সেঞ্চুরিয়ান শুবমান গিল
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দিল্লি টেস্টে জয়সওয়ালের পর প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন ভারত অধিনায়ক শুবমান গিল। জয়সওয়াল ও গিলের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৫১৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। জবাবে শনিবার, (১১ অক্টোবর ২০২৫) দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৪০ রান করে সফরকারীরা। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭৮ রানে পিছিয়ে আছে ক্যারিবিয়রা। প্রথম দিন শেষে ২ উইকেটে ৩১৮ রান করেছিল ভারত। জয়সওয়াল ১৭৩ ও গিল ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিন ১৭৫ রানে আউট হন জয়সওয়াল। এরপর ভারতের রানের চাকা সচল রেখে টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি তুলে নেন গিল। সেঞ্চুরির পথে চতুর্থ উইকেটে নিতিশ কুমার রেড্ডির সাথে ৯১ ও পঞ্চম উইকেটে উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলকে নিয়ে দলকে ১০২ রান এনে দেন গিল।রেড্ডি ৪৩ ও জুরেল ৪৪ রানে আউট হলেও ইনিংস ঘোষণা পর্যন্ত ১২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন গিল। তার ১৯৬ বলের ইনিংসে ১৬টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল।
ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ রান করে ভারত স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হন ওপেনার জন ক্যাম্পবেল।
দ্বিতীয় উইকেটে ভারতের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে ৬৬ রান যোগ করেন আরেক ওপেনার তেজনারায়ন চন্দরপল ও অ্যালিক আথানাজে। উইকেটে সেট হয়ে বিদায় নেন দু’জনে। চন্দরপলকে ৩৪ রানে জাদেজা এবং আথানাজেকে ৪১ রানে আউট করেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। আথানেজর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোস্টন চেজকে খালি হাতে বিদায় করেন জাদেজা। এতে ১০৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পঞ্চম উইকেটে ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করেছেন শাই হোপ ও তেভিন ইমলাচ। হোপ ৩১ ও ইমলাচ ১৪ রানে অপরাজিত আছেন। ৩ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা।
সাচিনকে টপকে কোহলির
রেকর্ড ছুঁলেন গিল
দিল্লি টেস্টের প্রথম দিনের অপরাজিত ২০ রান নিয়ে খেলতে নামলেন শুবমান গিল। ইনিংস ঘোষণার সময়ও অপরাজিত থাকলেন ভারতের অধিনায়ক। ছন্দে থাকা ডানহাতি ব্যাটার আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন আরেকটি সেঞ্চুরি। তার ১৯৬ বলে ১২৯ রানের ইনিংসে চার ১২টি ও ছক্কা ২টি।
শনিবার, দ্বিতীয় দিনে হাঁকানো শতকে রেকর্ড বইতেও ঠাঁই নিয়েছেন গিল। সাচিন টেন্ডুলকারকে টপকে ভিরাট কোহলির পাশে বসেছেন তিনি। সাদা পোশাকে চলতি বছর এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি, যা এক পঞ্জিকাবর্ষে ভারতের অধিনায়কদের মধ্যে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
গত জুনে ইংল্যান্ড সফর দিয়ে টেস্টে নেতৃত্বের অভিষেক হয় গিলের। সেই থেকে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন তিনি। ওই সিরিজে অসাধারণ খেলে একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ মোট চারটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। এবার ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে ফের পেয়েছেন তিন অঙ্কের স্বাদ। সেজন্য তার লেগেছে মাত্র সাত টেস্টের ১২ ইনিংস।
টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে দুবার এক পঞ্জিকাবর্ষে পাঁচটি করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন কোহলি। ২০১৭ সালে ১০ ম্যাচের ১৬ ইনিংস ও ২০১৮ সালে ১৩ টেস্টের ২৪ ইনিংস লেগেছিল তার। ভারতের দলনেতার ভূমিকায় টেন্ডুলকার ১৯৯৭ সালে ১২ ম্যাচের ১৭ ইনিংসে পেয়েছিলেন চারটি শতক। নেতৃত্ব দিয়ে কোহলিরও চারটি সেঞ্চুরি ছিল ২০১৬ সালে, ১২ ম্যাচের ১৮ ইনিংসে।
এই সংস্করণে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম পাঁচটি সেঞ্চুরির জন্য গিলের চেয়ে কম ইনিংস লেগেছে মাত্র দুজনের। তার স্বদেশি সুনিল গাভাস্কারের লেগেছিল ১০ ইনিংস। শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুক নয় ইনিংসে পেয়েছিলেন পাঁচটি শতক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত ১ম ইনিংস ৫১৮/৫ ডিক্লে. (আগের দিন ৩১৮/২) (জয়সওয়াল ১৭৫ গিল ১২৯*, নীতিশ ৪৩, জুরেল ৪৪; ওয়ারিক্যান ৩/৯৮)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস ৪৩ ওভারে ১৪০/৪ (চান্দারপল ৩৪, আথানেজ ৪১, হোপ ৩১ ; জাদেজা ৩/৩৭)।
