তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই সিলেটের উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ। শ্রীলংকার রোববারের (২৪ মার্চ) ইনিংসই তার প্রমাণ। বাংলাদেশের বোলাররা বিশেষ কিছু করতে পারেননি, পুরোনো বা নতুন —- কোনো ধরণের বলেই। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস — শতক করেন দ্বিতীয় ইনিংসেও। আর তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় বিশাল ৫১১ রান।
আর এই বিপুল লক্ষ্য সামনে রেখে সেই কন্ডিশনে, সেই উইকেটেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের দলের ব্যাটাররা অদ্ভুতুড়ে ব্যাটিংয়ে আরও একবার বাজেভাবে ব্যর্থ হলেন। আর তাতে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের চেহারা প্রথম ইনিংসের চেয়েও খারাপ দেখাচ্ছে।
প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। টাইগাররা দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৪৭ রানে। দিনের শেষে ক্রিজে ছিলেন মুমিনুল হক (৭ রান) ও তাইজুল ইসলাম (৬ রান)।
এই অদ্ভুতুড়ে, দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই টেস্টে মুমিনুল হকের পর দলে থাকা সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং লিটন কুমার দাস।
ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরে গেলে মাঠে আসেন অধিনায়ক শান্ত। পরের ওভারেই অবিশ্বাস্য, দায়িত্বজ্ঞানহীন এক শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন শান্ত। কাসুন রাজিতার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। তখন ৫ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৬ রানে ছিলেন শান্ত। সেই সময় যে কারোই বলটা ছেঁড়ে দেবার কথা।
আর ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে টাইগাররা তখন ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ লিটন দাস। এসে প্রথম বলেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলে কাভারে ক্যাচ তোলেন লিটন। শুন্য রানে লিটনের বিদায়ের পর দিনের বাকি সময়টা অবিচ্ছিন্ন থেকে কোনরকমে পার করেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম।
টাইগারদের অবিশ্বাস্য ধসের শুরু ওপেনার মাহমুদুল হাসানে। একেবারে ইনিংসের প্রথম ওভারে। বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর লেংথের বলে লেগের দিকে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন এই তরুণ ওপেনার। মাহমুদুল রিভিউ নিলেও কোনো লাভ হয়নি। শুন্য রানেই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় তাকে। ১২ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ষষ্ঠ শূন্য।
নয় রানে দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ক্রিজে তখন আরেক ওপেনার জাকির হাসান ও মুমিনুল। অষ্টম ওভারে কুমারার রাউন্ড দ্য উইকেটে করা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে ধরা পড়েন জাকির। ২২ বলে তিনি করেছেন ১৯ রান। দলের রান তখন ৩৬।
আর পরের ওভারেই ফার্নান্ডোর বলে মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন শাহাদাত হোসেন। তিনিও ফিরেছেন শুন্য রানে।
টেস্টের এখনও দুই দিন বাকি। ম্যাচ জিততে বাকি ৫ উইকেটে বাংলাদেশকে করতে হবে ৪৬৩ রান। এমন সমীকরণ সামনে রেখে এটা বলেই দেয়া যায় যে সিলেট টেস্টে এখন নিশ্চিত হারের দিকেই যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।
তবে দিনের শুরুতে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করেছে শ্রীলংকা। প্রথম ইনিংসে লঙ্কানরা এগিয়ে ছিল ৯২ রানে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
৫ উইকেট নিয়ে ২১১ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। নাইটওয়াচম্যান বিশ্ব ফার্নান্দো আউট হয়ে যান আগের দিনের দুই রানের সঙ্গে আর দুই রান যোগ করে। পরের উইকেটের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় অনেকটা সময়।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন তার পুনরাবৃত্তি। প্রথম ইনিংসে দুজনই করেছিলেন ১০২। এবার লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জায়া করেন ১৭৯ বলে ১০৮ রান। আট নম্বরে নেমে ১৬ চার ও ৬ ছক্কায় ২৩৭ বলে ১৬৪ রান করেন কামিন্দু। প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের জুটি গড়া দুজন এবার যোগ করেন ১৭৩ রান।
তবে ধনাঞ্জয় যখন ৯৪ রানে তার গ্লাভস ছুঁয়ে বল জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে। কিন্তু বাংলাদেশের কিপার আবেদনই করেননি। ১৬৪ বলে শতরানে পৌঁছেন ধনাঞ্জয়া। তার টেস্ট সেঞ্চুরি এখন ১৪টি।
সেঞ্চুরির পরপর দ্বিতীয় নতুন বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তবে শরিফুল ইসলামের বলে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি নাহিদ রানা। তবে একটু পরই বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজের অতি নিরীহ এক শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর কামিন্দু ৬৭ রানের জুটি গড়েন প্রাবাথ জায়াসুরিয়াকে নিয়ে। ক্যারিয়ারের আগের ১০ টেস্টে যার সর্বোচ্চ ছিল ১৬ রান, সেই জায়াসুরিয়া এবার করেন ২৫।
পরপর দুই বলে জায়াসুরিয়া ও লাহিরু কুমারাকে ফিরিয়ে লঙ্কান ইনিংস শেষের কাছে নিয়ে যান মিরাজ। কিন্তু শেষ জুটিতেও বাংলাদেশকে যথেষ্ট যন্ত্রণা দেন কামিন্দু। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের লিড পাঁচশ পার করান তিনি। শেষ পর্যন্ত কামিন্দুর বিদায়েই শেষ হয় ইনিংস। শেষ জুটিতে আসে ৫২ রান, তাতে কামিন্দুর অবদানই ৪৮।
