মাদারীপুরে পরিবহন চালকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ নিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ না পেলে চালকদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে, যেসব পরিবহনে নিয়ম ভঙ্গ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সড়ক-মহাসড়কে একশ্রেণীর পুলিশ সদস্যদের ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে অতীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ বা মানববন্ধনও হয়েছে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ আমলে নেয়া হয় বলে জানা যায় না।
আবার বিভিন্ন শ্রেণীর পরিবহনের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গ করার যে অভিযোগ পাওয়া যায় সেটাও অমূলক নয়। কোনো পরিবহন চালক আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা স্বাভাবিক। তবে আইন অনুযায়ী কারও জরিমানা করা আর অন্যায়ভাবে অর্থ আদায়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। প্রথমটি করা হলে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হতো। আর পরেরটি হলে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না তবে একটি গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলা গাছ হবে।
সড়কে চালকদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায় করা হলে তার খেসারত শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকেই দিতে হয়। চাঁদাবাজি বা ঘুষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন। এর প্রভাব পড়ে যাতায়ত ও পণ্যের মূল্যের ওপর।
ট্রাফিক পুলিশ রাখা হয় সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কোথাও কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তারাই যদি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে, রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা বলতে চাই, সড়কে চালকদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় বা হয়রানির যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নিতে হবে। কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ‘গুরু পাপে লঘু দন্ড’ দেয়া হলে অবস্থার উন্নতি হবে না। অপরাধের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মাদারীপুরে পরিবহন চালকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ নিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ না পেলে চালকদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে, যেসব পরিবহনে নিয়ম ভঙ্গ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সড়ক-মহাসড়কে একশ্রেণীর পুলিশ সদস্যদের ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে অতীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ বা মানববন্ধনও হয়েছে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ আমলে নেয়া হয় বলে জানা যায় না।
আবার বিভিন্ন শ্রেণীর পরিবহনের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গ করার যে অভিযোগ পাওয়া যায় সেটাও অমূলক নয়। কোনো পরিবহন চালক আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা স্বাভাবিক। তবে আইন অনুযায়ী কারও জরিমানা করা আর অন্যায়ভাবে অর্থ আদায়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। প্রথমটি করা হলে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হতো। আর পরেরটি হলে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না তবে একটি গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলা গাছ হবে।
সড়কে চালকদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায় করা হলে তার খেসারত শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকেই দিতে হয়। চাঁদাবাজি বা ঘুষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন। এর প্রভাব পড়ে যাতায়ত ও পণ্যের মূল্যের ওপর।
ট্রাফিক পুলিশ রাখা হয় সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কোথাও কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তারাই যদি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে, রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা বলতে চাই, সড়কে চালকদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় বা হয়রানির যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নিতে হবে। কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ‘গুরু পাপে লঘু দন্ড’ দেয়া হলে অবস্থার উন্নতি হবে না। অপরাধের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।