alt

সম্পাদকীয়

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

: বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাদারীপুরে পরিবহন চালকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ নিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ না পেলে চালকদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে, যেসব পরিবহনে নিয়ম ভঙ্গ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়ক-মহাসড়কে একশ্রেণীর পুলিশ সদস্যদের ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে অতীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ বা মানববন্ধনও হয়েছে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ আমলে নেয়া হয় বলে জানা যায় না।

আবার বিভিন্ন শ্রেণীর পরিবহনের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গ করার যে অভিযোগ পাওয়া যায় সেটাও অমূলক নয়। কোনো পরিবহন চালক আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা স্বাভাবিক। তবে আইন অনুযায়ী কারও জরিমানা করা আর অন্যায়ভাবে অর্থ আদায়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। প্রথমটি করা হলে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হতো। আর পরেরটি হলে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না তবে একটি গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলা গাছ হবে।

সড়কে চালকদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায় করা হলে তার খেসারত শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকেই দিতে হয়। চাঁদাবাজি বা ঘুষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন। এর প্রভাব পড়ে যাতায়ত ও পণ্যের মূল্যের ওপর।

ট্রাফিক পুলিশ রাখা হয় সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কোথাও কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তারাই যদি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে, রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, সড়কে চালকদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় বা হয়রানির যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নিতে হবে। কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ‘গুরু পাপে লঘু দন্ড’ দেয়া হলে অবস্থার উন্নতি হবে না। অপরাধের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাদারীপুরে পরিবহন চালকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ নিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ না পেলে চালকদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে, যেসব পরিবহনে নিয়ম ভঙ্গ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়ক-মহাসড়কে একশ্রেণীর পুলিশ সদস্যদের ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে অতীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ বা মানববন্ধনও হয়েছে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ আমলে নেয়া হয় বলে জানা যায় না।

আবার বিভিন্ন শ্রেণীর পরিবহনের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গ করার যে অভিযোগ পাওয়া যায় সেটাও অমূলক নয়। কোনো পরিবহন চালক আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা স্বাভাবিক। তবে আইন অনুযায়ী কারও জরিমানা করা আর অন্যায়ভাবে অর্থ আদায়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। প্রথমটি করা হলে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হতো। আর পরেরটি হলে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না তবে একটি গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলা গাছ হবে।

সড়কে চালকদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায় করা হলে তার খেসারত শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকেই দিতে হয়। চাঁদাবাজি বা ঘুষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন। এর প্রভাব পড়ে যাতায়ত ও পণ্যের মূল্যের ওপর।

ট্রাফিক পুলিশ রাখা হয় সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কোথাও কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তারাই যদি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে, রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, সড়কে চালকদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় বা হয়রানির যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নিতে হবে। কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ‘গুরু পাপে লঘু দন্ড’ দেয়া হলে অবস্থার উন্নতি হবে না। অপরাধের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

back to top