alt

সম্পাদকীয়

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

: রোববার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউক্যালিপটাস গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গাছের বিস্তার বন্ধ করা না গেলে দেশের ভূগর্ভস্থ পানি আশঙ্কাজনকভাবে কমবে। পাশাপাশি আর্সেনিক ও জিংক সমস্যাও দেখা দেবে। তাই জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্যের স্বার্থে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো বন্ধ করা জরুরি।

দেশে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো নিষিদ্ধ। ২০০৮ সালে বন ও পরিবেশ দপ্তর আইন করে এই গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে। কিন্তু আইন থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। নিষিদ্ধ এই গাছ লাগানো হচ্ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার গ্রামগুলোতে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

প্রশ্ন হচ্ছে, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই এখনো ইউক্যালিপটাস গাছ কেন লাগাচ্ছেন। জানা যায়, এই গাছ দ্রুত বাড়ে। গাছ বিক্রি করে বেশি দাম পাওয়া যায়। এ কারণে অনেকেই এই গাছ লাগান। তবে এর ফলে পরিবেশ ও প্রকৃতির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, ঘোড়াঘাট উপজেলায় রাস্তার ধারে, পুকুরপাড়ে, বাড়ির আশপাশে, খালের ধারে, পতিত জমিতে বাগান আকারে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওসমানপুর বাজার, ডুগডুগী হাট, রানীগঞ্জ বন্দর ও পৌরসভার হাটে এই গাছ কেনাবেচা হচ্ছে। নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বাজারে বিক্রি হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন সেটা আমরা জানতে চাইব।

আমরা বলতে চাই, আইন অমান্য করে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোর সুযোগ নেই। এই গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। এজন্য নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। যারা নিষিদ্ধ গাছ বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে এই গাছ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করার জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এটা আমরা চাই।

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। ক্ষতিকার গাছের বিস্তৃতি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা না গেলে একদিন প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে। কাজেই সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

রোববার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউক্যালিপটাস গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গাছের বিস্তার বন্ধ করা না গেলে দেশের ভূগর্ভস্থ পানি আশঙ্কাজনকভাবে কমবে। পাশাপাশি আর্সেনিক ও জিংক সমস্যাও দেখা দেবে। তাই জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্যের স্বার্থে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো বন্ধ করা জরুরি।

দেশে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো নিষিদ্ধ। ২০০৮ সালে বন ও পরিবেশ দপ্তর আইন করে এই গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে। কিন্তু আইন থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। নিষিদ্ধ এই গাছ লাগানো হচ্ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার গ্রামগুলোতে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

প্রশ্ন হচ্ছে, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই এখনো ইউক্যালিপটাস গাছ কেন লাগাচ্ছেন। জানা যায়, এই গাছ দ্রুত বাড়ে। গাছ বিক্রি করে বেশি দাম পাওয়া যায়। এ কারণে অনেকেই এই গাছ লাগান। তবে এর ফলে পরিবেশ ও প্রকৃতির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, ঘোড়াঘাট উপজেলায় রাস্তার ধারে, পুকুরপাড়ে, বাড়ির আশপাশে, খালের ধারে, পতিত জমিতে বাগান আকারে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওসমানপুর বাজার, ডুগডুগী হাট, রানীগঞ্জ বন্দর ও পৌরসভার হাটে এই গাছ কেনাবেচা হচ্ছে। নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বাজারে বিক্রি হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন সেটা আমরা জানতে চাইব।

আমরা বলতে চাই, আইন অমান্য করে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোর সুযোগ নেই। এই গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। এজন্য নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। যারা নিষিদ্ধ গাছ বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে এই গাছ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করার জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এটা আমরা চাই।

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। ক্ষতিকার গাছের বিস্তৃতি নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা না গেলে একদিন প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে। কাজেই সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

back to top