alt

সম্পাদকীয়

যক্ষ্মার উচ্চ ঝুঁকি রয়েই গেছে, রোগ শনাক্তের কাজ জোরদার করতে হবে

: শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বের যেসব দেশকে যক্ষ্মা রোগের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বৈশ্বিক যক্ষ্মা প্রতিবেদন- ২০২২ থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

একসময় বলা হতো, যার হয় যক্ষা তার নাই রক্ষা। তখন এই রোগের কোনো চিকিৎসা ছিল না। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এই রোগের চিকিৎসা আছে। ওষুধ সহজলভ্য। সরকার বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছে। তারপরও কেন বাংলাদেশ যক্ষ্মা রোগের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কাতারে রয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যক্ষা রোগ নির্মূলে প্রথম কাজ হচ্ছে রোগ শনাক্ত করা। আর এই কাজটিতে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে আছে। ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১৮ শতাংশ যক্ষা রোগী শনাক্ত হচ্ছে না। কাজেই তাদের চিকিৎসার আওতায় আনা যাচ্ছে না। আর বিপদটি এখানেই। শনাক্ত না হওয়া এবং চিকিৎসা না করা এসব রোগীর কারণে যক্ষা বিস্তৃত হতে পারে বা এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। যে কারণে রোগ শনাক্ত করার কাজ জোরদার করতে হবে।

দেশে ৮২ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর রোগ শনাক্ত করা ও চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। তবে এখানেও রয়েছে সমস্যা। যক্ষা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। অনেক রোগী চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার আগেই ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন। তাদের আবারও যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব রোগীর ক্ষেত্রে আগের ওষুধ কোন কাজে আসে না। কারণে যক্ষা রোগের জীবাণু এসব রোগীর ক্ষেত্রে ওষুধপ্রতিরোধী হয়ে ওঠে।

নানা কারণে যক্ষ্মা রোগ এখনো আমাদের দেশের বড় একটি স্বাস্থ্যসমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গড়ে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে একশজনেরও বেশি মানুষ। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশু যক্ষ্মা শনাক্তকরণের কাজে ভুল ধারণা এবং শিশু যক্ষ্মা সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব, রোগ নির্ণয়ে সীমাবদ্ধতা, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবাদানকারী, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা প্রভৃতি কারণে যক্ষা নির্মূলের কাজ বিঘিœত হচ্ছে।

দেশে থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগকে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। তবে এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে মানুষকে সচেতন করা গেলে যক্ষা নির্মূলের কাজ সহজ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। রোগ মোকাবিলা ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। পাশাপাশি যক্ষ্মা শনাক্তে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেসব রোগী শনাক্ত হবে তাদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

যক্ষ্মার উচ্চ ঝুঁকি রয়েই গেছে, রোগ শনাক্তের কাজ জোরদার করতে হবে

শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বের যেসব দেশকে যক্ষ্মা রোগের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বৈশ্বিক যক্ষ্মা প্রতিবেদন- ২০২২ থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

একসময় বলা হতো, যার হয় যক্ষা তার নাই রক্ষা। তখন এই রোগের কোনো চিকিৎসা ছিল না। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এই রোগের চিকিৎসা আছে। ওষুধ সহজলভ্য। সরকার বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছে। তারপরও কেন বাংলাদেশ যক্ষ্মা রোগের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কাতারে রয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যক্ষা রোগ নির্মূলে প্রথম কাজ হচ্ছে রোগ শনাক্ত করা। আর এই কাজটিতে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে আছে। ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১৮ শতাংশ যক্ষা রোগী শনাক্ত হচ্ছে না। কাজেই তাদের চিকিৎসার আওতায় আনা যাচ্ছে না। আর বিপদটি এখানেই। শনাক্ত না হওয়া এবং চিকিৎসা না করা এসব রোগীর কারণে যক্ষা বিস্তৃত হতে পারে বা এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। যে কারণে রোগ শনাক্ত করার কাজ জোরদার করতে হবে।

দেশে ৮২ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর রোগ শনাক্ত করা ও চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। তবে এখানেও রয়েছে সমস্যা। যক্ষা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। অনেক রোগী চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার আগেই ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন। তাদের আবারও যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব রোগীর ক্ষেত্রে আগের ওষুধ কোন কাজে আসে না। কারণে যক্ষা রোগের জীবাণু এসব রোগীর ক্ষেত্রে ওষুধপ্রতিরোধী হয়ে ওঠে।

নানা কারণে যক্ষ্মা রোগ এখনো আমাদের দেশের বড় একটি স্বাস্থ্যসমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গড়ে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে একশজনেরও বেশি মানুষ। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশু যক্ষ্মা শনাক্তকরণের কাজে ভুল ধারণা এবং শিশু যক্ষ্মা সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব, রোগ নির্ণয়ে সীমাবদ্ধতা, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবাদানকারী, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা প্রভৃতি কারণে যক্ষা নির্মূলের কাজ বিঘিœত হচ্ছে।

দেশে থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগকে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। তবে এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে মানুষকে সচেতন করা গেলে যক্ষা নির্মূলের কাজ সহজ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। রোগ মোকাবিলা ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। পাশাপাশি যক্ষ্মা শনাক্তে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেসব রোগী শনাক্ত হবে তাদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top