কোচ গম্ভীর, রোহিত ও কোহলি
ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর অবশেষে রোহিত শর্মা এবং ভিরাট কোহলির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন। এই দুই মেগাস্টারের টেস্ট অবসর নিয়ে যখন ভক্তরা গম্ভীরকে কাঠগড়ায় তুলছেন, তখন টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ, এটিকে ব্যক্তিগত পছন্দ বলে অভিহিত করেছেন এবং তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি নিজে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং অন্যদেরও একই কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামী ২০ জুন লিডসে শুরু হতে চলা ইংল্যান্ডের পাঁচ টেস্টের সফরের আগে গৌতম গম্ভীর, ভারতের দুই তারকা ক্রিকেটারের বিদায়ের ফলে সৃষ্ট শূন্যতার কথাও তুলে ধরেছেন।
এই মাসের শুরুর দিকে পাঁচ দিনের ব্যবধানে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণকে বিদায় বলে দেন রোহিত ও কোহলি। প্রথমে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান অধিনায়ক রোহিত। যদিও তার সিদ্ধান্তে বিস্ময়ের খুব বেশি কিছু ছিল না। কিন্তু ইংল্যান্ড সফরের আগে তাকে হারানো ভারতের জন্য বড় ধাক্কাই বটে।
সেই ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই খবর বের হয়, লাল বলের ক্রিকেট ছাড়তে চান কোহলিও। পরে এনিয়ে আরও নানা খবর বের হয়। অন্তত আসছে ইংল্যান্ড সফরে খেলার জন্য কোহলিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধ করার কথাও শোনা যায়।
তবে নিজের হৃদয়ের ডাকই শোনেন এই ব্যাটিং গ্রেট। ১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দেন শচিন টেন্ডুলকার পরবর্তী যুগের ভারতের সবচেয়ে বড় তারকা। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের টেস্ট থেকে অবসর নেয়া নিয়ে কেউ কেউ আবার কাঠগড়ায় তুলছেন গাম্ভিরকে। সিএনএন-নিউজ ১৮ কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধান কোচ বলেন, অবসরের সিদ্ধান্ত যেকোনো ক্রিকেটারের একান্তই ব্যক্তিগত।
‘আমি মনে করি, কে কখন খেলা শুরু করবে এবং কখন শেষ করবে, এটা খুবই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোচ হোক, নির্বাচক হোক, এই দেশের কারোই কাউকে বলার অধিকার নেই যে, কখন অবসর নেবে ও কখন অবসর নেবে না। এটা ব্যক্তির ভেতর থেকেই আসে।’
রোহিত ও কোহলির অবসরে ইংল্যান্ড সফর দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নতুন অধ্যায়ে পা দিতে যাচ্ছে ভারত। গাম্ভির মেনে নিচ্ছেন, এই দুই তারকার অভাব বোধ করবে দল। একই সঙ্গে এটাকে তরুণদের জন্য সুযোগ হিসেবেও দেখছেন তিনি।
‘এটা ঠিক যে, আমাদের দুজন সিনিয়র খেলোয়াড়, যারা সত্যিই খুব অভিজ্ঞ, তাদের ছাড়া খেলতে হবে। তবে মাঝে মাঝে আমি বিশ্বাস করি যে, এটা অন্যদের ক্ষেত্রে হাত তুলে বলার সুযোগ, ‘ঠিক আছে, আমি এর জন্য প্রস্তুত।’ এটা কঠিন হবে, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই কিছু তরুণ হাত তুলে বলবে, ‘আমি প্রস্তুত।’
‘এই প্রশ্নটি আমাকে আগেও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও। যখন জাসপ্রিত বুমরাহ ছিল না এবং আমি ঠিক একই কথা বলেছিলাম, কেউ যদি কোনো ম্যাচ বা টুর্নামেন্টে খেলতে না পারে, তাহলে সেটা অন্য কাউকে দেশের জন্য বিশেষ কিছু করার সুযোগ করে দিতে পারে। আশা করি, সেই সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছে অন্যরা।’
১২৩ টেস্ট খেলে ৩০ সেঞ্চুরিতে ৯ হাজার ২৩৯ রান নিয়ে শেষ হয়েছে এই সংস্করণে কোহলির পথচলা। ৬৭ টেস্টে ১২ সেঞ্চুরিতে রোহিত করেছেন ৪ হাজার ৩০১ রান। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে এই সংস্করণেও জাতীয় দলকে বিদায় জানান এই দুজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন শুধু ওয়ানডেতেই দেখা যাবে তাদের। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারা আগেই।
ওয়ানডেতে তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ না থাকলেও আগামী বিশ্বকাপের জন্য দল গুছিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার কথা ভাবলে, তাদের নিয়ে সংশয় আছে বটে। ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে হবে বিশ্বকাপ। ততদিনে রোহিতের বয়স হবে ৪০ বছর, কোহলির হবে ৩৮। সেই পর্যন্ত আদৌ কি থাকবেন বা টিকবেন তারা? ওই বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকা গাম্ভির সবকিছু ছেড়ে দিলেন সময়ের হাতে।
‘এর আগে আমাদের এখনও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। এটা আবারও একটি বড় টুর্নামেন্ট, যা ভারতে হতে চলেছে, ফেব্রুয়ারি-মার্চে (২০২৬ সালে)। তাই ইংল্যান্ড সফরের পর পুরো মনোযোগ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ওপর থাকবে। ২০২৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর এখনও আড়াই বছর দূরে।’
‘আমি সব সময় একটি কথা বলেছি ‘যদি কেউ পারফর্ম করতে থাকে, তাহলে বয়স কেবল একটি সংখ্যা মাত্র।’
