আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম
আজ বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের তারিখ থাকলেও নির্বাচনী কোনো আমেজ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমার মধ্যে ১৫ জন প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে সরে যান। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানো চলছে। ব্যালটে নাম থাকলেও ঢাকা বিভাগ থেকে অভিজ্ঞ সংগঠক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন। অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোটের লড়াইয়ে তিনি থাকছেন না বলে জানিয়েছেন। তার ভোটের মাঠে না থাকার ফলে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সহ-সভাপতি নাজমুল আবেদিন ফাহিম কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাড়াই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
শুরুতে ফুয়াদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল, তার সমর্থনকারী কাউন্সিলরের সইয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায়। পরে সইয়ের বৈধতা যাচাইয়ের পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ফুয়াদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে। এই সংগঠকের বুলবুল ও ফাহিমের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল।
গতকাল বিসিবি প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ফুয়াদ বলেন, ‘একজন প্রার্থী হিসেবে আমি বলতে চাই, আমি ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রার্থীতাও বাতিল করা হয়েছিল। আমি অনেক কষ্টে সেটাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলাম। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যেÑ আমি একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করতে পারি।’
আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনেকবার দেখা করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা দেখা করেননি।’
ফুয়াদ বলেন যে, ঢাকা থেকে এই দুই প্রার্থীর কেউই আগে বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং সম্প্রতি অ্যাডহক কমিটিতে এসেছেন।
তিনি প্রশ্ন করেন, জনাব আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রার্থী হওয়া ঠিক হয়নি। তিনি ঢাকা বিভাগের কোনো জেলারও সদস্য ছিলেন না। তিনি কোনো জেলাতেই ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করেননি। একইভাবে নাজমুল আবেদিন ফাহিম। আমি জানতে চাইÑ তিনি কবে, কখন, কোন উপজেলায়, ঢাকার কোন অংশে ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ছিলেন এবং কোন খেলা পরিচালনা করেছেন?’
ফুয়াদ দাবি করেন যে তাকে একজন কাউন্সিলর জানিয়েছেন যে, মন্ত্রণালয় যেভাবে চাইবে তিনি সেভাবেই ভোট দেবেন, ‘আজ (গত শনিবার) আমি খুব ভোরে গোপালগঞ্জ গিয়েছিলাম, তার বাড়িতে, তাকে ভোট দিতে বলার জন্য। তিনিও ভয় পেয়ে বলেন, ‘আমি আপনাকে কীভাবে ভোট দেব? আমার ভোট তো মন্ত্রণালয়ের কাছে। মন্ত্রণালয় যেভাবে বলবে, আমি সেভাবেই ভোট দেব।’
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এর আগে ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন লুৎফুর রহমান বাদল ও মেজর (অব.) ইমরোজ।
বিসিবির নির্বাচন হতে
কোনো বাধা নেই
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে আদালত। সাধারণ পরিষদে কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলামের গত ১৮ সেপ্টেম্বরের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিতই থাকছে। একই সঙ্গে ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে ১৫ ক্লাব। সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের রিটের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার স্থগিতের রায় দিয়েছিলো হাইকোর্ট।
গতকাল চেম্বার জজ আদালতে বিচারপতি ফারাহ মাহমুবের বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনীক আর হক শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস ও আইনজীবী কায়সার কামাল শুনানিতে অংশ নেন। বিসিবির পক্ষে ছিলেন মাহিন এম রহমান।
১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার স্থগিতের পর বিসিবির নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ ১৫ প্রার্থী।
তারা আর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী মাঠে নেই। ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে বিসিবিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়ে আসেন। তামিমরা সরে যাওয়ায় এই ক্যাটাগরিতে প্রার্থী আছেন ১৬ জন। সেই ১৬ জনের মধ্যে আবার লুৎফুর রহমান বাদল ও মেজর ইমরোজ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার ফিরে আসায় বিসিবির বর্তমান পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠুর প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারেন।
এদিকে গত শুক্রবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানায় ৪৮টি ক্লাব। বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল না হলে আন্দোলনের হুমকি দেয় তারা।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
