অনুমোদন নেই। তারপরও খুলনার ডুমুরিয়ায় চলছে ‘মাহেন্দ্র’ নামের তিন চাকার যান। অনুমোদন ছাড়াই তিন চাকার এই যানে প্রকাশ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু এই একটি এলাকাতেই যে অনুমোদনহীন যান চলাচল করছে তা নয়। দেশের অনেক স্থানের সড়কেই এমনকি মহাসড়কেও চলছে নিষিদ্ধ যানবাহন। অনুমোদনহীন ধীরগতির এসব যান চলাচল আর যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণে মহাসড়কে প্রায়ই যানজট তৈরি হয়।
আবার এমনও দেখা গেছে যে, শ্যালোইঞ্জিন দিয়ে পরিবহন বানিয়ে তা সড়ক-মহাসড়কে চালানো হয়। এসব যানবাহনের অধিকাংশেরই কোন নিবন্ধন নেই। চালকদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এ ধরনের যানবাহনের ব্রেক সিস্টেম ভালো নয়, তাই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন। ঝুঁকি নিয়ে এতে বালু, সিমেন্ট, কাঠ, খড়ি, পাটসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করা হয়। এর বাইরে যাত্রী পরিবহন তো রয়েছেই। এসব গাড়ি উল্টে প্রায়ই ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।
প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে দিনদুপুরে অনুমোদনহীন যানবাহন চলছে কী করে- সেটা একটা রহস্য। নিষিদ্ধ যান চলাচলের পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ নিয়মিত মাসোহারা পান। যে কারণে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলে কোনো বাধা দেয়া হয় না। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবরই মাসোহারার এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
২০১৫ সালে দেশের ২২টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পোসহ সবধরনের অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে- সেই নিষেধাজ্ঞা কি মানা হচ্ছে। মানা না হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে- সেটা আমরা জানতে চাইব।
সড়ক বা মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল প্রশ্নে শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করা যথেষ্ট নয়। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে না। ডুমুরিয়ায় অনুমোদনহীন ‘মাহেন্দ্র’ চলাচলের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। নিষিদ্ধ যান চলাচল বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে।
বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অনুমোদন নেই। তারপরও খুলনার ডুমুরিয়ায় চলছে ‘মাহেন্দ্র’ নামের তিন চাকার যান। অনুমোদন ছাড়াই তিন চাকার এই যানে প্রকাশ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু এই একটি এলাকাতেই যে অনুমোদনহীন যান চলাচল করছে তা নয়। দেশের অনেক স্থানের সড়কেই এমনকি মহাসড়কেও চলছে নিষিদ্ধ যানবাহন। অনুমোদনহীন ধীরগতির এসব যান চলাচল আর যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণে মহাসড়কে প্রায়ই যানজট তৈরি হয়।
আবার এমনও দেখা গেছে যে, শ্যালোইঞ্জিন দিয়ে পরিবহন বানিয়ে তা সড়ক-মহাসড়কে চালানো হয়। এসব যানবাহনের অধিকাংশেরই কোন নিবন্ধন নেই। চালকদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এ ধরনের যানবাহনের ব্রেক সিস্টেম ভালো নয়, তাই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন। ঝুঁকি নিয়ে এতে বালু, সিমেন্ট, কাঠ, খড়ি, পাটসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করা হয়। এর বাইরে যাত্রী পরিবহন তো রয়েছেই। এসব গাড়ি উল্টে প্রায়ই ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।
প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে দিনদুপুরে অনুমোদনহীন যানবাহন চলছে কী করে- সেটা একটা রহস্য। নিষিদ্ধ যান চলাচলের পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ নিয়মিত মাসোহারা পান। যে কারণে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলে কোনো বাধা দেয়া হয় না। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবরই মাসোহারার এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
২০১৫ সালে দেশের ২২টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পোসহ সবধরনের অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে- সেই নিষেধাজ্ঞা কি মানা হচ্ছে। মানা না হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে- সেটা আমরা জানতে চাইব।
সড়ক বা মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল প্রশ্নে শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করা যথেষ্ট নয়। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে না। ডুমুরিয়ায় অনুমোদনহীন ‘মাহেন্দ্র’ চলাচলের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। নিষিদ্ধ যান চলাচল বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে।