গাজীপুরের শ্রীপুরে সংরক্ষিত বনের ভেতরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে সিসা তৈরির কারখানা। সেখানে পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে সিসা। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী এই কারখানা গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ কারখানার কারণে বনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিসা তৈরির কারখানা থেকে যে ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় তা কেবল পরিবেশেরই ক্ষতি করে না জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যেও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
সংরক্ষিত বন দখল করে নানা ধরনের কারখানা গড়ে তোলার খবর মাঝে মাঝেই পাওয়া যায়। কোথাও বন দখল করে সিসা কারখানা গড়ে ওঠে তো কোথাও গড়ে ওঠে করাতকল। সংরক্ষিত বনের পরিবেশ ধ্বংস করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিজেদের আখের গোছায়। শ্রীপুরে এর আগেও একাধিক সিসা কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বনের ভেতর কারখানা গড়ে ওঠে কীভাবে। অভিযোগ আছে, অবৈধভাবে যারা কারখানা গড়ে তোলে তারা স্থানীয় প্রভাবশালী। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আবার অনেক সময় প্রশাসনকে মেনেজ করেই এই গোষ্ঠী অন্যায় তৎপরতা চালায়।
সংরক্ষিত বন রক্ষায় দেশে আইন আছে। সমস্যা হচ্ছে, আইনের কঠোর প্রয়োগ হয় না। আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হলে এভাবে বনের ভেতর সিসা কারখানা গড়ে উঠতে পারত না বলে আমরা মনে করি। সংরক্ষিত বন দখল করে অবৈধ কারখানা উচ্ছেদে মাঝে মাঝে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিযান চালাতে দেখা যায়। তবে এসব অভিযানে টেকসই সমাধান মিলছে না। অভিযানে হয়তো কারখানা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু আবার কিছুদিন পরে অবৈধ কারখানা গড়ে ওঠে।
আমরা বলতে চাই, শ্রীপুরে সংরক্ষিত বনে সে সিসা কারখানা গড়ে উঠেছে তা উচ্ছেদ করতে হবে। যে বা যারা কারখানা স্থাপন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। দেশের অন্যান্য সংরক্ষিত বনও রক্ষা করতে হবে। বন দখল করে কোথাও কোনো অবৈধ কারখানা গড়ে তোলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
গাজীপুরের শ্রীপুরে সংরক্ষিত বনের ভেতরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে সিসা তৈরির কারখানা। সেখানে পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে সিসা। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী এই কারখানা গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ কারখানার কারণে বনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিসা তৈরির কারখানা থেকে যে ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় তা কেবল পরিবেশেরই ক্ষতি করে না জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যেও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
সংরক্ষিত বন দখল করে নানা ধরনের কারখানা গড়ে তোলার খবর মাঝে মাঝেই পাওয়া যায়। কোথাও বন দখল করে সিসা কারখানা গড়ে ওঠে তো কোথাও গড়ে ওঠে করাতকল। সংরক্ষিত বনের পরিবেশ ধ্বংস করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিজেদের আখের গোছায়। শ্রীপুরে এর আগেও একাধিক সিসা কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বনের ভেতর কারখানা গড়ে ওঠে কীভাবে। অভিযোগ আছে, অবৈধভাবে যারা কারখানা গড়ে তোলে তারা স্থানীয় প্রভাবশালী। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আবার অনেক সময় প্রশাসনকে মেনেজ করেই এই গোষ্ঠী অন্যায় তৎপরতা চালায়।
সংরক্ষিত বন রক্ষায় দেশে আইন আছে। সমস্যা হচ্ছে, আইনের কঠোর প্রয়োগ হয় না। আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হলে এভাবে বনের ভেতর সিসা কারখানা গড়ে উঠতে পারত না বলে আমরা মনে করি। সংরক্ষিত বন দখল করে অবৈধ কারখানা উচ্ছেদে মাঝে মাঝে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিযান চালাতে দেখা যায়। তবে এসব অভিযানে টেকসই সমাধান মিলছে না। অভিযানে হয়তো কারখানা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু আবার কিছুদিন পরে অবৈধ কারখানা গড়ে ওঠে।
আমরা বলতে চাই, শ্রীপুরে সংরক্ষিত বনে সে সিসা কারখানা গড়ে উঠেছে তা উচ্ছেদ করতে হবে। যে বা যারা কারখানা স্থাপন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। দেশের অন্যান্য সংরক্ষিত বনও রক্ষা করতে হবে। বন দখল করে কোথাও কোনো অবৈধ কারখানা গড়ে তোলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।