চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলছে পাহাড় কাটা। মিরসরাই উপজেলার করেরহাট এলাকার ঝিলতলি এলাকার অনেক পাহাড়ই কাটা হয়েছে। রাতের বেলায় ঝিলতলি ও করেরহাট রামগড় রোডের বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ের মাটি অবৈধভাবে বিক্রি করছে অসাধু চক্র। বসতি স্থাপনের জন্যও কাটা হচ্ছে পাহাড়। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবৈধভাবে পাহাড় কাটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল পাহাড়ের মাটিই কাটা হয় না, গাছও কাটা হচ্ছে নির্বিচারে। অনেক স্থানেই পাহাড়ি বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে। ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য।
পাহাড় প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের অপরিহার্য একটি উপাদন। পাহাড় না থাকলে বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করে যায় না। এর অস্তিত্ব বিপন্ন হলে প্রকৃতি-পরিবেশ বিপন্ন হবে। যার মন্দ পরিণতি বরণ করতে হবে মানুষকেও। দেশের পাহাড়গুলো অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। অবিবেচক মানুষের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হতে চলছে।
মানুষের হঠকারিতার কারণে দেশে অতীতে পাহাড় ধসের মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, ২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন মারা গিয়েছিল। সেই সময় আহত হয়েছিলেন চার শতাধিক মানুষ।
আমরা বলতে চাই, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা এবং সেখানে অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না গেলে পাহাড়গুলোর অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হবে।
মিরসরাইয়ে পাহাড় কাটা ও অবৈধভাবে পাহাড়ি মাটি বিক্রির যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। মূল হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। কেবল পাহাড় কাটা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই চলবে না। পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। তবে অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। কেউ যেন পাহাড় কাটতে না পারে সেজন্য নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৩
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলছে পাহাড় কাটা। মিরসরাই উপজেলার করেরহাট এলাকার ঝিলতলি এলাকার অনেক পাহাড়ই কাটা হয়েছে। রাতের বেলায় ঝিলতলি ও করেরহাট রামগড় রোডের বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ের মাটি অবৈধভাবে বিক্রি করছে অসাধু চক্র। বসতি স্থাপনের জন্যও কাটা হচ্ছে পাহাড়। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবৈধভাবে পাহাড় কাটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল পাহাড়ের মাটিই কাটা হয় না, গাছও কাটা হচ্ছে নির্বিচারে। অনেক স্থানেই পাহাড়ি বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে। ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য।
পাহাড় প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের অপরিহার্য একটি উপাদন। পাহাড় না থাকলে বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করে যায় না। এর অস্তিত্ব বিপন্ন হলে প্রকৃতি-পরিবেশ বিপন্ন হবে। যার মন্দ পরিণতি বরণ করতে হবে মানুষকেও। দেশের পাহাড়গুলো অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। অবিবেচক মানুষের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হতে চলছে।
মানুষের হঠকারিতার কারণে দেশে অতীতে পাহাড় ধসের মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, ২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন মারা গিয়েছিল। সেই সময় আহত হয়েছিলেন চার শতাধিক মানুষ।
আমরা বলতে চাই, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা এবং সেখানে অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না গেলে পাহাড়গুলোর অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হবে।
মিরসরাইয়ে পাহাড় কাটা ও অবৈধভাবে পাহাড়ি মাটি বিক্রির যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। মূল হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। কেবল পাহাড় কাটা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই চলবে না। পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। তবে অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। কেউ যেন পাহাড় কাটতে না পারে সেজন্য নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকা জরুরি।