রোববার, ২৪ মার্চ ২০২৪
তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই সিলেটের উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ। শ্রীলংকার রোববারের (২৪ মার্চ) ইনিংসই তার প্রমাণ। বাংলাদেশের বোলাররা বিশেষ কিছু করতে পারেননি, পুরোনো বা নতুন —- কোনো ধরণের বলেই। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস — শতক করেন দ্বিতীয় ইনিংসেও। আর তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় বিশাল ৫১১ রান।
আর এই বিপুল লক্ষ্য সামনে রেখে সেই কন্ডিশনে, সেই উইকেটেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের দলের ব্যাটাররা অদ্ভুতুড়ে ব্যাটিংয়ে আরও একবার বাজেভাবে ব্যর্থ হলেন। আর তাতে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের চেহারা প্রথম ইনিংসের চেয়েও খারাপ দেখাচ্ছে।
প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। টাইগাররা দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৪৭ রানে। দিনের শেষে ক্রিজে ছিলেন মুমিনুল হক (৭ রান) ও তাইজুল ইসলাম (৬ রান)।
এই অদ্ভুতুড়ে, দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই টেস্টে মুমিনুল হকের পর দলে থাকা সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং লিটন কুমার দাস।
ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরে গেলে মাঠে আসেন অধিনায়ক শান্ত। পরের ওভারেই অবিশ্বাস্য, দায়িত্বজ্ঞানহীন এক শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন শান্ত। কাসুন রাজিতার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। তখন ৫ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৬ রানে ছিলেন শান্ত। সেই সময় যে কারোই বলটা ছেঁড়ে দেবার কথা।
আর ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে টাইগাররা তখন ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ লিটন দাস। এসে প্রথম বলেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলে কাভারে ক্যাচ তোলেন লিটন। শুন্য রানে লিটনের বিদায়ের পর দিনের বাকি সময়টা অবিচ্ছিন্ন থেকে কোনরকমে পার করেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম।
টাইগারদের অবিশ্বাস্য ধসের শুরু ওপেনার মাহমুদুল হাসানে। একেবারে ইনিংসের প্রথম ওভারে। বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর লেংথের বলে লেগের দিকে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন এই তরুণ ওপেনার। মাহমুদুল রিভিউ নিলেও কোনো লাভ হয়নি। শুন্য রানেই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় তাকে। ১২ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ষষ্ঠ শূন্য।
নয় রানে দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ক্রিজে তখন আরেক ওপেনার জাকির হাসান ও মুমিনুল। অষ্টম ওভারে কুমারার রাউন্ড দ্য উইকেটে করা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে ধরা পড়েন জাকির। ২২ বলে তিনি করেছেন ১৯ রান। দলের রান তখন ৩৬।
আর পরের ওভারেই ফার্নান্ডোর বলে মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন শাহাদাত হোসেন। তিনিও ফিরেছেন শুন্য রানে।
টেস্টের এখনও দুই দিন বাকি। ম্যাচ জিততে বাকি ৫ উইকেটে বাংলাদেশকে করতে হবে ৪৬৩ রান। এমন সমীকরণ সামনে রেখে এটা বলেই দেয়া যায় যে সিলেট টেস্টে এখন নিশ্চিত হারের দিকেই যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।
তবে দিনের শুরুতে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করেছে শ্রীলংকা। প্রথম ইনিংসে লঙ্কানরা এগিয়ে ছিল ৯২ রানে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
৫ উইকেট নিয়ে ২১১ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। নাইটওয়াচম্যান বিশ্ব ফার্নান্দো আউট হয়ে যান আগের দিনের দুই রানের সঙ্গে আর দুই রান যোগ করে। পরের উইকেটের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় অনেকটা সময়।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন তার পুনরাবৃত্তি। প্রথম ইনিংসে দুজনই করেছিলেন ১০২। এবার লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জায়া করেন ১৭৯ বলে ১০৮ রান। আট নম্বরে নেমে ১৬ চার ও ৬ ছক্কায় ২৩৭ বলে ১৬৪ রান করেন কামিন্দু। প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের জুটি গড়া দুজন এবার যোগ করেন ১৭৩ রান।
তবে ধনাঞ্জয় যখন ৯৪ রানে তার গ্লাভস ছুঁয়ে বল জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে। কিন্তু বাংলাদেশের কিপার আবেদনই করেননি। ১৬৪ বলে শতরানে পৌঁছেন ধনাঞ্জয়া। তার টেস্ট সেঞ্চুরি এখন ১৪টি।
সেঞ্চুরির পরপর দ্বিতীয় নতুন বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তবে শরিফুল ইসলামের বলে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি নাহিদ রানা। তবে একটু পরই বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজের অতি নিরীহ এক শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর কামিন্দু ৬৭ রানের জুটি গড়েন প্রাবাথ জায়াসুরিয়াকে নিয়ে। ক্যারিয়ারের আগের ১০ টেস্টে যার সর্বোচ্চ ছিল ১৬ রান, সেই জায়াসুরিয়া এবার করেন ২৫।
পরপর দুই বলে জায়াসুরিয়া ও লাহিরু কুমারাকে ফিরিয়ে লঙ্কান ইনিংস শেষের কাছে নিয়ে যান মিরাজ। কিন্তু শেষ জুটিতেও বাংলাদেশকে যথেষ্ট যন্ত্রণা দেন কামিন্দু। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের লিড পাঁচশ পার করান তিনি। শেষ পর্যন্ত কামিন্দুর বিদায়েই শেষ হয় ইনিংস। শেষ জুটিতে আসে ৫২ রান, তাতে কামিন্দুর অবদানই ৪৮।