নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে মহাসড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও তা সংস্কার করা হয়নি। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অনুপোযোগী হলে কেবল যে মানুষের যাতায়াতে কষ্ট হয় তা নয়। জরাজীর্ণ সড়কের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, যানবাহন বিকল হয়, তৈরি হয় যানজট। কেবল বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, দেশের আরো অনেক সড়ক-মহাসড়কই রয়েছে বেহাল অবস্থায়। গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে এর জরাজীর্ণ অবস্থা।
দেশে সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক অর্থ ব্যয় করা হয়। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে- সড়কগুলো নির্মাণের পর টেকসই হয় না। নির্মাণের পর দেশের অনেক সড়ক-মহাসড়কই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারে না। নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই ভেঙে যায়।
সড়ক-মহাসড়ক টেকসই না হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ভারী যানবাহন চলাচল। দেশের অনেক সড়কই ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। তারপরও সেসব সড়ক দিয়ে নিয়মিতই ভারী যানবাহন চলাচল করে। কোন সড়কের ওপর দিয়ে কোন ধরনের এবং কত যানবাহন চলবে, কী পরিমাণ ভার বহন করতে হবে- নির্মাণের সময় এসব বিষয় মাথায় রাখা হয় কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
সড়ক নির্মাণ উপকরণ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ঠিকাদারই মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করেন না- কিংবা যে উপকরণ যে মাত্রায় ব্যবহার করার কথা তা করা হয় না।
সড়ক নির্মাণ বা সংস্কার যেমন জরুরি, সড়ক নিয়ে হওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করাও তেমন জরুরি। সড়ক খাত অনিয়ম-দুর্নীতির একটে বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল প্রদান, টেন্ডার নিয়ে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ ও নজরদারির দুর্বলতা প্রভৃতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। দুদকের সেই প্রতিবেদনে অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করার জন্য ২১ দফা সুপারিশও করা হয়েছিল। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা কী করেছে সেটা একটা প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে মহাসড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও তা সংস্কার করা হয়নি। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অনুপোযোগী হলে কেবল যে মানুষের যাতায়াতে কষ্ট হয় তা নয়। জরাজীর্ণ সড়কের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, যানবাহন বিকল হয়, তৈরি হয় যানজট। কেবল বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, দেশের আরো অনেক সড়ক-মহাসড়কই রয়েছে বেহাল অবস্থায়। গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে এর জরাজীর্ণ অবস্থা।
দেশে সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক অর্থ ব্যয় করা হয়। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে- সড়কগুলো নির্মাণের পর টেকসই হয় না। নির্মাণের পর দেশের অনেক সড়ক-মহাসড়কই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারে না। নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই ভেঙে যায়।
সড়ক-মহাসড়ক টেকসই না হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ভারী যানবাহন চলাচল। দেশের অনেক সড়কই ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। তারপরও সেসব সড়ক দিয়ে নিয়মিতই ভারী যানবাহন চলাচল করে। কোন সড়কের ওপর দিয়ে কোন ধরনের এবং কত যানবাহন চলবে, কী পরিমাণ ভার বহন করতে হবে- নির্মাণের সময় এসব বিষয় মাথায় রাখা হয় কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
সড়ক নির্মাণ উপকরণ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ঠিকাদারই মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করেন না- কিংবা যে উপকরণ যে মাত্রায় ব্যবহার করার কথা তা করা হয় না।
সড়ক নির্মাণ বা সংস্কার যেমন জরুরি, সড়ক নিয়ে হওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করাও তেমন জরুরি। সড়ক খাত অনিয়ম-দুর্নীতির একটে বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল প্রদান, টেন্ডার নিয়ে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ ও নজরদারির দুর্বলতা প্রভৃতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। দুদকের সেই প্রতিবেদনে অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করার জন্য ২১ দফা সুপারিশও করা হয়েছিল। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা কী করেছে সেটা একটা প্রশ্ন।