালয়ের আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা নেতা কর্মীদের বেদম মারধর করে। আহতদের মধ্যে রংপুর জেলা বিএনপি সদস্য আনিস মন্ডল ও কাউনিয়া উপজেলা বিএনপি নেতা রাশেদুল ইসলামের মাথা ফেটে যায়। এ ছাড়াও পুলিশের লাঠি চার্জে রংপুর জেলা মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক রতনা বেগম , রংপুর জেলা তাঁতি দলের সদস্য সচিব নাজিউর রহমান , পীরগজ্ঞ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্বপাদক রায়হান প্রধানও আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হোসেন আলী দাবি করেছিলেন বিএনপি নেতা কর্মীরা শান্তিপুর্ন মিছিলের নামে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে তিন পুলিশ গুরতর আহত হয়েছে। এরা হলেন এএসআই মমিন উদ্দিন, নায়েক মানিক ও কনষ্টবল মিঠুন চন্দ্র এদেরকে পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হোসেন আলীর সাথে বুধবার বিকেলে তার সরকারী মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন এসআই রফিকুল ইসলাম এবং মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসআই সোহেল রানাকে। তিনি জানান ঘটনার তথ্য প্রমান তাদের কাছে আসে। মামলার আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চলছে।