alt

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দর কার্যকর করতে হবে

: শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আলু, দেশি পেঁয়াজ এবং ডিমের দর বেঁধে দিয়েছে সরকার। দর নির্ধারণের কোনো সুফল বাজারে পড়েছে বলে জানা যায় না। ডিম আমদানি করা হচ্ছে আরও ছয় কোটি। এর আগে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি আরও আগেই দেয়া হয়েছে। আলু আমদানির সুপারিশ করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঝে মাঝে অভিযানও চালানো হচ্ছে। জরিমানা করা হচ্ছে।

কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। আলু-পেঁয়াজ-ডিমের দাম কমেনি। বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে বলে জানা গেছে। বলা হচ্ছে, লোকসানের ভয়ে খুচরা বিক্রেতারা পণ্য বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। অভিযানের ভয়ও রয়েছে।

আগেও সরকার কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে। চিনির দর নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা কার্যকর করা যায়নি। দিনকয়েক আগে ভোজ্যতেলের দাম কমানো হয়েছে। খুচরা বাজারে নতুন দরে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এলপিজির যে দাম সরকার নির্ধারণ করে সে দামে ভোক্তারা তা কিনতে পারে না। দাম কমানোর যেসব পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে তাতে সুফল মিলছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অভিযান চালাচ্ছে। তবে এটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে অভিযান চালিয়ে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে অনেকে মনে করেন। পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠান নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বললেই চলে। সমস্যার মূলে হাত না দিয়ে লোক দেখানো অভিযান চালালে সমস্যার সমাধান হবে না।

আমরা বলতে চাই, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে যারা পণ্যের অবৈধ মজুত গড়ে তোলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে মজুতদারি বা অন্যায় মুনাফার প্রমাণ মিললে মোটা অঙ্কের জরিমানা করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না ভেঙে কেবল খুচরা বাজারে অভিযান চালালে সমস্যা কমার পরিবর্তে বাড়তে পারে। নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি ফেরাতে হলে সংশ্লিষ্টদের আরও কৌশলী হতে হবে। দক্ষ ও যোগ্য লোকদের বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিতে হবে।

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

tab

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দর কার্যকর করতে হবে

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আলু, দেশি পেঁয়াজ এবং ডিমের দর বেঁধে দিয়েছে সরকার। দর নির্ধারণের কোনো সুফল বাজারে পড়েছে বলে জানা যায় না। ডিম আমদানি করা হচ্ছে আরও ছয় কোটি। এর আগে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি আরও আগেই দেয়া হয়েছে। আলু আমদানির সুপারিশ করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঝে মাঝে অভিযানও চালানো হচ্ছে। জরিমানা করা হচ্ছে।

কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। আলু-পেঁয়াজ-ডিমের দাম কমেনি। বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে বলে জানা গেছে। বলা হচ্ছে, লোকসানের ভয়ে খুচরা বিক্রেতারা পণ্য বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। অভিযানের ভয়ও রয়েছে।

আগেও সরকার কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে। চিনির দর নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা কার্যকর করা যায়নি। দিনকয়েক আগে ভোজ্যতেলের দাম কমানো হয়েছে। খুচরা বাজারে নতুন দরে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এলপিজির যে দাম সরকার নির্ধারণ করে সে দামে ভোক্তারা তা কিনতে পারে না। দাম কমানোর যেসব পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে তাতে সুফল মিলছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অভিযান চালাচ্ছে। তবে এটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে অভিযান চালিয়ে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে অনেকে মনে করেন। পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠান নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বললেই চলে। সমস্যার মূলে হাত না দিয়ে লোক দেখানো অভিযান চালালে সমস্যার সমাধান হবে না।

আমরা বলতে চাই, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে যারা পণ্যের অবৈধ মজুত গড়ে তোলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে মজুতদারি বা অন্যায় মুনাফার প্রমাণ মিললে মোটা অঙ্কের জরিমানা করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না ভেঙে কেবল খুচরা বাজারে অভিযান চালালে সমস্যা কমার পরিবর্তে বাড়তে পারে। নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি ফেরাতে হলে সংশ্লিষ্টদের আরও কৌশলী হতে হবে। দক্ষ ও যোগ্য লোকদের বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিতে হবে।

back to top