দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলছে। নিয়ম অনুযায়ী, দেশের সব স্থানে এক দরে সিলিন্ডার বিক্রি করতে হবে। বাস্তবে একেক জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলিন্ডার বিক্রি হয় একেক দামে। দামের ভিন্নতার জন্য একপক্ষ দায়ী করে আরেক পক্ষকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা দোষ দেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দোষ দেন আমদানিকারদের।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিয়মিতই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দর নির্ধারণ করে। প্রপেন ও বিউটেন হচ্ছে এলপিজি তৈরির মূল দুই উপাদান; যা আমদানি করতে হয়। যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে কখনো এর দর বাড়ানো হয়, কখনো কমানো হয়।
সমস্যা হচ্ছে বিইআরসি যখন যে দামই নির্ধারণ করুক না কেন সেই দামে ভোক্তারা এলপিজি কিনতে পারেন না। এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায় যে, সাধারণ মানুষকে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে সিলিন্ডার কিনতে হয়।
বিইআরসি যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে বেশি দামে এলপিজি বিক্রি করার অভিযোগে উঠেছে আমদানিকারক চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে বিইআরসি। নোটিসের জবাব দিতে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ে জবাব দিয়েছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান নোটিসের জবাব দিতে আরও সময় চেয়েছে।
এখন দেখার বিষয় হচ্ছে- নোটিসের জবাব পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয়। নির্ধারিত দরে এলপিজি বিক্রি না করার কারণে অতীতে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা সেটা জানা জরুরি। ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে এলপিজি বিক্রিতে দেশে নৈরাজ্য থাকতো না।
কোম্পানি এবং পরিবেশকদের নিয়ে সভা করে বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। এই দাম সংশ্লিষ্টরা মানতে বাধ্য। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- কেউ সেই নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কি বিইআরসি পদক্ষেপ নেবে।
আমরা শুধু বলতে চাই, ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে এলপিজি কিনতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিইআরসি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করেছে, কাজেই বিষয়টা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।
বুধবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলছে। নিয়ম অনুযায়ী, দেশের সব স্থানে এক দরে সিলিন্ডার বিক্রি করতে হবে। বাস্তবে একেক জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলিন্ডার বিক্রি হয় একেক দামে। দামের ভিন্নতার জন্য একপক্ষ দায়ী করে আরেক পক্ষকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা দোষ দেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দোষ দেন আমদানিকারদের।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিয়মিতই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দর নির্ধারণ করে। প্রপেন ও বিউটেন হচ্ছে এলপিজি তৈরির মূল দুই উপাদান; যা আমদানি করতে হয়। যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে কখনো এর দর বাড়ানো হয়, কখনো কমানো হয়।
সমস্যা হচ্ছে বিইআরসি যখন যে দামই নির্ধারণ করুক না কেন সেই দামে ভোক্তারা এলপিজি কিনতে পারেন না। এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায় যে, সাধারণ মানুষকে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে সিলিন্ডার কিনতে হয়।
বিইআরসি যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে বেশি দামে এলপিজি বিক্রি করার অভিযোগে উঠেছে আমদানিকারক চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে বিইআরসি। নোটিসের জবাব দিতে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ে জবাব দিয়েছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান নোটিসের জবাব দিতে আরও সময় চেয়েছে।
এখন দেখার বিষয় হচ্ছে- নোটিসের জবাব পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয়। নির্ধারিত দরে এলপিজি বিক্রি না করার কারণে অতীতে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা সেটা জানা জরুরি। ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে এলপিজি বিক্রিতে দেশে নৈরাজ্য থাকতো না।
কোম্পানি এবং পরিবেশকদের নিয়ে সভা করে বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। এই দাম সংশ্লিষ্টরা মানতে বাধ্য। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- কেউ সেই নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কি বিইআরসি পদক্ষেপ নেবে।
আমরা শুধু বলতে চাই, ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে এলপিজি কিনতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিইআরসি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করেছে, কাজেই বিষয়টা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।