alt

সম্পাদকীয়

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

: শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে পৃথিবীকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে ওজোন স্তরের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। প্রতিনিয়ত পৃথিবীর বায়ুমন্ডল বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে পৃথিবীর ওজোন স্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওজোন স্তর ক্ষয় হওয়ার কারণে ভূপৃষ্ঠের বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে এবং উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভিদের গ্যাসীয় পদার্থ আদান-প্রদানকে বাধাগ্রস্ত করছে। পাশাপাশি মানুষের ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির ঝুঁকি বাড়ছে।

‘মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন করি, ওজোন স্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করি।’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে গত শুক্রবার সারা বিশ্বে পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’। ওজোন স্তরের ক্ষয় রোধে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরির জন্য জাতিসংঘ প্রতি বছর আন্তর্জাতিক ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস পালিত হয়।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অ্যাটমোস্ফেয়ারিক ওজোন স্তর সূর্যের আলো ও তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটা প্রাকৃতিকভাবে যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত, তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপের ফলে। ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে আসে। আর তখন পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত, খরা, বন্যা ও তাপমাত্রার তারতম্য দেখে সেটা আঁচ করা যায়। যখন বৃষ্টি হওয়ার কথা, তখন বৃষ্টি হয় না। আবার শীতকালে ঝড়বৃষ্টি দেখা যায়। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি তাপমাত্র উঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৫ এপ্রিল ৫৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন কাটায় ঢাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতাও কমে গিয়েছিল অতিমাত্রায়।

মানুষের আরাম-আয়েশের কারণে পৃথিবীর ওজোন স্তরের ক্ষতি হচ্ছে। এসি ব্যবহারে ঘর ঠান্ডা হলেও বাইরের তাপমাত্রা বাড়ে। এসির রাসায়নিক উপাদান ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন, ফ্রেয়ন ও হাইড্রো-ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন বাতাসে ছড়িয়ে ওজোন স্তরের মারাত্মক ক্ষতি করছে। মানবদেহে রোগ প্রতিরাধ ক্ষমতা হ্রাস এবং উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতকে টিকিয়ে রাখতে সিএফসি গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ব নেতাদের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রয়োজন। পাশাপাশি আমাদেরকেও অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে পৃথিবীকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে ওজোন স্তরের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। প্রতিনিয়ত পৃথিবীর বায়ুমন্ডল বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে পৃথিবীর ওজোন স্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওজোন স্তর ক্ষয় হওয়ার কারণে ভূপৃষ্ঠের বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে এবং উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভিদের গ্যাসীয় পদার্থ আদান-প্রদানকে বাধাগ্রস্ত করছে। পাশাপাশি মানুষের ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির ঝুঁকি বাড়ছে।

‘মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন করি, ওজোন স্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করি।’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে গত শুক্রবার সারা বিশ্বে পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’। ওজোন স্তরের ক্ষয় রোধে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরির জন্য জাতিসংঘ প্রতি বছর আন্তর্জাতিক ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস পালিত হয়।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অ্যাটমোস্ফেয়ারিক ওজোন স্তর সূর্যের আলো ও তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটা প্রাকৃতিকভাবে যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত, তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপের ফলে। ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে আসে। আর তখন পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত, খরা, বন্যা ও তাপমাত্রার তারতম্য দেখে সেটা আঁচ করা যায়। যখন বৃষ্টি হওয়ার কথা, তখন বৃষ্টি হয় না। আবার শীতকালে ঝড়বৃষ্টি দেখা যায়। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি তাপমাত্র উঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৫ এপ্রিল ৫৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন কাটায় ঢাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতাও কমে গিয়েছিল অতিমাত্রায়।

মানুষের আরাম-আয়েশের কারণে পৃথিবীর ওজোন স্তরের ক্ষতি হচ্ছে। এসি ব্যবহারে ঘর ঠান্ডা হলেও বাইরের তাপমাত্রা বাড়ে। এসির রাসায়নিক উপাদান ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন, ফ্রেয়ন ও হাইড্রো-ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন বাতাসে ছড়িয়ে ওজোন স্তরের মারাত্মক ক্ষতি করছে। মানবদেহে রোগ প্রতিরাধ ক্ষমতা হ্রাস এবং উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতকে টিকিয়ে রাখতে সিএফসি গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ব নেতাদের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রয়োজন। পাশাপাশি আমাদেরকেও অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top