বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম ওয়ানডে
জয় দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে বুধবার চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২.৩০মিনিট।
একই মাঠে সিরিজের অন্য দুটি ম্যাচ হবে ১৫ ও ১৮ মার্চ।
এর আগে দুই দলের টি-২০ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দুই ম্যাচ ১-১ হওয়ার পর শেষ ম্যাচে পেসার নুয়ান থুশারার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে হাসারাঙ্গার দল। প্রথম খেলতে নেমে ২০ রানে ৫ উইকেট নেন থুশারা। আহত মাথিশা পাথিরানার জায়গায় ওয়ানডে সিরিজের দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আত্মবিশ^াস পেতে হলে আমাদের ভালো শুরু করতে হবে। আশা করি আমরা নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখাতে পারবো।’
দুই দলের মধ্যকার সর্বশেষ ওয়ানডেটি ‘টাইম আউট’ ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এবং পরবর্তীতে এটি টি-২০ সিরিজেও প্রভাব ফেলে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ওপেনার আবিষ্কা ফার্নান্দোকে আউট করে ‘টাইম আউট’-এর অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম।
পুরো সিরিজে দুই দলের খেলোয়াড়দের শারিরীক ভাষা ও সর্ম্পক যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না। তৃতীয় টি-২০’তে আউট হবার পর লঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাওহিদ হৃদয়ের। পরবর্তীতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবার পর প্রতিপক্ষকে খোঁচা মেরে ‘টাইম আউট’ উদযাপন করে শ্রীলঙ্কা। যা বাংলাদেশ শিবিরে ক্ষোভের জন্ম দেয়।
গত বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান ‘টাইম আউট’ এর মাধ্যমে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকে সাজঘরে ফেরত পাঠানোর ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচে ৮২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তখনকার টাইগার অধিনায়ক সাকিব।
এখন পর্যন্ত ৫৪টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে টাইগাররা ১০টিতে এবং লঙ্কানরা ৪২টি জিতেছে। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরটি শ্রীলঙ্কার জন্য হতাশার ছিল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল লঙ্কানরা। তার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবগুলো সিরিজই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এছাড়াও বাংলাদেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং এশিয়া কাপ জয়ের নজির আছে লঙ্কানদের। বাংলাদেশের মাটিতে টাইগারদের বিপক্ষে ১৪টি ম্যাচে জয় ও ৬টিতে হেরেছে শ্রীলংকা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের চেয়ে শ্রীলঙ্কাই এগিয়ে । কিন্তু ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। শ্রীলঙ্কার আধিপত্য চুরমার করে বেশ কিছু ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা।
টি-২০ সিরিজ হারলেও, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাম্প্রতিক ফলাফল বিবেচনায় ওয়ানডে সিরিজে ফেবারিট বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম ওয়ানডে
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
জয় দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে বুধবার চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২.৩০মিনিট।
একই মাঠে সিরিজের অন্য দুটি ম্যাচ হবে ১৫ ও ১৮ মার্চ।
এর আগে দুই দলের টি-২০ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দুই ম্যাচ ১-১ হওয়ার পর শেষ ম্যাচে পেসার নুয়ান থুশারার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে হাসারাঙ্গার দল। প্রথম খেলতে নেমে ২০ রানে ৫ উইকেট নেন থুশারা। আহত মাথিশা পাথিরানার জায়গায় ওয়ানডে সিরিজের দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আত্মবিশ^াস পেতে হলে আমাদের ভালো শুরু করতে হবে। আশা করি আমরা নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখাতে পারবো।’
দুই দলের মধ্যকার সর্বশেষ ওয়ানডেটি ‘টাইম আউট’ ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এবং পরবর্তীতে এটি টি-২০ সিরিজেও প্রভাব ফেলে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ওপেনার আবিষ্কা ফার্নান্দোকে আউট করে ‘টাইম আউট’-এর অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম।
পুরো সিরিজে দুই দলের খেলোয়াড়দের শারিরীক ভাষা ও সর্ম্পক যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না। তৃতীয় টি-২০’তে আউট হবার পর লঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাওহিদ হৃদয়ের। পরবর্তীতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবার পর প্রতিপক্ষকে খোঁচা মেরে ‘টাইম আউট’ উদযাপন করে শ্রীলঙ্কা। যা বাংলাদেশ শিবিরে ক্ষোভের জন্ম দেয়।
গত বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান ‘টাইম আউট’ এর মাধ্যমে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকে সাজঘরে ফেরত পাঠানোর ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচে ৮২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তখনকার টাইগার অধিনায়ক সাকিব।
এখন পর্যন্ত ৫৪টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে টাইগাররা ১০টিতে এবং লঙ্কানরা ৪২টি জিতেছে। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরটি শ্রীলঙ্কার জন্য হতাশার ছিল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল লঙ্কানরা। তার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবগুলো সিরিজই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এছাড়াও বাংলাদেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং এশিয়া কাপ জয়ের নজির আছে লঙ্কানদের। বাংলাদেশের মাটিতে টাইগারদের বিপক্ষে ১৪টি ম্যাচে জয় ও ৬টিতে হেরেছে শ্রীলংকা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের চেয়ে শ্রীলঙ্কাই এগিয়ে । কিন্তু ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। শ্রীলঙ্কার আধিপত্য চুরমার করে বেশ কিছু ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা।
টি-২০ সিরিজ হারলেও, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাম্প্রতিক ফলাফল বিবেচনায় ওয়ানডে সিরিজে ফেবারিট বাংলাদেশ।