২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষার প্রকল্প ছিল ৭৩টি। এসব প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ এক হাজার তিনশ কোটি টাকা ব্যয় করা যায়নি। সাতটি প্রকল্পে অব্যয়িত রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা। আর এজন্য দায়ী করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, গাফিলতি ও প্রকল্প দলিলসংক্রান্ত জটিলতাকে।
৭৩টি প্রকল্পের ২৩টিতে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক বা ‘পিডি’ নিয়োগ দেয়া হয়নি। পিডির দায়িত্ব ধরে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংস্থা প্রধানরা। এমন অভিযোগও উঠেছে যে, অধীনস্থ কর্মকর্তারা এ কারণে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।
শিক্ষার ৩৩টি প্রকল্পের মেয়াদ গত জুনে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়নি। যার কারণে ৩৩টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টি প্রকল্পের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে। ১৯টি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
কোনো প্রকল্পের ব্যয় যদি ৫০ কোটি টাকার বেশি হয় তাহলে সে প্রকল্পের জন্য পূর্ণকালীন পিডি নিয়োগ দিতে হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে উপাচার্যরা নিজেরাই প্রকল্প চালাতে চান। এ কারণে প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউজিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের তথ্য জানার জন্য ‘ইউজিসি’ চিঠিও দেয়। কিন্তু পিডির তরফ থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয় না বলে অভিযোগও উঠেছে ইউজিসির পক্ষ থেকে। প্রকল্পের তথ্য সময় মতো সরবরাহ করলে বাস্তবায়ন ব্যাহত হতো না কিন্তু তথ্য দিতে পিডির কেন গড়িমসি, সে প্রশ্ন এসে যায়।
প্রকল্পের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যের দায়িত্ব ছিল পিডি নিয়োগের জন্য তিনজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক বা কর্মকর্তার একটি প্যানেল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর। নিয়ম অনুযায়ী এই প্যানেল অন্তর্ভুক্ত তিনজনের নাম থেকে একজনকে পিডি নিয়োগ দেয় শিক্ষা সচিবের কমিটি। কিন্তু উপাচার্যরা পিডি নিয়োগের জন্য দক্ষ লোকবল চেয়ে কেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠাননি, সেটাও একটা ভাবনার বিষয়।
শুধু যে পিডি নিয়োগ না দেয়ার কারণেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়নি তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। এ সময়ের নির্ধারিত ‘রেট’ বা বাজারদর অনুযায়ী কাজ করতে আর রাজি হচ্ছেন না ঠিকাদাররা। গত পাঁচ বছরে বাজারে সব রকমের নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এখন ঠিকাদারদের চাহিদা পূরণও করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে অন্যতম ২৩টি প্রকল্পে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক না থাকা। বড় প্রকল্পে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক ‘পিডি’ না থাকা। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের স্বার্থে বা প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষার প্রকল্প ছিল ৭৩টি। এসব প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ এক হাজার তিনশ কোটি টাকা ব্যয় করা যায়নি। সাতটি প্রকল্পে অব্যয়িত রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা। আর এজন্য দায়ী করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, গাফিলতি ও প্রকল্প দলিলসংক্রান্ত জটিলতাকে।
৭৩টি প্রকল্পের ২৩টিতে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক বা ‘পিডি’ নিয়োগ দেয়া হয়নি। পিডির দায়িত্ব ধরে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংস্থা প্রধানরা। এমন অভিযোগও উঠেছে যে, অধীনস্থ কর্মকর্তারা এ কারণে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।
শিক্ষার ৩৩টি প্রকল্পের মেয়াদ গত জুনে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়নি। যার কারণে ৩৩টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টি প্রকল্পের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে। ১৯টি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
কোনো প্রকল্পের ব্যয় যদি ৫০ কোটি টাকার বেশি হয় তাহলে সে প্রকল্পের জন্য পূর্ণকালীন পিডি নিয়োগ দিতে হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে উপাচার্যরা নিজেরাই প্রকল্প চালাতে চান। এ কারণে প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউজিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের তথ্য জানার জন্য ‘ইউজিসি’ চিঠিও দেয়। কিন্তু পিডির তরফ থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয় না বলে অভিযোগও উঠেছে ইউজিসির পক্ষ থেকে। প্রকল্পের তথ্য সময় মতো সরবরাহ করলে বাস্তবায়ন ব্যাহত হতো না কিন্তু তথ্য দিতে পিডির কেন গড়িমসি, সে প্রশ্ন এসে যায়।
প্রকল্পের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যের দায়িত্ব ছিল পিডি নিয়োগের জন্য তিনজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক বা কর্মকর্তার একটি প্যানেল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর। নিয়ম অনুযায়ী এই প্যানেল অন্তর্ভুক্ত তিনজনের নাম থেকে একজনকে পিডি নিয়োগ দেয় শিক্ষা সচিবের কমিটি। কিন্তু উপাচার্যরা পিডি নিয়োগের জন্য দক্ষ লোকবল চেয়ে কেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠাননি, সেটাও একটা ভাবনার বিষয়।
শুধু যে পিডি নিয়োগ না দেয়ার কারণেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়নি তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। এ সময়ের নির্ধারিত ‘রেট’ বা বাজারদর অনুযায়ী কাজ করতে আর রাজি হচ্ছেন না ঠিকাদাররা। গত পাঁচ বছরে বাজারে সব রকমের নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এখন ঠিকাদারদের চাহিদা পূরণও করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে অন্যতম ২৩টি প্রকল্পে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক না থাকা। বড় প্রকল্পে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক ‘পিডি’ না থাকা। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের স্বার্থে বা প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।