আজ বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের তারিখ থাকলেও নির্বাচনী কোনো আমেজ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমার মধ্যে ১৫ জন প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে সরে যান। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানো চলছে। ব্যালটে নাম থাকলেও ঢাকা বিভাগ থেকে অভিজ্ঞ সংগঠক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন। অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোটের লড়াইয়ে তিনি থাকছেন না বলে জানিয়েছেন। তার ভোটের মাঠে না থাকার ফলে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সহ-সভাপতি নাজমুল আবেদিন ফাহিম কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাড়াই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
শুরুতে ফুয়াদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল, তার সমর্থনকারী কাউন্সিলরের সইয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায়। পরে সইয়ের বৈধতা যাচাইয়ের পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ফুয়াদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে। এই সংগঠকের বুলবুল ও ফাহিমের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল।
গতকাল বিসিবি প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ফুয়াদ বলেন, ‘একজন প্রার্থী হিসেবে আমি বলতে চাই, আমি ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রার্থীতাও বাতিল করা হয়েছিল। আমি অনেক কষ্টে সেটাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলাম। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যেÑ আমি একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করতে পারি।’
আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনেকবার দেখা করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা দেখা করেননি।’
ফুয়াদ বলেন যে, ঢাকা থেকে এই দুই প্রার্থীর কেউই আগে বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং সম্প্রতি অ্যাডহক কমিটিতে এসেছেন।
তিনি প্রশ্ন করেন, জনাব আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রার্থী হওয়া ঠিক হয়নি। তিনি ঢাকা বিভাগের কোনো জেলারও সদস্য ছিলেন না। তিনি কোনো জেলাতেই ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করেননি। একইভাবে নাজমুল আবেদিন ফাহিম। আমি জানতে চাইÑ তিনি কবে, কখন, কোন উপজেলায়, ঢাকার কোন অংশে ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ছিলেন এবং কোন খেলা পরিচালনা করেছেন?’
ফুয়াদ দাবি করেন যে তাকে একজন কাউন্সিলর জানিয়েছেন যে, মন্ত্রণালয় যেভাবে চাইবে তিনি সেভাবেই ভোট দেবেন, ‘আজ (গত শনিবার) আমি খুব ভোরে গোপালগঞ্জ গিয়েছিলাম, তার বাড়িতে, তাকে ভোট দিতে বলার জন্য। তিনিও ভয় পেয়ে বলেন, ‘আমি আপনাকে কীভাবে ভোট দেব? আমার ভোট তো মন্ত্রণালয়ের কাছে। মন্ত্রণালয় যেভাবে বলবে, আমি সেভাবেই ভোট দেব।’
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এর আগে ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন লুৎফুর রহমান বাদল ও মেজর (অব.) ইমরোজ।
বিসিবির নির্বাচন হতে
কোনো বাধা নেই
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে আদালত। সাধারণ পরিষদে কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলামের গত ১৮ সেপ্টেম্বরের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিতই থাকছে। একই সঙ্গে ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে ১৫ ক্লাব। সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের রিটের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার স্থগিতের রায় দিয়েছিলো হাইকোর্ট।
গতকাল চেম্বার জজ আদালতে বিচারপতি ফারাহ মাহমুবের বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনীক আর হক শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস ও আইনজীবী কায়সার কামাল শুনানিতে অংশ নেন। বিসিবির পক্ষে ছিলেন মাহিন এম রহমান।
১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার স্থগিতের পর বিসিবির নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ ১৫ প্রার্থী।
তারা আর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী মাঠে নেই। ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে বিসিবিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়ে আসেন। তামিমরা সরে যাওয়ায় এই ক্যাটাগরিতে প্রার্থী আছেন ১৬ জন। সেই ১৬ জনের মধ্যে আবার লুৎফুর রহমান বাদল ও মেজর ইমরোজ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার ফিরে আসায় বিসিবির বর্তমান পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠুর প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারেন।
এদিকে গত শুক্রবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানায় ৪৮টি ক্লাব। বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল না হলে আন্দোলনের হুমকি দেয় তারা।