alt

সম্পাদকীয়

গাইড-কোচিং নির্ভরতা কমানো যাচ্ছে না কেন

: সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাণিজ্যিক গাইড, কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিকে ৭৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে ৮৫.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী গাইড বই পড়ে। শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীর প্রতি মাসে গড়ে ব্যয় হয় ১ হাজার ১০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। গণসাক্ষরতা অভিযানের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গণসাক্ষরতা অভিযান ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করেছে। করোনা মহামারিতে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। যে কারণে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে শিখনের ওপর জোর দিতে পারেনি। বিদ্যালয় খোলার পর তারা পাঠ বোঝার জন্য বিশেষ কোনো সহায়তা পায়নি বলেও জানিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭১ শতাংশ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের বাণিজ্যিক গাইড ও কোচিংয়ের ওপর নির্ভরতা যে কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তা বেরিয়ে এসেছে গণসাক্ষরতা অভিযানের গবেষণায়। আর এটা শুধু শহর ও নগরের চিত্র নয়, গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও গাইড ও কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকছে।

করোনা মহামারিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ায় ব্যাপক ঘাটতি হয়েছে। এ শিখন ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সরকারের অনেক আগেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল। কেন সেটা সময়মতো নেয়া হয়নি- সেটা একটা প্রশ্ন।

শিক্ষানীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন নীতি চালু করেছে। সেটা হলো ‘শিখন’ ব্যবস্থা। এ শিখন ব্যবস্থায় রয়েছে তিনটি পদ্ধতি। বুঝে পড়া, চিন্তা করার শক্তি ও প্রশ্ন করার শক্তি। এ পদ্ধতিতে শিক্ষাদানে গাইড কিংবা কোচিংয়ের কোনো প্রয়োজন নেই বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

গাইড নিষিদ্ধ হলেও এখন সহায়ক বই হিসেবে বাজারে চলছে। এতে একশ্রেণির অসাধু বই ব্যবসায়ী ও শিক্ষক পকেট ভারি করছেন। তারা নোট-গাইডের বিকল্প নাম দিয়েছে ‘সহায়ক গ্রন্থ’। শিক্ষা আইনে নোট বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা নিষিদ্ধ। কেউ অমান্য করলে জেল-জরিমানারও বিধান রয়েছে। আবার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সহায়ক পুস্তক ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করতে পারবে না। করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রশ্ন হচ্ছে- কর্তৃপক্ষ কাদের স্বার্থে সহায়ক বই ও কোচিং ব্যবসার সুযোগ রাখল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচিং ও সহায়ক পুস্তকের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালো করে পড়াতে হবে। কেবল পরীক্ষার প্রশ্ন সৃজনশীল পদ্ধতিতে করলেই সব হয়ে যাবে না। শ্রেণীকক্ষেও যাতে শিক্ষকরা সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান- সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

বটতলী সড়কের কালভার্ট সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

হৃদরোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

রাণীশংকৈলে বনের বেদখল জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

বায়ুদূষণ মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে

পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারে চাই সচেতনতা

প্লাস্টিক কারখানার অবৈধ গ্যাসলাইন, ব্যবস্থা নিন

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

চালতাবুনিয়ায় পাকা রাস্তা চাই

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল

কৃষিযন্ত্র বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দর কার্যকর করতে হবে

রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

অনুমোদনহীন তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

বেদে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা দূর করুন

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

সংরক্ষিত বন রক্ষা করুন

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প

শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ

ডেঙ্গু রোগ : মশারি ব্যবহারে অনীহা নয়

tab

সম্পাদকীয়

গাইড-কোচিং নির্ভরতা কমানো যাচ্ছে না কেন

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাণিজ্যিক গাইড, কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিকে ৭৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে ৮৫.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী গাইড বই পড়ে। শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীর প্রতি মাসে গড়ে ব্যয় হয় ১ হাজার ১০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। গণসাক্ষরতা অভিযানের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গণসাক্ষরতা অভিযান ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করেছে। করোনা মহামারিতে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। যে কারণে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে শিখনের ওপর জোর দিতে পারেনি। বিদ্যালয় খোলার পর তারা পাঠ বোঝার জন্য বিশেষ কোনো সহায়তা পায়নি বলেও জানিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭১ শতাংশ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের বাণিজ্যিক গাইড ও কোচিংয়ের ওপর নির্ভরতা যে কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তা বেরিয়ে এসেছে গণসাক্ষরতা অভিযানের গবেষণায়। আর এটা শুধু শহর ও নগরের চিত্র নয়, গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও গাইড ও কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকছে।

করোনা মহামারিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ায় ব্যাপক ঘাটতি হয়েছে। এ শিখন ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সরকারের অনেক আগেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল। কেন সেটা সময়মতো নেয়া হয়নি- সেটা একটা প্রশ্ন।

শিক্ষানীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন নীতি চালু করেছে। সেটা হলো ‘শিখন’ ব্যবস্থা। এ শিখন ব্যবস্থায় রয়েছে তিনটি পদ্ধতি। বুঝে পড়া, চিন্তা করার শক্তি ও প্রশ্ন করার শক্তি। এ পদ্ধতিতে শিক্ষাদানে গাইড কিংবা কোচিংয়ের কোনো প্রয়োজন নেই বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

গাইড নিষিদ্ধ হলেও এখন সহায়ক বই হিসেবে বাজারে চলছে। এতে একশ্রেণির অসাধু বই ব্যবসায়ী ও শিক্ষক পকেট ভারি করছেন। তারা নোট-গাইডের বিকল্প নাম দিয়েছে ‘সহায়ক গ্রন্থ’। শিক্ষা আইনে নোট বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা নিষিদ্ধ। কেউ অমান্য করলে জেল-জরিমানারও বিধান রয়েছে। আবার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সহায়ক পুস্তক ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করতে পারবে না। করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রশ্ন হচ্ছে- কর্তৃপক্ষ কাদের স্বার্থে সহায়ক বই ও কোচিং ব্যবসার সুযোগ রাখল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচিং ও সহায়ক পুস্তকের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালো করে পড়াতে হবে। কেবল পরীক্ষার প্রশ্ন সৃজনশীল পদ্ধতিতে করলেই সব হয়ে যাবে না। শ্রেণীকক্ষেও যাতে শিক্ষকরা সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান- সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top