বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ
দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ শেষে স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ জানান ওয়ানডে আসলে মিনি টেস্টের মতন, আক্রমণ ও রক্ষণের সমন্বয় বুঝতে হবে।
আবুধাবিতে চলমান ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটারদের দেখে মনে হয়েছে যে কোনো সময় তারা আউট হয়ে যাবেন। হয়েছেনও তাই।
বাংলাদেশের টাইগার ব্যাটারদের নাচিয়ে দুই ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন আফগান লেগ স্পিনার রাশিদ খান তুলে নেন ৮ উইকেট, রান দেন স্রেফ ৫৫। বোলিং গড় কেবল ৬.৮৭! রাশিদের হাত থেকে বল বেরুলেই চোখে সর্ষে ফুল দেখা মেহেদী মিরাজদের অ্যাপ্রোচের সমালোচনা করেছেন দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ।
তার মনে হয়েছে, বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা রাশিদের নাম দেখেই অর্ধেক ঘাবড়ে গেছেন। রাশিদ নামের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে বলের মেরিট বুঝতে পারেননি। প্রথম ওয়ানডেতে ১০ ওভারে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন রাশিদ। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি আরও বিপদজনক। ৮.৩ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
১৯১ রানের লক্ষ্যে ছুটেও যে ৮১ রানে হারতে হলো তার পেছনে অন্যতম কারণ রাশিদ। এক ম্যাচ আগেই ওয়ানডে সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশতাক জানান, জাকের আলি অনিকদের হাবুডুবু খাওয়ার কারণ, ‘আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রাশিদ খান নামের বিপক্ষে খেলছে, ওর বলের বিপক্ষে নয়। অবশ্যই ও গ্রেট বোলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল হতে হলে বলের বিপক্ষে খেলতে হবে, বোলারের নামের বিপক্ষে নয়।’
‘দারুণ বোলিংয়ের জন্য রাশিদ খানকে অভিনন্দন। আফগানিস্তানের হয়ে অনেক বছর ধরেই ও সাফল্য পাচ্ছে। কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের জানা উচিত, কীভাবে বল খেলতে হয়, বোলারকে নয়।।’
সংবাদ সম্মেলনে মুশতাক বলেন, ‘৫০ ওভার খেলা মিনি টেস্ট ক্রিকেটের মতো। এখানে কখন রক্ষণ করতে হবে, কখন আক্রমণ করতে হবে, কোন বোলারকে মারতে হবে, কোন বোলারকে সমীহ করতে হবে, এসব বুঝতে হবে। এসব হিসেব করে ব্যাটারদের প্রতিপক্ষের চেয়ে স্মার্ট হতে হবে।’
তবে আশা হারাচ্ছেন না তিনি। অর্ধেক কাজ ঠিকঠাক করা বাংলাদেশ দল বাকি অর্ধেক শুধরে নিয়ে যে কারও সঙ্গে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে বলে বিশ্বাস তার, ‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ভালো দল। যেমন প্রতিভা আছে আমাদের মাঠে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। আমাদের বোলিং ভালো হচ্ছে। এখন ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে পারলে যে কোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবো।’
বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ শেষে স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ জানান ওয়ানডে আসলে মিনি টেস্টের মতন, আক্রমণ ও রক্ষণের সমন্বয় বুঝতে হবে।
আবুধাবিতে চলমান ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটারদের দেখে মনে হয়েছে যে কোনো সময় তারা আউট হয়ে যাবেন। হয়েছেনও তাই।
বাংলাদেশের টাইগার ব্যাটারদের নাচিয়ে দুই ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন আফগান লেগ স্পিনার রাশিদ খান তুলে নেন ৮ উইকেট, রান দেন স্রেফ ৫৫। বোলিং গড় কেবল ৬.৮৭! রাশিদের হাত থেকে বল বেরুলেই চোখে সর্ষে ফুল দেখা মেহেদী মিরাজদের অ্যাপ্রোচের সমালোচনা করেছেন দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ।
তার মনে হয়েছে, বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা রাশিদের নাম দেখেই অর্ধেক ঘাবড়ে গেছেন। রাশিদ নামের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে বলের মেরিট বুঝতে পারেননি। প্রথম ওয়ানডেতে ১০ ওভারে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন রাশিদ। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি আরও বিপদজনক। ৮.৩ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
১৯১ রানের লক্ষ্যে ছুটেও যে ৮১ রানে হারতে হলো তার পেছনে অন্যতম কারণ রাশিদ। এক ম্যাচ আগেই ওয়ানডে সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশতাক জানান, জাকের আলি অনিকদের হাবুডুবু খাওয়ার কারণ, ‘আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রাশিদ খান নামের বিপক্ষে খেলছে, ওর বলের বিপক্ষে নয়। অবশ্যই ও গ্রেট বোলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল হতে হলে বলের বিপক্ষে খেলতে হবে, বোলারের নামের বিপক্ষে নয়।’
‘দারুণ বোলিংয়ের জন্য রাশিদ খানকে অভিনন্দন। আফগানিস্তানের হয়ে অনেক বছর ধরেই ও সাফল্য পাচ্ছে। কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের জানা উচিত, কীভাবে বল খেলতে হয়, বোলারকে নয়।।’
সংবাদ সম্মেলনে মুশতাক বলেন, ‘৫০ ওভার খেলা মিনি টেস্ট ক্রিকেটের মতো। এখানে কখন রক্ষণ করতে হবে, কখন আক্রমণ করতে হবে, কোন বোলারকে মারতে হবে, কোন বোলারকে সমীহ করতে হবে, এসব বুঝতে হবে। এসব হিসেব করে ব্যাটারদের প্রতিপক্ষের চেয়ে স্মার্ট হতে হবে।’
তবে আশা হারাচ্ছেন না তিনি। অর্ধেক কাজ ঠিকঠাক করা বাংলাদেশ দল বাকি অর্ধেক শুধরে নিয়ে যে কারও সঙ্গে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে বলে বিশ্বাস তার, ‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ভালো দল। যেমন প্রতিভা আছে আমাদের মাঠে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। আমাদের বোলিং ভালো হচ্ছে। এখন ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে পারলে যে কোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবো।’