alt

সম্পাদকীয়

এলপিজি : বিইআরসির নির্ধারিত দর কার্যকর করতে হবে

: বুধবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলছে। নিয়ম অনুযায়ী, দেশের সব স্থানে এক দরে সিলিন্ডার বিক্রি করতে হবে। বাস্তবে একেক জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলিন্ডার বিক্রি হয় একেক দামে। দামের ভিন্নতার জন্য একপক্ষ দায়ী করে আরেক পক্ষকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা দোষ দেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দোষ দেন আমদানিকারদের।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিয়মিতই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দর নির্ধারণ করে। প্রপেন ও বিউটেন হচ্ছে এলপিজি তৈরির মূল দুই উপাদান; যা আমদানি করতে হয়। যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে কখনো এর দর বাড়ানো হয়, কখনো কমানো হয়।

সমস্যা হচ্ছে বিইআরসি যখন যে দামই নির্ধারণ করুক না কেন সেই দামে ভোক্তারা এলপিজি কিনতে পারেন না। এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায় যে, সাধারণ মানুষকে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে সিলিন্ডার কিনতে হয়।

বিইআরসি যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে বেশি দামে এলপিজি বিক্রি করার অভিযোগে উঠেছে আমদানিকারক চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে বিইআরসি। নোটিসের জবাব দিতে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ে জবাব দিয়েছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান নোটিসের জবাব দিতে আরও সময় চেয়েছে।

এখন দেখার বিষয় হচ্ছে- নোটিসের জবাব পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয়। নির্ধারিত দরে এলপিজি বিক্রি না করার কারণে অতীতে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা সেটা জানা জরুরি। ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে এলপিজি বিক্রিতে দেশে নৈরাজ্য থাকতো না।

কোম্পানি এবং পরিবেশকদের নিয়ে সভা করে বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। এই দাম সংশ্লিষ্টরা মানতে বাধ্য। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- কেউ সেই নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কি বিইআরসি পদক্ষেপ নেবে।

আমরা শুধু বলতে চাই, ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে এলপিজি কিনতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিইআরসি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করেছে, কাজেই বিষয়টা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

এলপিজি : বিইআরসির নির্ধারিত দর কার্যকর করতে হবে

বুধবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলছে। নিয়ম অনুযায়ী, দেশের সব স্থানে এক দরে সিলিন্ডার বিক্রি করতে হবে। বাস্তবে একেক জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলিন্ডার বিক্রি হয় একেক দামে। দামের ভিন্নতার জন্য একপক্ষ দায়ী করে আরেক পক্ষকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা দোষ দেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দোষ দেন আমদানিকারদের।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিয়মিতই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দর নির্ধারণ করে। প্রপেন ও বিউটেন হচ্ছে এলপিজি তৈরির মূল দুই উপাদান; যা আমদানি করতে হয়। যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে কখনো এর দর বাড়ানো হয়, কখনো কমানো হয়।

সমস্যা হচ্ছে বিইআরসি যখন যে দামই নির্ধারণ করুক না কেন সেই দামে ভোক্তারা এলপিজি কিনতে পারেন না। এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায় যে, সাধারণ মানুষকে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে সিলিন্ডার কিনতে হয়।

বিইআরসি যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে বেশি দামে এলপিজি বিক্রি করার অভিযোগে উঠেছে আমদানিকারক চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে বিইআরসি। নোটিসের জবাব দিতে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ে জবাব দিয়েছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান নোটিসের জবাব দিতে আরও সময় চেয়েছে।

এখন দেখার বিষয় হচ্ছে- নোটিসের জবাব পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয়। নির্ধারিত দরে এলপিজি বিক্রি না করার কারণে অতীতে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা সেটা জানা জরুরি। ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে এলপিজি বিক্রিতে দেশে নৈরাজ্য থাকতো না।

কোম্পানি এবং পরিবেশকদের নিয়ে সভা করে বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। এই দাম সংশ্লিষ্টরা মানতে বাধ্য। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- কেউ সেই নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কি বিইআরসি পদক্ষেপ নেবে।

আমরা শুধু বলতে চাই, ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে এলপিজি কিনতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিইআরসি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করেছে, কাজেই বিষয়টা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।

back to top