alt

সম্পাদকীয়

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

: বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাস করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জানা গেছে, উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য সরকার আশির দশকে দুটি পাকা ভবন ও তিনটি টিনশেড সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে। বেশ কয়েকবার ভবন ও ঘরগুলো সংস্কারও করা হয়। পরে সরকারি এ কোয়ার্টারের ভবনগুলো জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু এগুলো সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। পাঁচ বছর আগে ভবন ও টিনশেড ঘরগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও সেখানে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন অনেকেই।

কোয়ার্টার ভবনের বাসিন্দারা বলছেন, ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে। ছাদের রড বেরিয়ে গেছে। ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। আট মাস আগে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

কোয়ার্টারের টিনশেডের ঘরগুলোর অবস্থা যাচ্ছেতাই। সামান্য বৃষ্টি হলেই রুমগুলোতে পানি জমে। রুমগুলোতে পলিথিনের তালি মারতে মারতে ঘরের আসল চেহারাই ঢাকা পড়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, পাঁচ বছর ধরে কোয়ার্টারের ভবন ও টিনশেডের ঘরগুলো বসবাস অনুপোযোগী হলেও প্রশাসন বিষয়টি কেন আমলে নেয়নি। সেখানে যদি কোন কারণে ভবন ধসের মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তার দায় কে নেবে, এ প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কোয়ার্টারের ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে বাস করছেন- একথা স্বীকারও করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনগুলো অপসারণের দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এবং নতুন ভবন নির্মাণ করে দেয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

আমরা চাই, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাস বাস্তবায়ন হোক। আশ্বাস যেন শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ না থাকে। সরকারি ভবন নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মোরেলগঞ্জে অনিয়ম ও দুর্নীতি মুক্ত থেকে বসবাস উপযোগী ভবন নির্মাণের সব রকম ব্যবস্থা নিতে হবে। উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে বসবাস করছে- এটা আমরা দেখতে চাই।

পূর্বধলায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নাব্য সংকট দূর করুন

সমুদ্রস্নানে পর্যটকের মৃত্যু

হারভেস্টারে ধান কাটায় বেশি টাকা নেয়ার কারণ কী

দরিদ্রদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করুন

নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ করা জরুরি

বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ উদ্ধার করুন

নারী ও কন্যাশিশুকে সাইবার সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে

দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকতে হবে

ভূমিকম্প : ভবিষ্যতের বিপদ মোকাবিলায় টেকসই পরিকল্পনা জরুরি

এইডস প্রতিরোধে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে

টেকসই শান্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি

দেওয়ানগঞ্জে যমুনার বালু তোলা বন্ধ হোক

নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ আমলে নিন

শরণখোলা হাসপাতালে লোকবল নিয়োগে ব্যবস্থা নিন

নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা গেল না কেন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার রক্ত ঝরল

বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা চাই

নারী ফায়ার ফাইটার : সমাজের সব স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

মদনে বর্ণি নদীর সেতুর কাজে বিলম্ব কেন

খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাস করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জানা গেছে, উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য সরকার আশির দশকে দুটি পাকা ভবন ও তিনটি টিনশেড সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে। বেশ কয়েকবার ভবন ও ঘরগুলো সংস্কারও করা হয়। পরে সরকারি এ কোয়ার্টারের ভবনগুলো জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু এগুলো সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। পাঁচ বছর আগে ভবন ও টিনশেড ঘরগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও সেখানে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন অনেকেই।

কোয়ার্টার ভবনের বাসিন্দারা বলছেন, ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে। ছাদের রড বেরিয়ে গেছে। ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। আট মাস আগে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

কোয়ার্টারের টিনশেডের ঘরগুলোর অবস্থা যাচ্ছেতাই। সামান্য বৃষ্টি হলেই রুমগুলোতে পানি জমে। রুমগুলোতে পলিথিনের তালি মারতে মারতে ঘরের আসল চেহারাই ঢাকা পড়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, পাঁচ বছর ধরে কোয়ার্টারের ভবন ও টিনশেডের ঘরগুলো বসবাস অনুপোযোগী হলেও প্রশাসন বিষয়টি কেন আমলে নেয়নি। সেখানে যদি কোন কারণে ভবন ধসের মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তার দায় কে নেবে, এ প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কোয়ার্টারের ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে বাস করছেন- একথা স্বীকারও করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনগুলো অপসারণের দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এবং নতুন ভবন নির্মাণ করে দেয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

আমরা চাই, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাস বাস্তবায়ন হোক। আশ্বাস যেন শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ না থাকে। সরকারি ভবন নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মোরেলগঞ্জে অনিয়ম ও দুর্নীতি মুক্ত থেকে বসবাস উপযোগী ভবন নির্মাণের সব রকম ব্যবস্থা নিতে হবে। উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে বসবাস করছে- এটা আমরা দেখতে চাই।

back to top