লালমনিরহাটের আদিতমারীর মহিষতুলির মালদহ নদীতে নেই কোনো সেতু। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নদীতে একটি পাকা সেতু তৈরির দাবি জানাচ্ছে। নির্বাচন এলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর প্রতিশ্রুতি আর পূরণ হয় না।
মহিষতুলির মালদা নদী দিয়ে চলাচল করে আদিতমারীর উপজেলার ভেলাবাড়ী, মহিষতুলি, ফলিমারী, দুলালী ও দুর্গাপুর, উত্তর গোবধা, শঠিবাড়ী, গোড়ল ও লোহাকুচীতে বসবাসরত মানুষ। মহিষতুলির মালদহ নদীতে সেতু হলে এলাকার বাসিন্দারা চলাচলে সুবিধা হতো। পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটত। মানুষের জীবন-জীবিকায় আমূল পরিবর্তন আসত। কৃষিপণ্য বাজারজাত, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নানা সুবিধা তৈরি হতো। বিশেষ করে কৃষকদের পণ্য পরিবহন নিয়ে চরম কষ্ট ভোগ করতে হয়। নৌকা না পেলে ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।
যাতায়াত-যোগাযোগে এলাকার মানুষ যেন আর ভোগান্তি না পোহায় সেজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য তৎপর হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে সুপারিশপত্র পাঠিয়েছেন। এলজিইডি বলছে, মহিষতুলির মালদহ নদীতে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণকাজ শুরু হবে। আমরা আশা করব, অতি দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এক্ষেত্রে যেন কালক্ষেপণ না হয়। সেতু নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও কম নয় দেশে। নির্মাণকাজে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
নদীতে সেতু না থাকার ভোগান্তি শুধু আদিতমারীর জনগণই পোহাচ্ছে তা নয়। দেশের অনেক এলাকার নদ-নদীতে সেতু না থাকায় সেখানকার মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষায়, কিবা শুকনো মৌসুমে তাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সরকার যাতায়াত-যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করতে চাচ্ছে। যেসব নদীতে সেতু প্রয়োজন, সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগও নিয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানেও যুগ যুগ ধরে মানুষ সেতু দাবি করে এলেও তাদের কপালে সেতু জোটে না। এই অবস্থার অবসান হওয়া উচিত। মানুষের প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে সেতু তৈরি করতে হবে।
সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
লালমনিরহাটের আদিতমারীর মহিষতুলির মালদহ নদীতে নেই কোনো সেতু। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নদীতে একটি পাকা সেতু তৈরির দাবি জানাচ্ছে। নির্বাচন এলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর প্রতিশ্রুতি আর পূরণ হয় না।
মহিষতুলির মালদা নদী দিয়ে চলাচল করে আদিতমারীর উপজেলার ভেলাবাড়ী, মহিষতুলি, ফলিমারী, দুলালী ও দুর্গাপুর, উত্তর গোবধা, শঠিবাড়ী, গোড়ল ও লোহাকুচীতে বসবাসরত মানুষ। মহিষতুলির মালদহ নদীতে সেতু হলে এলাকার বাসিন্দারা চলাচলে সুবিধা হতো। পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটত। মানুষের জীবন-জীবিকায় আমূল পরিবর্তন আসত। কৃষিপণ্য বাজারজাত, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নানা সুবিধা তৈরি হতো। বিশেষ করে কৃষকদের পণ্য পরিবহন নিয়ে চরম কষ্ট ভোগ করতে হয়। নৌকা না পেলে ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।
যাতায়াত-যোগাযোগে এলাকার মানুষ যেন আর ভোগান্তি না পোহায় সেজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য তৎপর হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে সুপারিশপত্র পাঠিয়েছেন। এলজিইডি বলছে, মহিষতুলির মালদহ নদীতে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণকাজ শুরু হবে। আমরা আশা করব, অতি দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এক্ষেত্রে যেন কালক্ষেপণ না হয়। সেতু নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও কম নয় দেশে। নির্মাণকাজে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
নদীতে সেতু না থাকার ভোগান্তি শুধু আদিতমারীর জনগণই পোহাচ্ছে তা নয়। দেশের অনেক এলাকার নদ-নদীতে সেতু না থাকায় সেখানকার মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষায়, কিবা শুকনো মৌসুমে তাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সরকার যাতায়াত-যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করতে চাচ্ছে। যেসব নদীতে সেতু প্রয়োজন, সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগও নিয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানেও যুগ যুগ ধরে মানুষ সেতু দাবি করে এলেও তাদের কপালে সেতু জোটে না। এই অবস্থার অবসান হওয়া উচিত। মানুষের প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে সেতু তৈরি করতে হবে।