খেলার মাঝে গতি ধরে রাখতে গত ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘স্টপ ক্লক’ পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে আইসিসি। দেরিতে বোলিং করার জন্য রান পেনাল্টির এই বিধান আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে স্থায়ী করা হবে।
দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড সভার পর শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। পূর্ণ সদস্য দলগুলোর মধ্যে পুরুষদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আগামী ১ জুন থেকে স্থায়ী হবে এই নিয়ম।
এক্ষেত্রে বোলিং দলকে দুই ওভারের মাঝে ৬০ সেকেন্ড সময় দেওয়া হবে। অর্থাৎ এক মিনিটের মধ্যে নতুন ওভার শুরু করতে হবে। এক ইনিংসে তিনবার তা করতে ব্যর্থ হলে ব্যাটিং দলের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হবে।
ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে ৬০ সেকেন্ডের ‘টাইমার’ চালু করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। তবে ব্যাটসম্যানের কারণে, ডিআরএস বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে পরবর্তী ওভার শুরু করতে দেরি হলে চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ করবেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার।
আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে এই নিয়ম চালুর পর প্রতি ওয়ানডে ম্যাচে প্রায় ২০ মিনিট সময় বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
গত নভেম্বরে আইসিসি জানিয়েছিল, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে ‘স্টপ ক্লক’ পদ্ধতি। ডিসেম্বর থেকে ইনিংসে তিনবার দেরিতে বোলিং শুরু করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এছাড়া ২০২২ সালে ছেলে ও মেয়েদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মন্থর ওভার রেটের জন্য ‘ইন-ম্যাচ পেনাল্টি’ চালু করেছিল আইসিসি। বর্তমান প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, এই দুই সংস্করণে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বোলিং শেষ করতে ব্যর্থ হলে ইনিংসের বাকি সময়ে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে পাঁচ জনের জায়গায় চার জন ফিল্ডার নিয়ে ফিল্ডিং করতে হয়। এ ছাড়া ম্যাচ ফির জরিমানা তো আছেই।
ম্যাচের ফল আনতে ১০ ওভার
আইসিসির সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১ জুন শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালের জন্য ‘রিজার্ভ ডে’ রাখা হয়েছে। নকআউট পর্বে ম্যাচের ফল আনতে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলা হতে হবে অন্তত ১০ ওভার, বর্তমান নিয়মে যা ৫ ওভার।
অবশ্য গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইট পর্বে ম্যাচের ফল বের করার জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে আগের মতোই অন্তত ৫ ওভার খেলা হতে হবে।
২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন যেভাবে
২০২৪ আসরের মতো ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অংশ নেবে ২০ দল। আগের মতোই ১২ দল সরাসরি জায়গা পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া আসছে আসরের সুপার এইটের আট দল সরাসরি খেলবে ২০২৬ আসরে। স্বাগতিক দেশ হিসেবে তাদের সঙ্গে থাকবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
আগামী ৩০ জুন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে বাকি দুই দল সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। এবারের আসরে ভারত ও শ্রীলঙ্কা সেরা আটে থাকলে র্যাঙ্কিং থেকে সুযোগ পাবে চার দল। বাকি আট দলকে জায়গা করে নিতে হবে আঞ্চলিক বাছাই পর্ব পেরিয়ে।
শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
খেলার মাঝে গতি ধরে রাখতে গত ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘স্টপ ক্লক’ পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে আইসিসি। দেরিতে বোলিং করার জন্য রান পেনাল্টির এই বিধান আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে স্থায়ী করা হবে।
দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড সভার পর শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। পূর্ণ সদস্য দলগুলোর মধ্যে পুরুষদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আগামী ১ জুন থেকে স্থায়ী হবে এই নিয়ম।
এক্ষেত্রে বোলিং দলকে দুই ওভারের মাঝে ৬০ সেকেন্ড সময় দেওয়া হবে। অর্থাৎ এক মিনিটের মধ্যে নতুন ওভার শুরু করতে হবে। এক ইনিংসে তিনবার তা করতে ব্যর্থ হলে ব্যাটিং দলের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হবে।
ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে ৬০ সেকেন্ডের ‘টাইমার’ চালু করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। তবে ব্যাটসম্যানের কারণে, ডিআরএস বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে পরবর্তী ওভার শুরু করতে দেরি হলে চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ করবেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার।
আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে এই নিয়ম চালুর পর প্রতি ওয়ানডে ম্যাচে প্রায় ২০ মিনিট সময় বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
গত নভেম্বরে আইসিসি জানিয়েছিল, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে ‘স্টপ ক্লক’ পদ্ধতি। ডিসেম্বর থেকে ইনিংসে তিনবার দেরিতে বোলিং শুরু করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এছাড়া ২০২২ সালে ছেলে ও মেয়েদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মন্থর ওভার রেটের জন্য ‘ইন-ম্যাচ পেনাল্টি’ চালু করেছিল আইসিসি। বর্তমান প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, এই দুই সংস্করণে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বোলিং শেষ করতে ব্যর্থ হলে ইনিংসের বাকি সময়ে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে পাঁচ জনের জায়গায় চার জন ফিল্ডার নিয়ে ফিল্ডিং করতে হয়। এ ছাড়া ম্যাচ ফির জরিমানা তো আছেই।
ম্যাচের ফল আনতে ১০ ওভার
আইসিসির সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১ জুন শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালের জন্য ‘রিজার্ভ ডে’ রাখা হয়েছে। নকআউট পর্বে ম্যাচের ফল আনতে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলা হতে হবে অন্তত ১০ ওভার, বর্তমান নিয়মে যা ৫ ওভার।
অবশ্য গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইট পর্বে ম্যাচের ফল বের করার জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে আগের মতোই অন্তত ৫ ওভার খেলা হতে হবে।
২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন যেভাবে
২০২৪ আসরের মতো ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অংশ নেবে ২০ দল। আগের মতোই ১২ দল সরাসরি জায়গা পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া আসছে আসরের সুপার এইটের আট দল সরাসরি খেলবে ২০২৬ আসরে। স্বাগতিক দেশ হিসেবে তাদের সঙ্গে থাকবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
আগামী ৩০ জুন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে বাকি দুই দল সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। এবারের আসরে ভারত ও শ্রীলঙ্কা সেরা আটে থাকলে র্যাঙ্কিং থেকে সুযোগ পাবে চার দল। বাকি আট দলকে জায়গা করে নিতে হবে আঞ্চলিক বাছাই পর্ব পেরিয়ে।