সেঞ্চুরিয়ান শুবমান গিল
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দিল্লি টেস্টে জয়সওয়ালের পর প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন ভারত অধিনায়ক শুবমান গিল। জয়সওয়াল ও গিলের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৫১৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। জবাবে শনিবার, (১১ অক্টোবর ২০২৫) দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৪০ রান করে সফরকারীরা। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭৮ রানে পিছিয়ে আছে ক্যারিবিয়রা। প্রথম দিন শেষে ২ উইকেটে ৩১৮ রান করেছিল ভারত। জয়সওয়াল ১৭৩ ও গিল ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিন ১৭৫ রানে আউট হন জয়সওয়াল। এরপর ভারতের রানের চাকা সচল রেখে টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি তুলে নেন গিল। সেঞ্চুরির পথে চতুর্থ উইকেটে নিতিশ কুমার রেড্ডির সাথে ৯১ ও পঞ্চম উইকেটে উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলকে নিয়ে দলকে ১০২ রান এনে দেন গিল।রেড্ডি ৪৩ ও জুরেল ৪৪ রানে আউট হলেও ইনিংস ঘোষণা পর্যন্ত ১২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন গিল। তার ১৯৬ বলের ইনিংসে ১৬টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল।
ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ রান করে ভারত স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হন ওপেনার জন ক্যাম্পবেল।
দ্বিতীয় উইকেটে ভারতের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে ৬৬ রান যোগ করেন আরেক ওপেনার তেজনারায়ন চন্দরপল ও অ্যালিক আথানাজে। উইকেটে সেট হয়ে বিদায় নেন দু’জনে। চন্দরপলকে ৩৪ রানে জাদেজা এবং আথানাজেকে ৪১ রানে আউট করেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। আথানেজর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোস্টন চেজকে খালি হাতে বিদায় করেন জাদেজা। এতে ১০৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পঞ্চম উইকেটে ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করেছেন শাই হোপ ও তেভিন ইমলাচ। হোপ ৩১ ও ইমলাচ ১৪ রানে অপরাজিত আছেন। ৩ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা।
সাচিনকে টপকে কোহলির
রেকর্ড ছুঁলেন গিল
দিল্লি টেস্টের প্রথম দিনের অপরাজিত ২০ রান নিয়ে খেলতে নামলেন শুবমান গিল। ইনিংস ঘোষণার সময়ও অপরাজিত থাকলেন ভারতের অধিনায়ক। ছন্দে থাকা ডানহাতি ব্যাটার আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন আরেকটি সেঞ্চুরি। তার ১৯৬ বলে ১২৯ রানের ইনিংসে চার ১২টি ও ছক্কা ২টি।
শনিবার, দ্বিতীয় দিনে হাঁকানো শতকে রেকর্ড বইতেও ঠাঁই নিয়েছেন গিল। সাচিন টেন্ডুলকারকে টপকে ভিরাট কোহলির পাশে বসেছেন তিনি। সাদা পোশাকে চলতি বছর এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি, যা এক পঞ্জিকাবর্ষে ভারতের অধিনায়কদের মধ্যে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
গত জুনে ইংল্যান্ড সফর দিয়ে টেস্টে নেতৃত্বের অভিষেক হয় গিলের। সেই থেকে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন তিনি। ওই সিরিজে অসাধারণ খেলে একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ মোট চারটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। এবার ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে ফের পেয়েছেন তিন অঙ্কের স্বাদ। সেজন্য তার লেগেছে মাত্র সাত টেস্টের ১২ ইনিংস।
টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে দুবার এক পঞ্জিকাবর্ষে পাঁচটি করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন কোহলি। ২০১৭ সালে ১০ ম্যাচের ১৬ ইনিংস ও ২০১৮ সালে ১৩ টেস্টের ২৪ ইনিংস লেগেছিল তার। ভারতের দলনেতার ভূমিকায় টেন্ডুলকার ১৯৯৭ সালে ১২ ম্যাচের ১৭ ইনিংসে পেয়েছিলেন চারটি শতক। নেতৃত্ব দিয়ে কোহলিরও চারটি সেঞ্চুরি ছিল ২০১৬ সালে, ১২ ম্যাচের ১৮ ইনিংসে।
এই সংস্করণে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম পাঁচটি সেঞ্চুরির জন্য গিলের চেয়ে কম ইনিংস লেগেছে মাত্র দুজনের। তার স্বদেশি সুনিল গাভাস্কারের লেগেছিল ১০ ইনিংস। শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুক নয় ইনিংসে পেয়েছিলেন পাঁচটি শতক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত ১ম ইনিংস ৫১৮/৫ ডিক্লে. (আগের দিন ৩১৮/২) (জয়সওয়াল ১৭৫ গিল ১২৯*, নীতিশ ৪৩, জুরেল ৪৪; ওয়ারিক্যান ৩/৯৮)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস ৪৩ ওভারে ১৪০/৪ (চান্দারপল ৩৪, আথানেজ ৪১, হোপ ৩১ ; জাদেজা ৩/৩৭)।