কোচ গম্ভীর, রোহিত ও কোহলি
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর অবশেষে রোহিত শর্মা এবং ভিরাট কোহলির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন। এই দুই মেগাস্টারের টেস্ট অবসর নিয়ে যখন ভক্তরা গম্ভীরকে কাঠগড়ায় তুলছেন, তখন টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ, এটিকে ব্যক্তিগত পছন্দ বলে অভিহিত করেছেন এবং তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি নিজে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং অন্যদেরও একই কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামী ২০ জুন লিডসে শুরু হতে চলা ইংল্যান্ডের পাঁচ টেস্টের সফরের আগে গৌতম গম্ভীর, ভারতের দুই তারকা ক্রিকেটারের বিদায়ের ফলে সৃষ্ট শূন্যতার কথাও তুলে ধরেছেন।
এই মাসের শুরুর দিকে পাঁচ দিনের ব্যবধানে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণকে বিদায় বলে দেন রোহিত ও কোহলি। প্রথমে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান অধিনায়ক রোহিত। যদিও তার সিদ্ধান্তে বিস্ময়ের খুব বেশি কিছু ছিল না। কিন্তু ইংল্যান্ড সফরের আগে তাকে হারানো ভারতের জন্য বড় ধাক্কাই বটে।
সেই ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই খবর বের হয়, লাল বলের ক্রিকেট ছাড়তে চান কোহলিও। পরে এনিয়ে আরও নানা খবর বের হয়। অন্তত আসছে ইংল্যান্ড সফরে খেলার জন্য কোহলিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধ করার কথাও শোনা যায়।
তবে নিজের হৃদয়ের ডাকই শোনেন এই ব্যাটিং গ্রেট। ১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দেন শচিন টেন্ডুলকার পরবর্তী যুগের ভারতের সবচেয়ে বড় তারকা। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের টেস্ট থেকে অবসর নেয়া নিয়ে কেউ কেউ আবার কাঠগড়ায় তুলছেন গাম্ভিরকে। সিএনএন-নিউজ ১৮ কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধান কোচ বলেন, অবসরের সিদ্ধান্ত যেকোনো ক্রিকেটারের একান্তই ব্যক্তিগত।
‘আমি মনে করি, কে কখন খেলা শুরু করবে এবং কখন শেষ করবে, এটা খুবই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোচ হোক, নির্বাচক হোক, এই দেশের কারোই কাউকে বলার অধিকার নেই যে, কখন অবসর নেবে ও কখন অবসর নেবে না। এটা ব্যক্তির ভেতর থেকেই আসে।’
রোহিত ও কোহলির অবসরে ইংল্যান্ড সফর দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নতুন অধ্যায়ে পা দিতে যাচ্ছে ভারত। গাম্ভির মেনে নিচ্ছেন, এই দুই তারকার অভাব বোধ করবে দল। একই সঙ্গে এটাকে তরুণদের জন্য সুযোগ হিসেবেও দেখছেন তিনি।
‘এটা ঠিক যে, আমাদের দুজন সিনিয়র খেলোয়াড়, যারা সত্যিই খুব অভিজ্ঞ, তাদের ছাড়া খেলতে হবে। তবে মাঝে মাঝে আমি বিশ্বাস করি যে, এটা অন্যদের ক্ষেত্রে হাত তুলে বলার সুযোগ, ‘ঠিক আছে, আমি এর জন্য প্রস্তুত।’ এটা কঠিন হবে, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই কিছু তরুণ হাত তুলে বলবে, ‘আমি প্রস্তুত।’
‘এই প্রশ্নটি আমাকে আগেও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও। যখন জাসপ্রিত বুমরাহ ছিল না এবং আমি ঠিক একই কথা বলেছিলাম, কেউ যদি কোনো ম্যাচ বা টুর্নামেন্টে খেলতে না পারে, তাহলে সেটা অন্য কাউকে দেশের জন্য বিশেষ কিছু করার সুযোগ করে দিতে পারে। আশা করি, সেই সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছে অন্যরা।’
১২৩ টেস্ট খেলে ৩০ সেঞ্চুরিতে ৯ হাজার ২৩৯ রান নিয়ে শেষ হয়েছে এই সংস্করণে কোহলির পথচলা। ৬৭ টেস্টে ১২ সেঞ্চুরিতে রোহিত করেছেন ৪ হাজার ৩০১ রান। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে এই সংস্করণেও জাতীয় দলকে বিদায় জানান এই দুজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন শুধু ওয়ানডেতেই দেখা যাবে তাদের। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারা আগেই।
ওয়ানডেতে তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ না থাকলেও আগামী বিশ্বকাপের জন্য দল গুছিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার কথা ভাবলে, তাদের নিয়ে সংশয় আছে বটে। ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে হবে বিশ্বকাপ। ততদিনে রোহিতের বয়স হবে ৪০ বছর, কোহলির হবে ৩৮। সেই পর্যন্ত আদৌ কি থাকবেন বা টিকবেন তারা? ওই বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকা গাম্ভির সবকিছু ছেড়ে দিলেন সময়ের হাতে।
‘এর আগে আমাদের এখনও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। এটা আবারও একটি বড় টুর্নামেন্ট, যা ভারতে হতে চলেছে, ফেব্রুয়ারি-মার্চে (২০২৬ সালে)। তাই ইংল্যান্ড সফরের পর পুরো মনোযোগ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ওপর থাকবে। ২০২৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর এখনও আড়াই বছর দূরে।’
‘আমি সব সময় একটি কথা বলেছি ‘যদি কেউ পারফর্ম করতে থাকে, তাহলে বয়স কেবল একটি সংখ্যা মাত্র।’